ভাষা এক, দেশ আলাদা, ম্যাচের পর পাক কন্যাদের সঙ্গে সুখ-দুঃখের গল্প হরমনদের
ভারতের বিরুদ্ধে মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান ২০ ওভারে ১৪৯ রানের বিশাল সংগ্রহ করেছিল। তারা আশা করেছিল যে ভারতীয় দল হয়তো এই বিশাল রান তাড়া করতে পারবে না। চিন্তাটাও সঠিক ছিল কারণ ভারত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এর আগে কখনও ১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করেনি। কিন্তু, পাকিস্তান দল সম্ভবত ভারতের উদ্দেশ্য বুঝতেই পারেনি। কেপটাউনের মাঠে জিততে নেমেছিল ভারতীয় মেয়েরা। মহিলা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়েছিল ভারত। স্মৃতি মান্ধানাকে ছাড়াই ভারতীয় খেলোয়াড়রা এই ম্যাচটি ১ ওভার আগে জিতে যায়।
পাকিস্তানি দল এই পরাজয়ে হতাশ হয়েছিল, যার দুঃখ ভারতীয় খেলোয়াড়রা ম্যাচের পরে তাদের নিজস্ব স্টাইলে মুছে দিয়েছিল। জয়-পরাজয়ের এই খেলার পর ভারত-পাকিস্তানের বন্ধুত্ব দেখা যায় দক্ষিণ আফ্রিকায়, যেখানে হরমনপ্রীত অ্যান্ড কোম্পানিকে তাদের নিজস্ব স্টাইলে পাকিস্তান দলের পরাজয়ের দুঃখ মুছে দিতে দেখা গিয়েছে।
আরও পড়ুন… বদলে গেল IND vs AUS তৃতীয় টেস্টের ভেন্যু, ধর্মশালার পরিবর্তে ম্যাচ হবে ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে
প্রকাশিত হওয়া ভিডিয়োতে আপনি দেখতে পাচ্ছেন কীভাবে ভারত ও পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা একে অপরের সঙ্গে দেখা করছেন। দুই দেশের খেলোয়াড়দের একে অপরকে জড়িয়ে ধরতে দেখা যায়। ভারতীয় অধিনায়ক হরমনপ্রীতও পাক অলরাউন্ডার নিদা দার সঙ্গে জার্সি বিনিময় করেন। জার্সি বিনিময়ের পর পাকিস্তানি খেলোয়াড়রা ভারতের সুপার স্টার ব্যাটসম্যান স্মৃতি মন্ধানার সঙ্গে বিশেষ বৈঠক করেন এবং তার সঙ্গে সেলফি তোলেন। আশা করা হচ্ছে যে ভারতের কাছ থেকে পাওয়া এই উষ্ণতা পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের পরাজয়ের শোক কাটিয়ে উঠতে এবং পরবর্তী ম্যাচে আরও ভালোভাবে ফোকাস করতে সাহায্য করবে।
আরও পড়ুন… ম্যাচ হেরে সতীর্থদের সঙ্গে ঝামেলা! নতুন বিতর্কে নেইমার
ম্যাচের কথা বললে, মহিলাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানকে সাত উইকেটে হারিয়েছে ভারত। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রান তোলে। টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিরুদ্ধে এটাই ছিল পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় স্কোর। বিসমাহ মারুফ ৫৫ বলে অপরাজিত ৬৮ রান এবং আয়েশা নাসিম ২৫ বলে অপরাজিত ৪৩ রান করেন।
জবাবে ১৯তম ওভারে তিন উইকেট হারিয়ে লক্ষ্য অর্জন করে ভারত। জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে ভারতের প্রয়োজন ২৮ রান। তবে রিচা ও জেমিমার মনে ছিল অন্য কথা। ১৮তম ওভারে টানা তিনটি চার মেরে প্রথম ম্যাচের গতিপথ বদলে দেন রিচা। এরপর ১৯তম ওভারে জেমিমা তিনটি চার মেরে টিম ইন্ডিয়াকে জয় এনে দেন। ১৯তম ওভারের শেষ বলে হাফ সেঞ্চুরির জন্য জেমিমার প্রয়োজন এক রান। চার মেরে অর্ধশতক পূর্ণ করে টিম ইন্ডিয়াকে জয়ও এনে দেন তিনি। এটি ছিল জেমিমার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দশম হাফ সেঞ্চুরি।
জেমিমা ৩৮ বলে ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন এবং রিচা ২০ বলে ৪১ রান করেন। জেমিমা তাঁর ইনিংসে আটটি চার মারেন এবং রিচা তাঁর ইনিংসে পাঁচটি চার মেরেছিলেন। দুজনের মধ্যে চতুর্থ উইকেটে ছিল অপরাজিত ৫৮ রানের জুটি গড়ে উঠে ছিল। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন জেমিমা। ভারতীয় দলকে এখন ১৫ ফেব্রুয়ারি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচ খেলতে হবে। গ্রুপ-বি-তে এই জয়ে দুই পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে টিম ইন্ডিয়া। দুই পয়েন্ট এবং ভালো রান রেট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে ইংল্যান্ড দল। যেখানে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তান। ১৫ ফেব্রুয়ারি আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান দল।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
For all the latest Sports News Click Here