‘হয়তো পাগল হয়ে যেতাম, অনুষ্কা আমাকে বাঁচিয়েছে’, মানসিক অবসাদ নিয়ে অকপট বিরাট
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরাটের ‘তিক্ততা’ নিয়ে এখন আলোচনা সর্বত্র। দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম রয়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ম্যাচ চলাকালীন দুজনের তিক্ততার ছবি দুনিয়ার সামনে এসেছে। সেই নিয়ে যখন সোশ্যাল মিডিয়া তোলপাড়, তখনই নিজের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে বোমা ফাটালেন বিরাট। একটা সময় ফর্মে না থাকা কোহলিকে কঠিন মানসিক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, সেইসময় একমাত্র বিরাটের হাত শক্ত করে ধরেছিলেন অনুষ্কা। সব পরিস্থিতিতে স্বামীকে আগলে রেখেছেন নায়িকা, শুধু তাই নয় অনুষ্কা না থাকলে হয়ত ‘পাগল’ যেতেন তিনি, এমন কথাও বলতে শোনা গেল বিরাটকে।
গত বছর ক্রিকেট থেকে বেশ কয়েকদিন দূরে ছিলেন বিরাট। দীর্ঘ ১৫ বছরের আন্তর্জাতিক কেরিয়ারে একাধিক উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছেন কোহলি, কিন্তু গত বছর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক। কিং কোহলি জিও সিনেমা-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন। মানসিক অবসাদের সঙ্গে লড়াইয়ে তাঁকে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করেছেন অনুষ্কা, একথা জানিয়ে বিরাট বলেন- ‘অনুষ্কা বোঝো পাবলিক ফিগার হওয়ার জ্বালা ঠিক কতখানি। খুব কাছ থেকে গোটা ব্যাপারটা দেখেছে। তাই ওর সঙ্গে আলোচনা করাটা আমার কাছে অমূল্য, ও সবসময় আমাকে সত্য়িটা বলে। সত্যি বলতে আমি এমন একটা পরিস্থিতিতে পৌঁছেছিলাম যে আমি মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলাম। আমাকে যদি সেটার সমাধান খুঁজতে হত, তাহলে হয়ত আমি পাগল হয়ে যেতাম। হয়ত আরও বেশি নাভার্স এবং খামখেয়ালী হয়ে যেতাম। কিন্তু অনুষ্কা আমাকে আরও বেশি নম্র করেছে, আমরা একসঙ্গে বড় হয়েছি’।
একটা সময় মাসনিক দৃঢ়তা বজায় রাখা কঠিন চ্য়ালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিরাট বলেন, ‘মিথ্যে বলব না। কিন্তু বিষয়টা জটিল হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই সরে দাঁড়াতে হয়েছিল। সেরা হওয়ার ইঁদুর দৌড়ে ঢুকে মনে হয়েছিল পরিবেশটা অস্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠেছে। সেই সময় ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোটাই সেরা সিদ্ধান্ত ছিল’।
একটা সময় তাঁকে নিয়ে অন্যরা কী ভাবছে, সেই বিষয়টাকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছিলেন বিরাট, যা তাঁর খেলায় প্রভাব বিস্তার করেছিল। রবিন উত্থাপার সঙ্গে মন খোলা এই আলোচনায় বিরাট বলেন, ‘ভক্তরা আমার কাছে কী চায়, আমাকে নিয়ে কী ভাবে সেটাই আমার মাথায় ঘুরত। তার প্রভাব আমার খেলার উপর পড়ছিল। ওই সময় ব্রেক নেওয়াটা সত্যিই জরুরি হয়ে পড়েছিল।’
ভামিকার জন্মের পর মেয়ের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে না-পারার আফসোস রয়েছে বিরাটের। মেয়ের বড় হওয়ার অনেক মুহূর্তেরই সাক্ষী থাকতে পারেননি বিরাট। ভামিকা তাঁর জীবনে অনেক বদল এনেছে মেনে নিলেন বিরাট। তাঁর কথায়, ‘ভামিকা আমাকে শিখিয়েছে বর্তমানকে আগলে বাঁচতে। সেটা আমি ভুলে যাচ্ছিলাম।’ ক্রিকেটের বাইরে এখন পরিবারকেই সবচেয়ে বেশি সময় দেন বিরাট। অনুষ্কা আর ভামিকাই তাঁর অফুরান এনার্জির উৎসস্থল।
For all the latest entertainment News Click Here