৩৫০ বার ‘ধর্ষণ’! ‘রেপ কিং’ রঞ্জিতের স্ত্রী, শ্বাশুড়িকে কী কী শুনতে হয়েছিল জানেন?
পর্দায় মোট ৩৫০ বার ‘ধর্ষণ’ করেছেন তিনি। মদ্যপান করেননি, এ রকম ফিল্ম খুঁজে পাওয়া যায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রিতে রঞ্জিতের পরিচয় হয়ে যায় ‘রেপ কিং’ বা ‘ধর্ষণের রাজা’ বলে। পর্দায় লাম্পট্য থেকে ধর্ষণকে তাঁর মতো এতটা বিশ্বাসযোগ্য অন্য কোনও অভিনেতা করতে পেরেছেন কি? এতটাই বিশ্বাসযোগ্য হয়ে ওঠে তাঁর সেসব ‘ধর্ষণ’-এর সিকোয়েন্স যে ধীরে ধীরে তাতে রঞ্জিতের অভিনয় ছবির ইউএসপি হয়ে দাঁড়ায়!
সম্প্রতি দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ধর্ষণের রাজা’ জানিয়েছেন যে কীভাবে বলিপাড়ায় ‘ধর্ষক’ নাম কুড়িয়েছিলেন তিনি।আর তাঁর নামের সঙ্গে এই তকমা এঁটে যাওয়ার প্রভাব পড়েছিল তাঁর পেশা থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনেও। এতটাই যে নিজের কেরিয়ারে আর কোনওদিনও ‘ভালো মানুষ’ এর চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ পাননি তিনি। পাশাপাশি বাস্তবে বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজে দায় হয়েছিল তাঁর! রঞ্জিতের কথায়, ‘ভীষণ কঠিন ছিল সেই কাজ’।
বলিপাড়ার এই জনপ্রিয় ভিলেনের জবানিতেই জানা যায় তাঁর পরিবার এতটাই শান্তিপ্রিয় এবং রুচিশীল ছিল যে কোনওদিনই তিনি তাঁর মা-বাবার মধ্যে সাংসারিক অশান্তি হতে দেখেননি। মজার সুরে ‘রেপ কিং’-এ বলে ওঠেন , ‘ততদিনে আমার ভাই এবং ছোট বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। এদিকে আমি তখনও সিঙ্গল। মা-বাবা আমার বিয়ের জন্য ব্যস্ত হয়ে উঠলেও সেই সময়ে জেনেশুনে কেই বা তাঁদের মেয়েকে রঞ্জিতের সঙ্গে বিয়ে দেবেন?’ অবশ্য রঞ্জিতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রী অলকার আলাপ হয় এক ছবির শ্যুটিংয়ের ব্যাপারকে কেন্দ্র করেই। নিজের পরিচালনায় তাঁকে কাস্ট করার যখন কথাবার্তা চালাচ্ছেন রঞ্জিত, সেই সময়ে অলকাকে দেখে ভারী পছন্দ হয়ে যায় অভিনেতার পরিবারের। অভিনেতার জবানিতে, ‘আর পছন্দ না হওয়ারও কোনও কারণও ছিল না। রুচিশীল, শিক্ষিত হওয়ার পাশাপাশি যথেষ্ট আধুনিক ছিল ও। দারুণ ভালো ইংরেজির সঙ্গে পাশের বাড়ির মেয়ের মত পাঞ্জাবি বলতে পারত।’
তবে অলকার সঙ্গে রঞ্জিতের বিয়ে হয়েছিল খুব ঘনিষ্ঠ মানুষদের পরিবৃত্তের মধ্যেই। বলি-অভিনেতাই চাননি তাঁর বিয়ে নিয়ে কোনও গুঞ্জন কিংবা আলোচনা হোক। তবে মুশকিলটা হয়েছিল বিয়ের অনুষ্ঠান চুকে যাওয়ার পর।’ঝামেলাটা পাকিয়েছিল আমার স্ত্রীয়ের আত্মীয়েরা। এঁরা সেই আত্মীয় যাঁরা আমাদের বিয়ের কথা জানত না। তাই যখন জানতে পারল অলকা ‘রেপ কিং’-কে বিয়ে করেছে, রীতিমতো রগে ফেটে পড়েছিল তারা।
এমনকী আমার শ্বাশুড়িকে এও শুনতে হয়েছিল রঞ্জিতের সঙ্গে অলকার বিয়ে দেওয়ার থেকে ওঁকে বিষ খাইয়ে কিংবা জলে ডুবিয়ে মেরে ফেললে সেটাও ভালো হত! শুধু তাই নয় অলকার মা-কে সেই আত্মীয়রা আরও বলেছিল এতদিনে হয়ত রঞ্জিতের হাতে মার খেয়ে অলকার শরীরে কালশিটে পড়ে গেছে। এরপরেই রুখে দাঁড়িয়েছিলেন আমার শ্বাশুড়ি। আমার পক্ষ নিয়ে সপাটে জানিয়েছিলেন অলকা নয়, বরং এই সম্পর্কে যদি করোও মার খাওয়ার সম্ভাবনা থাকে তাহলে সে রঞ্জিতই! ‘
For all the latest entertainment News Click Here