প্রেম জমে ক্ষীর! কৌশাম্বির ফোন কাড়ল আদৃত, ভিডিয়ো দেখে হাঁ মিঠাই ভক্তরা
অনস্ক্রিন ‘দিদিয়া’র সঙ্গে প্রেম নিয়ে লাগাতার কটাক্ষের মুখে ‘মিঠাই’ অভিনেতা আদৃত রায়। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে পৌঁছেছে যে দু-দিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ট্রোলারদের কড়া জবাব দিয়েছেন নায়ক। আদৃত-কৌশাম্বির প্রেম এখন টেলিপাড়ার ‘ওপেন সিক্রেট’। নিজের মুখে সম্পর্কে থাকার কথা জানিয়েছেন উচ্ছেবাবু, যদিও প্রেমিকার নাম প্রকাশ্য়ে আনেননি। কিন্তু দিনদিন কৌশাম্বির সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের সমীকরণ স্পষ্ট হচ্ছে অনুরাগীদের কাছে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মিঠাইয়ের শ্যুটিং সেটের নেপথ্যের কিছু ঝলক। টেলিটক নামের এক ইউটিউব চ্যানেলে খোলামেলা আড্ডা দিচ্ছিলেন মিঠাই, তাঁর বড় জা তোর্সা (তন্বী), ভাসুর সোম (ধ্রুব) এবং রাজীব দা মানে অভিনেতা সৌরভ চট্টোপাধ্যায়। সকলে যখন মজার আড্ডায় মেতে উঠেছেন তখন পিছনে ডাইনিং টেবিলে নিজেদের মধ্যে মশগুল আদৃত-কৌশাম্বি। সকলের চোখ আটকে গেল সেইদিকেই। নন্দার (কৌশাম্বি) হাতে স্ক্রিপ্টের কাগজ আর ফোন। সেই ফোন হুট করে কেড়ে নিতে দেখা গেল আদৃতকে। এরপর ফোনের মধ্যে মন দিয়ে কিছু খুঁজছিলেন অভিনেতা।
এই ভিডিয়ো দেখে দ্বিধাবিভক্ত ‘মিঠাই’ ভক্তরা। কেউ লিখেছেন, ‘মানুষের ব্যক্তিগত জীবনে নাক গলানো উচিত নয়, রিল আর রিয়েলের পার্থক্য সবার বোঝা উচিত’। তবে অনেকেই ট্রোল করতে ছাড়েননি ‘কৌদৃত’ । কেউ লিখেছেন, ‘আদৃত দেখছি কৌশাম্বির ফোন কন্ট্রোল করে, একেবারে সত্যিকারের নিব্বা-নিব্বি প্রেমিক প্রেমিকা’। অপর একজন লেখেন, ‘সত্য়িটা মুখে স্বীকার করে নিতেই তো পারে, এত ঢং-এর কী আছে’। এক নেটিজেন লেখেন, ‘এ তো পুরো রাসলীলা চলছে, পিছে দেখো পিছে’।
১লা মে ছুটির দিন কৌশাম্বিকে নিয়ে ডেটে গিয়েছিলেন আদৃত। ভক্তরা সেই ‘চুরি’ ধরে ফেললে শুরু হয় ট্রোলিং পর্ব। কৌশাম্বি নিয়ে কটূক্তি ধেয়ে আসতেই কড়া ভাষায় জবাব দেন আদৃত। দু’জনে সিরিয়াল থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বার করার পরামর্শ দেওয়া নেটিজেনের উদ্দেশে তিনি লেখেন, ‘আহা নির্বোধ! শুধু জি কেন? কলকাতা শবর এবং বাংলাদেশের যত্ত প্রোডাকশন হাউজ আছে সবাইকে ট্যাগ করো এবং বলো আমাকে বার করতে। ঘাড় ধরাটা সম্ভব নয় কারণ কনট্র্যাক্ট ক্লজে লেখা থাকে ফিজিক্যাল হওয়াটা বেআইনি। কিন্তু আট থেকে আশি, আমার দর্শক আমাকে এতটাই ভালোবাসে যে আমি যেভাবেই হোক পর্দায় আসতে থাকব শুধুমাত্র তাদের জন্য!’
এখানেই থেমে থাকেননি আদৃত। ফেক প্রোফাইল তৈরি করে পার্সোনাল অ্যাটাক করাটা সহজ জানান তিনি, তবে তিনি আর চুপ থাকবেন না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। আদৃত লেখেন, ‘তোমার ১০ মিনিট লেগেছে ফেক প্রোফাইল তৈরি করে আমার প্রোফাইলে এসেছে কমেন্ট করতে। আমি নূরজাহানের শ্যুটিং শুরু করেছিলাম ২০১৭ সালে। নয় নয় করে ৬ বছর হয়ে গেল কেরিয়ার তৈরি করতে….. আজও সব থেকে খারাপ পরিস্থিতিতে স্ট্রাগল করি আমার শুভাকাঙ্খীদের মুখে হাসি ফোটাতে আর নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে। ৬ বছরের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি শিল্পীকে কোনও প্রযোজনা সংস্থা নয়, দর্শক তৈরি করে…’।
ওদিকে ‘মিঠাই’ শেষ হওয়া নিয়ে চর্চার শেষ নেই। তার মাঝেই গল্পে এন্ট্রি হয়েছে নতুন নায়িকার। আয়েন্দ্রীর আগমনে নতুন টুইস্ট গল্পে। নতুন কোন মোড় নেয় সিদ্ধার্থ মোদক আর মিঠাইরানির গল্প, সেটাই দেখবার।
For all the latest entertainment News Click Here