৩ পয়েন্ট নিয়েই কলকাতায় ফিরব- জামশেদপুরের বিরুদ্ধে নামার আগে আত্মবিশ্বাসী EB কোচ
গত ম্যাচে ওড়িশা এফসি-র বিরুদ্ধে দু’গোলে এগিয়ে থেকেও, হার মানতে হয়েছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি-কে। এক সপ্তাহ আগের সেই শোচনীয় হারের পরে রবিবার ফের আর এক প্রতিবেশি রাজ্যের দলের বিরুদ্ধে মাঠে নামার পালা ইস্টবেঙ্গলের। জামশেদপুর এফসি লিগ টেবলে তাদের চেয়েও নীচে রয়েছে। এই ম্যাচে জয়ে ফেরার সুযোগ রয়েছে বলে মনে করেন দলের হেড কোচ স্টিফেন কনস্ট্যান্টাইন। তাঁর বক্তব্য, ঘরের মাঠ বা বাইরের মাঠের ম্যাচ নিয়ে আলাদা করে ভাবেন না তিনি। সব ম্যাচই তাদের কাছে কঠিন এবং সব ম্যাচেই সেরা পারফরম্যান্স দিতে না পারলে জেতা সম্ভব নয়।
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে ম্যাচে নামার আগে নিজেদের প্রস্তুতি এবং দলের পারফরম্যান্স নিয়ে সাংবাদিকদের কী বললেন ব্রিটিশ কোচ, জানুন বিস্তারিত।
প্রশ্ন: আপনারা দু’টি জয় পেয়েছেন অ্যাওয়ে ম্যাচে। এই ম্যাচও অ্যাওয়ে। কোনও মনস্তাত্বিক সুবিধা পাবেন বলে মনে হচ্ছে?
স্টিফেন: আমরা ঘরে-বাইরে সব ম্যাচই খেলেছি কঠিন প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। জামেশদুপরও কঠিন প্রতিপক্ষ। আমি হোম বা অ্যাওয়ে ম্যাচ আলাদা করে দেখি না। অনেকে বলেন, আমাদের ঘরের মাঠে ষাট হাজার সমর্থক থাকে। যদিও গত কয়েকটি ম্যাচে ষাট হাজার মানুষ ছিল না। এতে কোনও সমস্যা বা সুবিধা হয় বলে মনে হয় না আমার।
আরও পড়ুন: শেষ মুহূর্তে পেনাল্টি পেল না হায়দরাবাদ! ১ গোলে জিতল মোহনবাগান, উঠল ৪ নম্বরে
প্রশ্ন: জামশেদপুর এফসি প্রতিপক্ষ হিসেবে কেমন?
স্টিফেন: ওরা গত বার লিগশিল্ড জিতেছিল। তাই ওদের আমি শ্রদ্ধা করি। ওদের একজন ভালো কোচ আছে। এডি বুথরয়েড অভিজ্ঞ। অনেক দিন ধরে ফুটবলে আছেন। ভালো ফুটবলারও রয়েছে ওদের দলে। প্রতিপক্ষকে আমরা শ্রদ্ধা করি। আশা করি ওদের হারিয়ে তিন পয়েন্ট নিয়েই কলকাতায় ফিরতে পারব।
প্রশ্ন: জেরি ও কিরিয়াকু কি এই ম্যাচে খেলতে পারবেন?
স্টিফেন: জেরি মনে হয় ঠিক হয়ে যাবে। কিরিয়াকুর জন্য মনে হচ্ছে অপেক্ষা করতে হবে। ওর চোটটা গুরুতর। চোখের উপর সেলাই হয়েছে। যার ফলে চোখটা ঢেকে রাখার ব্যবস্থা করতে হয়েছে এবং জায়গাটা খুব সংবেদনশীল হয়ে রয়েছে। খেলা শুরুর আগে ওর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।
আরও পড়ুন: চোট গুরুতর, ATK MB-কে চাপে ফেলে ISL 2022-23 মরশুম থেকেই ছিটকে যেতে পারেন কাউকো
প্রশ্ন: আপনি একসময় টিএফএ-র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে কি এই মাঠে আপনার দল কোনও সুবিধা পেতে পারে?
স্টিফেন: কুড়ি বছর আগে কেউ এই প্রশ্ন করলে হয়তো বলতাম, হ্যাঁ। এখানকার স্টেডিয়াম অসাধারণ। মাঠ খুবই ভাল। তাই জামশেদপুর ম্যাচ খেলার জন্য আমরা খুবই আগ্রহী। তবে টিএফএ-র সঙ্গে যুক্ত থাকার জন্য কোনও বাড়তি সুবিধা পাব বলে মনে হয় না। তবে হ্যাঁ, ফের এখানে এসে ভালো লাগছে।
প্রশ্ন: এই ম্যাচ দেখতে কলকাতা থেকে আপনাদের অনেক সমর্থকই এসেছেন। এতে কি বাড়তি শক্তি পাবেন আপনারা?
স্টিফেন: আমরা চাই, সব ম্যাচেই আমাদের সমর্থকেরা গ্যালারি ভর্তি করে থাকুক। সব ম্যাচেই ওরা থাকেন, অনেক সমর্থকই থাকেন। এটা কলকাতা থেকে এমন কিছু দূরে নয়। তাই চাইব, এই ম্যাচে আরও অনেকে আমাদের খেলা দেখতে আসুন। আশা করি, ওদের এই আত্মত্যাগ, আগ্রহ বিফলে যাবে না। সমর্থকদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই ভালো। আশা করি, এটা থাকবে। ওদের সমর্থন আমাদের দরকার। ওরা থাকলে তো ভালোই হবে।
প্রশ্ন: এই ম্যাচের দুই দলই লিগ টেবলের নীচের দিকে রয়েছে। ম্যাচে এর কী প্রভাব পড়বে?
স্টিফেন: যেহেতু আমরা কেউই ভালো জায়গায় নেই, তাই দুই দলের মধ্যেই লড়াই হবে। দু’পক্ষের কাছেই ম্যাচটা কঠিন হবে। আমাদের আশা, আমরা ম্যাচটা ভালোই খেলব এবং তিন পয়েন্ট জিতে নিয়ে যাব।
প্রশ্ন: আপনার দলে কোনও চোট-আঘাত সমস্যা আছে?
স্টিফেন: সব সময়ই থাকে। এখনও আছে। দু’-একজন কাল খেলতে পারবে না হয়তো।
For all the latest Sports News Click Here