৭৭ রান করে ম্যাচের নায়ক আফিফ হোসেন, UAE-র বিরুদ্ধে বাংলাদেশের কষ্টার্জিত জয়
দুবাইয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুটা জয় দিয়েই করল বাংলাদেশ। তবে এই জয়টা খুব একটা সহজে এল না। সংযুক্ত আরব আমির শাহির বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় পেতে হল টাইগারদের। মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে জয়ের স্বাদ পেয়েছে টাইগাররা। এই জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
রবিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে বাংলাদেশকে প্রথমে ব্যাটিং করতে পাঠায় সংযুক্ত আরব আমির শাহি। আফিফ হোসেনের ক্যারিয়ার সেরা ৭৭ রান ও অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ৩৫ রানের ইনিংসে ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। তবে খেলার শুরুতেই বিপর্যয়ের মুখে পড়েছিল দল। এদিন সাব্বির-মিরাজের ওপেনিং পার্টনারশিপ ব্যর্থ হয়। ভালো শুরু করেও লিটন দাস থেমে যান মাত্র ১৩ রানে। চোট থেকে ফেরা ইয়াসির রাব্বিও সে রকম কিছু করতে ব্যর্থ হন।
এদিন দারুণ ব্যাটিংয়ে দলকে লড়াকু স্কোর করতে সাহায্য করেন আফিফ হোসেন। ব্যাটিং অর্ডারে প্রমোশন পাওয়া আফিফ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেন উইকেটের চারপাশে। ৫৫ বলে ৭ চার ও ৩ ছয়ে শেষ পর্যন্ত ৭৭ রানে অপরাজিত থাকেন আসিফ হোসেন। এদিন আফিফকে যোগ্য সঙ্গ দেন অধিনায়ক সোহান। ২৫ বলে ২টি করে চার ও ছয়ে ৩৫ রান করেন তিনি।
১৫৯ রানের টার্গেটে শুরুটা ভালো করার চেষ্টা করে ছিল সংযুক্ত আরব আমির শাহির দল। দুই ওপেনার মহম্মদ ওয়াসিম ও চিরাগ সুরি শুরুটা ভালো করার চেষ্টা করেন। স্কোর বোর্ডে ২৬ বলে ২৭ রান তোলেন। দ্বিতীয় উইকেটে ২২ বলে ৩৯ রান তোলেন সুরি ও আরিয়ান লাকরা। এতে ৮ ওভারে ৬৬ রান পেয়ে যায় আরব আমির শাহি। উভয়েই মেহেদি হাসান মিরাজের শিকার হন। সুরি ২৪ বলে ৭টি চারে ৩৯ ও লাকরা ১৯ রান করেন।
আরও পড়ুন… PAK vs ENG: রোহিত-শিখরকে পিছনে ফেলে বাইশ গজে ইতিহাস গড়ল বাবর-রিজওয়ান জুটি
এরপর আরব আমির শাহির মিডল-অর্ডারে জোড়া আঘাত হানেন দুই বাঁ-হাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম। অধিনায়ক চুন্দঙ্গাপয়িল রিজওয়ানকে ৫ রানে ফিজ ও বাসিল হামিদকে ২ রানে শিকার করেন শরিফুল। ১০২ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে লড়াই থেকে ছিটকে যায় আরব আমির শাহি। তবে অষ্টম উইকেটে ১৫ বলে ২২ রান তুলে UAE-র রানের গতি সচল রাখেন আয়ান আফজাল খান ও মিয়াপ্পন। মিয়াপ্পন যখন সাজঘরে ফিরে আসেন তখন UAEকে জিততে ১৮ বলে ৩৫ রান করতে হত।
আরও পড়ুন… ১ক্যালেন্ডার বর্ষে আন্তর্জাতিক টি-২০তে সর্বাধিক ছয় হজমের লজ্জার নজির হার্ষালের
নবম উইকেটে জুনায়েদ সিদ্দিকিকে নিয়ে সংযুক্ত আরব আমির শাহিকে জয়ের স্বপ্ন দেখান আয়ান। শরিফুলের ১৮তম ওভারে ১৪ রান নেয় আয়ান-জুনায়েদ জুটি। এই ওভারে আয়ানের ক্যাচ ফেলেন মোসাদ্দেক। জয়ের জন্য UAE-র শেষ ২ ওভারে ২১ রানের দরকার ছিল। মহম্মদ সাইফুদ্দিনের করা ১৯তম ওভার থেকে ১০ রান তোলেন তাঁরা। ম্যাচ জিততে হলে শেষ ওভারে UAE-র দরকার ছিল ১১ রান। শেষ ওভারের প্রথম দুই বলে ৩ রান নেন আয়ান ও জুনায়েদ। তবে তৃতীয় ও চতুর্থ বলে আরব আমির শাহির শেষ ২ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল। ২ বল বাকি থাকতে ১৫১ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমির শাহি। সাত রানের কষ্টার্জিত জয় পায় বাংলাদেশ।
For all the latest Sports News Click Here