জোর করে ODI দলের অধিনায়ক হতে চেয়েছিলেন বিরাট, পরিস্থিতি সামাল দেন শাস্ত্রী

ভারতীয় ক্রিকেট দলে ফের অধিনায়কত্ব নিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। বর্তমানে সব ফরম্যাটের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। কিন্তু টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শোচনীয় ফলাফলের পর ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চাইছে টি-টোয়েন্টির জন্য সম্পূর্ণ পৃথক দল তৈরি করতে। যার সম্ভাব্য অধিনায়ক হতে পারেন হার্দিক পান্ডিয়া। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজে পান্ডিয়াকে অধিনায়ক করে দল গড়া হয়েছিল। তবে পান্ডিয়াকে স্থায়ী অধিনায়ক হিসেবে ঘোষণা করেনি বোর্ড। তবে হার্দিক টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব নিতে চান তা তাঁর বিভিন্ন আচরণে বোঝা গিয়েছে। অন্যদিকে বর্তমান অধিনায়ক রোহিত শর্মা জানিয়েছেন এখন টি-টোয়েন্টি ছেড়ে দেওয়ার কোনও সিদ্ধান্ত তিনি নেননি।

অনেকটা এমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল মহেন্দ্র সিং ধোনি ভারতীয় অধিনায়ক থাকাকালীন। ধোনি ২০১৪ সালে আচমকা টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর স্বাভাবিকভাবেই অধিনায়ক হন বিরাট কোহলি। কিন্তু তিনি ওয়ানডে টিমের অধিনায়ক হওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠেন। সেই সময় ভারতীয় কোচ ছিলেন রবি শাস্ত্রী তিনি এগিয়ে এসে অধিনায়কত্বের সমস্যা মেটান বলে জানা যায় তৎকালীন ভারতীয় ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর ও ক্রিকেট লেখক আর কৌশিকের লেখা ‘কোচিং বিয়ন্ড: মাই ডেজ উইথ দ্য ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম’- শীর্ষক বই থেকে।

শ্রীধর উল্লেখ করেছেন টেস্ট ক্রিকেটের অধিনায়ক হওয়ার পর বিরাট কোহলি কতটা মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন একদিনের ক্রিকেটের অধিনায়ক হওয়ার জন্য। বইতে শ্রীধর লিখেছেন, ‘২০১৬ সালে এমন একটা সময় এসেছিল যখন কোহেলি ওয়ানডে টিমের অধিনায়ক হবার জন্য ব্যাকুল ছিলেন। তিনি এমন কিছু কাজ করেছিলেন বা কথা বলছিলেন যা স্পষ্ট বুঝিয়ে দিচ্ছিল কোহলি ওয়ানডে টিমের অধিনায়ক হতে চান।’

সেই সময় তাদের আশঙ্কা ছিল পরিস্থিতি এইভাবে চলতে থাকলে দলের মধ্যে দুইটি দল তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তখন শাস্ত্রী এগিয়ে এসে পরিস্থিতিকে সামাল দেন। শ্রীধর তাঁর বইতে লিখেছেন, ‘এক সন্ধ্যায়, রবি তাকে ডেকে বলেছিলেন, দেখ বিরাট এমএস তোমাকে লাল বলের ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব দিয়েছে। তোমাকে তাকে সম্মান করতে হবে। সময় হলে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেও ও তোমাকে অধিনায়কত্ব দেবে। তুমি যদি এখন তাকে সম্মান না কর, আগামীকাল যখন তুমি অধিনায়ক হবে তুমি তোমার দলের কাছ থেকে সম্মান পাবে না। অধিনায়কত্ব তোমার কাছে আসবে। তোমাকে এর পিছনে দৌড়াতে হবে না।’

দৃশ্যত কোহেলি এই পরামর্শকে ভালোভাবে গ্রহণ করেছিলেন। মহেন্দ্র সিং ধোনি ২০১৭ সালে অধিনায়কত্বের ব্যাটন বিরাট কোহলির হাতে তুলে দেন। এবং বাকি সময় কোহলির অধীনেই তিনি খেলেন।

কোহলি ২০২২ সাল পর্যন্ত ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তিনি ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরে টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব থেকে সরে এসেছিলেন। কিন্তু একদিনের অধিনায়ক থাকতে চেয়েছিলেন। তবে বিসিসিআই কোহলিকে সরিয়ে রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক নির্বাচিত করে। ২০২২ সালের দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের পর টেস্ট অধিনায়কত্ব থেকেও সরে দাঁড়ান কোহলি। তারপর সব ফরম্যাটের অধিনায়ক হন রোহিত শর্মা।

ভারতের অধিনায়ক নির্বাচন মাঝে মাঝেই মসৃণ হয় না। রোহিত শর্মা এবং হার্দিক পান্ডিয়ার অধিনায়কত্বের লড়াই লম্বা চলবে, নাকি শাস্ত্রীর মতো কেউ মধ্যস্থতায় এসে পরিস্থিতি সামাল দেবে, সোটাই হবে দেখার।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.