2023 IPL-এর শুরুতে টানা ৪ ম্যাচে হার,১০ বছর আগের লজ্জার নজিরের স্মৃতি ফিরছে DC-তে

একের পর এক ম্যাচ গড়াচ্ছে শেষ ওভারের শেষ বলের রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতিতে। তৈরি হচ্ছে টানটান উত্তেজনার পরিস্থিতি। পেন্ডুলামের মতো দুলছে খেলা। রং বদলাচ্ছে প্রতি মুহূর্তে। সকলের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে চলেছে আইপিএলের ম্যাচগুলি। সে রকমই আরও একটি রোমহর্ষক ম্যাচ হয়ে গেল মঙ্গলবার রাতে। দিল্লি ক্যাপিটালস বনাম মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের মধ্যে। শেষ বলের চূড়ান্ত নাটকে শেষ হাসি হাসলেন রোহিত শর্মা। ২ ম্যাচ হারের পর অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে মরশুমের প্রথম জয় পেল মুম্বই। আর ঘরের মাঠে টানা চার ম্যাচ হারের লজ্জার নজির গড়ে মাথা নীচু করে মাঠ ছাড়ল ডেভিড ওয়ার্নার ব্রিগেড।

২০২৩ সালে আইপিএলের অভিযানের শুরুতেই টানা চার ম্যাচে হারল দিল্লি। আইপিএলের ইতিহাসে এটা তাদের দ্বিতীয় জঘন্য শুরু। এর আগে ২০১৩ সালে দিল্লি ক্যাপিটালস টানা ছয় ম্যাচ হেরেছিল। এই বছর সেই হারের সংখ্যাটা ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে চারে। আরও লজ্জা বাড়িয়ে হারের সংখ্যাটা পাল্টাবে কিনা, সে কথা সময়ই বলবে!

আরও পড়ুন: ফের নাটকীয় শেষ ওভার, প্রথম জয় মুম্বইয়ের, টানা চার ম্যাচে দিল্লির

ঘরের মাঠে টসে হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নামে দিল্লি। আরও এক বার ব্যর্থ হন পৃথ্বী শ’। মাত্র ১৫ রান (১০ বলে) করে আউট হন তিনি। দ্বিতীয় উইকেটে মণীশ পাণ্ডের সঙ্গে ডেভিড ওয়ার্নার জুটি গড়েছিলেন। কিন্তু রানের গতি খুব একটা বেশি ছিল না। বাধ্য হয়ে মারতে গিয়ে পীযূষ চাওলার বলে ২৬ রান (১৮ বলে) করে আউট হন মণীশ।

ভারতের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক যশ ধুলের এই ম্যাচে আইপিএলে অভিষেক হয়। কিন্তু তিনিও হতাশ করেন। ৪ বলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরে ফেরেন যশ। দিল্লির মিডল অর্ডারকে ধরাশায়ী করলেন পীযূষ। ৩ উইকেট নেন তিনি। অন্য দিকে একের পর এক উইকেট পড়লেও টিকে ছিলেন ওয়ার্নার। ৪২ বলে অর্ধশতরান করেন তিনি। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে দিল্লিকে আবার উদ্ধার করলেন অক্ষর। শুরু থেকেই বড় শট মারতে শুরু করেন তিনি। মাত্র ২২ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন অক্ষর। চলতি মরশুমে এটি তাঁর দ্বিতীয় অর্ধশতরান। তবে ২৫ বলে ৫৪ রান করে ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন অক্ষর। সেই ওভারেই ৪৭ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ওয়ার্নার। শেষ পর্যন্ত ১৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় দিল্লি। পীযূষ ছাড়াও জেসন বেহরেনডর্ফ ৩ উইকেট নিয়েছেন। রিলি মেরেডিথ নিয়েছেন ২ উইকেট।

আরও পড়ুন: আমি ডিকে, হিন্দিতে কথা বল- শাহবাজের ভ্রান্তিবিলাস শুধরে দিয়েছিলেন কার্তিক

রান তাড়া করতে নেমে ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু করেন মুম্বইয়ের দুই ওপেনার। রোহিতের পাশাপাশি ভালো খেলছিলেন ইশান কিষাণও। তবে রোহিতের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে ৩১ রান (২৬ বলে) করে ইশান আউট হলে রানের গতি সাময়িক ধাক্কা খায়। তবে রোহিতের সঙ্গে জুটি বাঁধেন তিন নম্বরে নামা তিলক বর্মা। চলতি মরশুমে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন তিলক। ৩০ বলে নিজের অর্ধশতরান করেন রোহিত। আইপিএলে ২৪ ইনিংস পরে ৫০ রান এল তাঁর ব্যাট থেকে।

শেষ ৫ ওভারে জিততে ৫০ রান দরকার ছিল মুম্বইয়ের। ১৬তম ওভারে বল করতে আসেন বাংলার মুকেশ কুমার। তাঁর প্রথম তিন বলে তিলক ১টি চার এবং ২টি ছক্কা হাঁকান। কিন্তু পঞ্চম বলে মারতে গিয়েই আউট হন তিলক। ২৯ বলে ৪১ করে আউট হন তিনি। পরের বলেই গোল্ডের ডাক করে সাজঘরে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব। এই ওভারই বদলে দেয় খেলার রং। যেখানে মনে করা হচ্ছিল সহজ জয় পাবে মুম্বই, সেখানে তারা চাপে পড়ে যায়। পরের ওভারেই মুস্তাফিজুর রহমানের বলে উড়ে গিয়ে রোহিতের ক্যাচ ধরেন অভিষেক পোড়েল। ৪৫ বলে ৬৫ রান করে রোহিত ফিরতেই দিল্লি যেন অক্সিজেন পায়।

শেষ ১২ বলে মুম্বইয়ের দরকার ছিল ২০ রান। মুস্তাফিজুরের এক ওভারে ১৫ রান নেন টিম ডেভিড এবং ক্যামেরন গ্রিন। শেষ ৬ বলে ৫ রান দরকার ছিল। দ্বিতীয় বলে ডেভিডের ক্যাচ ফস্কান মুকেশ। পরের বল ডেভিডের প্যাডে লাগায় ওয়াইড হয়নি। শেষ বলে দরকার ছিল ২ রান। দৌড়ে সেই রান তুলে নেন মুম্বইয়ের দুই ব্যাটার। ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে মুম্বই।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.