Santosh-এ মধ্যপ্রদেশকেও ৫-০ উড়িয়ে দিল বাংলা,শুভেচ্ছা মেয়রের, কিন্তু খুশি নন কোচ
সন্তোষ ট্রফিতে বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের বাংলা একেবারে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছে। একের পর এক ম্যাচে প্রতিপক্ষদের গুড়িয়ে দিয়ে এগিয়ে চলেছে টিম বাংলা। প্রথম ম্যাচে হরিয়ানার বিরুদ্ধে ৩-০ ব্যবধানে জয় পান বিশ্বজিতের ছেলেরা। দ্বিতীয় ম্যাচে দামান এবং দিউকে ৫-০-তে হারায় বাংলা। আর বুধবার মধ্যপ্রদেশকে ফের ৫ গোল দিল নরহরি শ্রেষ্ঠারা। মধ্যপ্রদেশ কোনও গোল করতে পারেনি।
পরপর তিন ম্যাচে জয়ের পাশাপাশি ১৩টি গোল করে ফেলেছে বাংলা। পরের পর্ব কার্যত পাকা। যদিও আরও ২টি ম্য়াচ বাকি আছে- মহারাষ্ট্র এবং ছত্তিশগড়ের বিরুদ্ধে। যে কারণে সতর্ক বাংলার ছেলেরা।
আরও পড়ুন: হরির লুটের মতো গোল, ৩৫ গোল করে নজির গড়ে ফেললেন ইস্টবেঙ্গলের মেয়েরা
এ দিন পাঁচ গোলের মধ্যে রবি হাঁসদা এবং নরহরি শ্রেষ্ঠার জোড়া গোল করেন।একটি গোল করেছেন তোতন দাস। এটি তাঁর প্রথম গোল। তিন ম্যাচে রবির গোল সংখ্যা হল ৫ এবং নরহরি সমসংখ্যক ম্যাচ খেলে ৪টি গোল করেছেন।
এ দিন মহারাষ্ট্রের কোলাপুরের ছত্রপতি শাহু স্টেডিয়ামে তৃতীয় ম্যাচের শুরু থেকেই ঝাঁঝালো মেজাজে আক্রমণের ঝড় তোলে বাংলা। ম্যাচের ১৪ মিনিটে গোল করে বাংলাকে এগিয়ে দেন রবি হাঁসদা। পরে ২৪ এবং ৪৫ মিনিটে দু’টি গোল করেন নরহরি। বিরতির আগেই ৩-০ এগিয়ে যায় বাংলা। পরের অর্ধের শুরুতেই ৫৩ মিনিটে গোল করে ৪-০ করেন তোতন দাস। আর ৬২ মিনিটে ফের রবির গোলে মধ্যপ্রদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতে বাংলা। ম্যাচের সেরা হন বাংলার অধিনায়ক নরহরি।
আরও পড়ুন: ফের ট্রান্সফার ব্যানের কবলে ইস্টবেঙ্গল, নতুন ফুটবলার সই করানো নিয়ে জটিলতা
বাংলার দুরন্ত পারফরম্যান্সে উচ্ছ্বসিত রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী এবং মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি একটি টুইটে লিখেছেন, ‘৭৬তম সন্তোষ ট্রফিতে আরও একবার আমাদের বাংলা টিম ৫-০-তে জিতেছে। এ বার মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে! শুভকামনা ছেলেরা, তোমরা বাংলার অহঙ্কার। ট্রফিটি ঘরে নিয়ে এসো এবং সকলকে দেখিয়ে দাও যে, বাংলা সবেতে নেতৃত্ব দেয়। শুভেচ্ছা বাংলাকে।’
এর পর ১৩ জানুয়ারি ছত্তিশগড় ও ১৫ জানুয়ারি মহারাষ্ট্রের বিরুদ্ধে খেলবে বাংলা। তবে বাংলা দুরন্ত ছন্দে থাকলেও খুশি নন কোচ বিশ্বজিৎ। সন্তোষ ট্রফির ক্রীড়াসূচি থেকে মাঠ সমস্যা নিয়ে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বাংলার কোচ। এ দিনের খেলা সকাল সাড়ে আটটায় দেওয়া প্রসঙ্গে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘স্কুল গেমসে এ রকম সকাল সাড়ে আটটায় খেলা দেওয়া হয় বলে শুনেছি। সন্তোষ ট্রফির মতো টুর্নামেন্টে যা সূচি করা হয়েছে, তাতে ভালো ফুটবল কী ভাবে সম্ভব সেটা বুঝতে পারছি না। এ ভাবে ফুটবলের উন্নতি সম্ভব নয়।’
এ দিকে মূল পর্বে যাওয়ার আগে বাকি দু’টি ম্যাচও জিততে মরিয়া তিন প্রধানে কোচিং করানো বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি, ‘গ্রুপের অন্য দল ক’টা ম্যাচ জিতছে না হেরেছে, সেই সব অঙ্কে যাচ্ছি না। আমাদের একটাই লক্ষ্য, সব ম্যাচ জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে মূলপর্বে যাওয়া। দলের প্রত্যেক ফুটবলাররা খুব ভালো খেলছে। দল ছন্দে আছে। আশা করি পরের ম্যাচেও ভালো খেলবে।’
For all the latest Sports News Click Here