৪,৬,৪,৪,৪,৬: যত জোরে বল, তত জোরে মার, উমরান মালিককে এক ওভারেই ছারখার করলেন রানা
২২৮ রানের বোঝা ঘাড়ে নিয়ে ব্যাট করতে নামলে চাপের মুখে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা থাকে সব দলেরই। প্রবল চাপে কেকেআরও ঘরের মাঠে প্রাথমিক ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। প্রথম ৩ ওভারের মধ্যে ২০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসার পরে সবাই যখন ধরে নেয় যে ইডেনে একতরফাভাবে বিধ্বস্ত হতে চলেছে নাইট রাইডার্স, পালটা দেওয়ার কাজ শুরু করেন নীতিশ রানা।
ক্রিজে থিতু হতে খরচ করেন মোটে ৪টি বল। ৫ ওভার শেষে কলকাতার স্কোর ছিল ৩ উইকেটে ৩৪ রান। নীতিশ ব্যাট করছিলেন ৪ বলে ২ রান করে। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারে হায়দরাবাদ আক্রমণে আনে আগুনে গতির উমরান মালিককে। বল ব্যাটে আসবে বুঝেই পালটা আক্রমণ শুরু করেন নাইট অধিনায়ক।
ষষ্ঠ ওভারে উমরান মালিককে ছারখার করে রানাই কেকেআরকে লড়াইয়ে টিকিটে রাখেন। উমরানের ওভারের প্রথম বলে চার মারেন তিনি। দ্বিতীয় বলে ছক্কা হাঁকান। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম বলে পরপর ৩টি চার মারেন নীতিশ। শেষ বলে ফের ছক্কা হাঁকান রানা। সুতরাং ষষ্ঠ ওভারে উমরান মালিকের ৬টি বলে কেকেআরের ক্যাপ্টেন সংগ্রহ করেন যথাক্রমে ৪, ৬, ৪, ৪, ৪ ও ৬ রান। সেই ওভারে ২৮ রান ওঠে। কলকাতা পাওয়ার প্লে-তে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ৬২ রান সংগ্রহ করে।
উমরান মালিকের ওভারে নীতিশ রানার ৬টি বাউন্ডারি মারার ভিডিয়ো দেখতে ক্লিক করুন এখানে
নীতিশ ষষ্ঠ ওভারে ব্যাট হাতে ঝড় না তুললে মানসিকভাবে সেখানেই ভেঙে পড়ত কলকাতা। কেননা বড় রান তাড়া করতে নেমে যদি পাওয়ার প্লে-তে পর্যাপ্ত রান না ওঠে, কাজ কতটা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না কারও।
ইডেনে অধিনায়কোচিত দৃঢ়তায় লড়াই চালান নীতিশ। তাঁকে যথাযোগ্য সঙ্গ দেন রিঙ্কু সিং। যদিও শেষ পর্যন্ত লড়াই চালিয়েও ম্যাচ হারতে হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সকে। জয়ের জন্য ২২৯ রানের লক্ষ্যমাত্রা সামনে নিয়ে ব্যাট করতে নেমে কেকেআর থেমে যায় ৭ উইকেটে ২০৫ রানে। ২৩ রানে ম্যাচ জেতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
For all the latest Sports News Click Here