৫ অক্টোবর থেকে হতে পারে ODI বিশ্বকাপ, কলকাতা নয়, ফাইনাল হবে আমদাবাদে- রিপোর্ট
আগামী ৫ অক্টোবর থেকে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ শুরু হতে পারে। ফাইনাল হতে পারে আগামী ১৯ নভেম্বর। এমনই জানানো হয়েছে ইএসপিএন ক্রিকইনফোর প্রতিবেদনে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোট ৪৮ টি ম্যাচের জন্য প্রাথমিকভাবে কলকাতা, আমদাবাদ, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, দিল্লি, ধরমশালা, গুয়াহাটি, হায়দরাবাদ, লখনউ, ইন্দোর, রাজকোট এবং মুম্বইকে বেছে নেওয়া হয়েছে। ফাইনাল হবে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৪৬ দিনে যে মোচ ৪৮ টি ম্যাচ আছে, সেগুলির মধ্যে শুধুমাত্র ফাইনালের ভেন্যু চূড়ান্ত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। প্রস্তুতি ম্যাচের জন্য কোন দুটি বা তিনটি জায়গা বেছে নেওয়া হবে, সেটা এখনও নির্ধারিত হয়নি। কিন্তু বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্ধারণ করতে এত দেরি হচ্ছে কেন? ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন সময় বর্ষা বিদায় নেওয়ার কারণে বিশ্বকাপের ভেন্যু নির্ধারণের ক্ষেত্রে এত সময় লাগছে ভারতীয় বোর্ডের। শেষবার যখন ২০১১ সালে ভারতে ৫০ ওভারের বিশ্বকাপ হয়েছিল, সেটা ২ এপ্রিলই শেষ হয়েছিল। ফলে বৃষ্টি-বাদলের তেমন ঝক্কি ছিল না।
আরও পড়ুন: চতুর্থ ব্যাটার হিসাবে সূর্য নয়, তাহলে কোন ক্রিকেটারকে এগিয়ে রাখলেন সাবা করিম?
এমনিত সাধারণত বিশ্বকাপ শুরুর এক বছর আগেই সূচি ঘোষণা করে দেয় আইসিসি। কিন্তু এবার বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা যে সেই কাজটা করতে পারেনি, সেটার পিছুনে মূলত দুটি কারণ আছে বলে ওই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বকাপর জন্য করছাড় এবং পাকিস্তান দলের ভিসায় অনুমোদনের বিষয় নিয়ে এখনও ভারত সরকারের চূড়ান্ত ছাড়পত্রের অপেক্ষা করছে বিসিসিআই। তবে গত সপ্তাহে আইসিসির ত্রৈমাসিক বৈঠকে বিসিসিআই নাকি আশ্বস্ত করেছে যে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের সদস্যদের ভিসায় অনুমোদন প্রদান করবে ভারত সরকার। আর করছাড়ের ক্ষেত্রে ভারত সরকারের কী অবস্থান, তা নিয়ে শীঘ্রই বিসিসিআই বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থাকে তথ্য প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: ভারতে 2023 ODI World Cup জিতবে বাবররা, পাক কিংবদন্তির ভবিষ্যদ্বাণী
উল্লেখ্য, আয়োজক হিসেবে ২০১৪ সাল আইসিসির সঙ্গে যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল বিসিসিআই, সেই চুক্তি অনুযায়ী, করছাড় পেতে আইসিসি ও সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিতায় যুক্ত সমস্ত বাণিজ্যিক সহযোগীকে সাহায্য করার জন্য ‘বাধ্য’ থাকবে ভারতীয় বোর্ড। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর আইসিসিকে জানানো হয় যে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের সম্প্রচার থেকে যে মুনাফা হবে, তার উপর ২০ শতাংশ কর (সারচার্জ) ধার্য করা হবে। পরবর্তীতে রাজ্য সংস্থাগুলিকে পাঠানো একটি চিঠিতে বিসিসিআই জানিয়েছিল যে আইসিসিকে যদি কর দিতে হয়, তা বিসিসিআইয়ের কোষাগার থেকে পুষিয়ে দেওয়া হবে।
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)
For all the latest Sports News Click Here