মুরলির রেকর্ড ভাঙলেন,কিউয়িদের ব্যাটিং লাইনআপে ভাঙন ধরালেন অ্যান্ডারসন,সঙ্গ লিচের
নিউজিল্যান্ড বনাম ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টেস্টে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন ফাস্ট বোলার জেমস অ্যান্ডারসন। তিনি তাঁর মুকুটে আরও একটি পালক যোগ করেছেন। ৪০ বছর বয়সে অ্যান্ডারসন রীতিমতো আগুনে পারফরম্যান্স করে চলেছেন। তাঁর দাপটেই বেশ বেকায়দায় নিউজিল্যান্ড। শনিবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে তিন উইকেট নিয়ে তিনি এই কীর্তি গড়েছেন অ্যান্ডারসন। ম্যাচের প্রথম ওভারেই নিউজিল্যান্ডের ডেভন কনওয়েকে আউট করে এই কীর্তি গড়েন অ্যান্ডারসন। দ্বিতীয় ইনিংসে সবচেয়ে বেশি টেস্ট উইকেট নেওয়া বোলার হয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, এই রেকর্ডটি আগে ছিল শ্রীলঙ্কার অভিজ্ঞ স্পিনার মুথাইয়া মুরলিধরনের নামে। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি মোট ২২৮ উইকেট নিয়েছিলেনন। যেটা এত দিন ছিল সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডের তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরানোর পর অ্যান্ডারসনের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট সংখ্যা এখন ২৩১টি। তবে মুথাইয়া মুরলিধরনের প্রথম ও তৃতীয় ইনিংসে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড এখনও তাঁর নামেই রয়েছে। মুরলি প্রথম ইনিংসে ২৩০টি উইকেট এবং তৃতীয় ইনিংসে ২৩৬টি উইকেট নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় শীঘ্রই দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসতে চলেছেন অ্যান্ডারসন। টেস্ট ক্রিকেটে মুরলিধরন ৮০উইকেট, শেন ওয়ার্ন ৭০৮ এবং জেমস অ্যান্ডারসন ৬৮৫ উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: হরমন তো ব্যাটটাই ভুল হাতে ধরেছিল, রান আউট নিয়ে বিস্ফোরক প্রাক্তন অধিনায়ক
এ দিকে ইংল্যান্ডের ব্যাটাররাও দুরন্ত ছন্দে রানের পাহাড় গড়ে ফেলে। ৮ উইকেটে ৪৩৫ রান করে ইনিংসের সমাপ্তি ঘোষণা করে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে সকলেই ইংল্যান্ডের হ্যারি ব্রুকের দ্বিশতরানের অপেক্ষায় ছিল। প্রথম দিনে ৬৫ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটে ৩১৫ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। ২৯৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে অপরাজিত ছিলেন ব্রুক ও জো রুট। কিন্তু তাঁকে ১৮৬ রানেই থামায় নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি। তবে ১৫৩ করে অপরাজিত থাকেন জো রুট। ইংল্যান্ডের বাকিরা কেউ অবশ্য কুড়ি রানের গণ্ডি টপকাননি। নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট নিয়েছেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। টিম সাউদি এবং নেইল ওয়াগনার ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ICC ট্রফি জিতিনি তাই নাকি আমি ব্যর্থ ক্যাপ্টেন! ‘সাফল্যের’ ফিরিস্তি দিয়ে আক্ষেপ কোহলির
প্রথম টেস্ট হেরে পিছিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল ভালো শুরু। কিন্তু সেটা একেবারেই ঘটতে দিলেন না জিমি অ্যান্ডারসন। প্রথম ওভারের পঞ্চম বলেই উইকেটের পিছনে ক্যাচ দেন ডেভন কনওয়ে। আর এক ওপেনার টম লাথাম অবশ্য টিকেছেন ২১তম ওভার পর্যন্ত। তার আগে অ্যান্ডারসনের শিকার হয়ে ফেরেন কেন উইলিয়ামসন (৪) এবং উইল ইয়ং (২)। জিমির এই ৩ উইকেটের সব কটিতেই ক্যাচ নেন ফোকস।
অ্যান্ডারসনের পর ব্রিটিশ বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দেন জ্যাক লিচ। বাঁ-হাতি এই স্পিনারের প্রথম শিকার দীর্ঘক্ষণ এক প্রান্ত আগলে রাখা লাথাম। ৩৫ রান করে এই ওপেনার রিভার্স সুইপ মারতে গিয়ে স্লিপে রুটের হাতে ক্যাচ দেন।
স্কোরবোর্ডে রান ১০০ হওয়ার আগেই লিচের শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন হেনরি নিকোলস (৩০) এবং ড্যারিল মিচেলও (১৩)। স্টুয়ার্ট ব্রড মাইকেল ব্রেসওয়েলকে তুলে নিলে ১০৩ রানেই সপ্তম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত টম ব্লান্ডেলকে নিয়ে লড়াই চালাচ্ছিলেন টিম সাউদি। ব্লান্ডেল অপরাজিত ৫৫ বলে ২৫ রানে, অধিনায়ক সাউদি ১৮ বলে ২৩ রান করে ক্রিজে রয়েছেন। অ্যান্ডারসন ৩৭ রানে ৩ উইকেট উইকেট তুলে নিয়েছেন। ৪৫ রানে লিচও ৩ উইকেট নিয়েছেন। স্টুয়ার্ড ব্রড ১ উইকেট নিয়েছেন।
For all the latest Sports News Click Here