CSK ম্যাচেই বাস্তবের রুঢ় জমিতে বিজয়, দিলেন RCB-র ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বাধিক রান
সোমবার চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ৪ ওভারে ৬২ রান দিয়ে বসেন বিশাক বিজয়কুমার। যদিও তিনি ১ উইকেট নেন। কিন্তু যে হারে তিনি রান বিলিয়েছেন, তাতেই লজ্জার নজির গড়ে ফেলেছেন রজত পাতিদারের পরিবর্তে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরে যোগ দেওয়া বিজয়কুমার।
ফাস্ট বোলার বিশাক বিজয়কুমার সোমবার আইপিএলের ইতিহাসে আরসিবি-র দ্বিতীয় বোলার হিসেবে সবচেয়ে খারাপ বোলিংয়ের নজির গড়েন। পুরো চার ওভার বল করলেও, তিনি বেধড়ক ঠ্যাঙানি খেয়েছেন ডেভন কনওয়ে এবং শিবম দুবের কাছে। বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ২৬ বছরের তারকার সিএসকে-র বিরুদ্ধে পরিসংখ্যান ৪-০-৬২-১। আর এই পরিসংখ্যানই আইপিএলের ইতিহাসে আরসিবি-র বোলারদের মধ্যে দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ। আগের সবচেয়ে খারাপ চার ওভারের স্পেলটি হ্যাজলেউডের। গত বছর পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ৪ ওভারে ৬৪ রান দিয়েছিলেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
আরও পড়ুন: একেই ম্যাচ হেরেছেন, নিজেও চূড়ান্ত ব্যর্থ, তার উপর ১০ শতাংশ জরিমানা করা হল কোহলিকে
এ দিন মোট বেঙ্গালুরু এবং চেন্নাই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হল। রানের বন্যা বইল। মোট ৩৩টি ছক্কা দেখল বেঙ্গালুরুর ক্রিকেটপ্রেমীরা। আইপিএলের ইতিহাসে যা যুগ্মরেকর্ড। প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান তোলে চেন্নাই। দলকে রানের পাহাড়ে পৌঁছে দেন ডেভন কনওয়ে এবং শিবম দুবে। অন্যদিকে ব্যাঙ্গালোরের জোড়া ফলা ফ্যাফ ডু’প্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড় তুললেও শেষ রক্ষা হল না। তাঁরা আউট হতেই স্বপ্নভঙ্গ কোহলিদের।
প্রথমে চেন্নাই ব্যাট করতে নামে। ডেভন কনওয়ে এবং শিবম দুবের দাপটে রানের পাহাড় গড়ে ধোনির দল। ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২৬ রান তোলে চেন্নাই। শুরুতে ঝড় তোলেন কনওয়ে এবং রাহানে। এদিন সুবিধা করতে পারেননি রুতুরাজ গায়কোয়াড় (৩)। কিন্তু নেমেই আগ্রাসী মেজাজে পাওয়া যায় রাহানেকে। ২০ বলে ৩৭ রান করে আউট হন তিনি। এর পর ক্রিজে এসেই আগ্রাসী মেজাজে চেন্নাই বোলারদের আক্রমণ করতে শুরু করেন শিবম। দোসর পান কনওয়েকে। দু’জনেই অর্ধশতরান করেন। ছ’টি ছয় এবং চারের সাহায্যে ৪৫ বলে ৮৩ রানে আউট হন কনওয়ে। আইপিএলে নিজের চতুর্থ অর্ধশতরান তুলে নেন দুবে। ২৭ বলে ৫২ করে আউট হন তিনি। ইনিংসে ছিল ৫টি ছয়, ২টি চার।
আরও পড়ুন: ২০০-র পিচ ছিল, বেশি রান হজম করায়, বোলারদের দুষলেন RCB অধিনায়ক ফ্যাফ
এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আরসিবি ভালো শুরু করতে পারেনি। বিরাট কোহলি দুর্ভাগ্যবশত মাত্র ৬ রান করে আউট হয়ে যান। এর পরেই আরসিবি আরও একটি ধাক্কা খেয়েছিল, মহিপাল লোমরোরের (০) উইকেট হারিয়ে। কিন্তু তৃতীয় উইকেটে ডু’প্লেসি এবং ম্যাক্সওয়েল ৬১ বলে ১২৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে আরসিবি-কে লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন। এবং দু’জন যখন ব্যাটিং করছিলেন, তখন লক্ষ্যটি আরসিবি-র নাগালের মধ্যেই ছিল। এবং মনেও হচ্ছিল, ম্যাচটি জিতে যাবে ব্যাঙ্গালোর।
ম্যাক্সওয়েল আরসিবি-র হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন। তিনি ৩৬ বলে ৭৬ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। তার পর ১৩তম ওভারে সাজঘরে ফেরেন ম্যাক্সি। ডু’প্লেসি ৩৩ বলে ৬২ রান করে আউট হন। ১৪তম ওভারে ফ্যাফ আউট হলে সিএসকে ফের লড়াইয়ে ফেরে। এর পর দীনেশ কার্তিকও ১৪ বলে ২৮ করে আউট হয়ে গেলে, ম্যাচটি আরসিবি-র হাত থেকে বের হয়ে যায়। এবং শেষ পর্যন্ত চেন্নাই আট রানে ম্যাচ জেতে।
For all the latest Sports News Click Here