৩১ রানের ওভার অর্জুনকে কঠিন বাস্তবের মুখে ফেলেছে,বার্তা সচিনের প্রাক্তন সতীর্থের
শুভব্রত মুখার্জি: চলতি আইপিএলের অন্যতম দুই তারকা নিঃসন্দেহে দুই বাঁহাতি ব্যাটার যশস্বী জয়সওয়াল এবং রিঙ্কু সিং। রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে বাঁহাতি ওপেনার যশস্বী জয়সওয়াল যেমন রয়েছেন স্বপ্নের ফর্মে, তেমনি কেকেআরের হয়েও ২২ গজ কাঁপাচ্ছেন রিঙ্কু সিং। নাইটদের হয়ে ফিনিশারের ভূমিকায় দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন রিঙ্কু সিং। আর তাদের এই দুরন্ত পারফরম্যান্সের পরেই প্রাক্তন ভারতীয় তারকা স্পিনার হরভজন সিংয়ের স্পষ্ট বক্তব্য এত ভালো ফর্মে থাকার সময়েই এই দুই ক্রিকেটারকে সিনিয়র দলে জায়গা দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত চলতি আইপিএলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ১২৪ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন যশস্বী জয়সওয়াল। কেকেআরের বিরুদ্ধেও অপরাজিত ৯৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন যশস্বী। অন্যদিকে রিঙ্কু, গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ ওভারে পরপর পাঁচটি বলে পাঁচটি ছয় মেরে এক অবিস্মরণীয় জয় এনে দেন দলকে। হরভজন সিং যখন একদিকে যশস্বী এবং অন্যদিকে রিঙ্কুকে দলে নেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন তখন অর্জুন তেন্ডুলকরকে আরও বেশি অনুশীলন করার পরামর্শ দিয়েছেন। অর্জুনকে তাঁর স্কিলকে আরও উন্নত করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হরভজন সিং জানিয়েছেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে যখন কেউ ভালো খেলছে এবং ভালো পারফরম্যান্স করছে তখন তাঁকে সিস্টেমের মধ্যে সুযোগ দেওয়া উচিত। আমি এটা বলছি না যে সরাসরি তাঁকে জাতীয় দলের প্রথম একাদশে সুযোগ দিয়ে দেওয়া হোক। তবে তাদেরকে সিস্টেমের মধ্যে নিয়ে এস। স্কোয়াডে সুযোগ দাও। ওরা শেখার সুযোগ পাবে। আরও উন্নতির সুযোগ পাবে। আমি মনে করি এটাই রিঙ্কু এবং যশস্বীর জন্য সঠিক সময়। এই সময়েই ওদেরকে সিনিয়র দলের ক্রিকেটারদের কাছাকাছি আনা উচিত। ২০-৩০ জনের গ্রুপে ওদেরকে জায়গা করে দেওয়া উচিত। অনেকের ধারণা থাকতে পারে যে হয়ত তাড়াতাড়ি ওদেরকে সুযোগ দেওয়া হয়ে যাচ্ছে। তবে বাস্তবটা মোটেও তাই নয়। তারা এই পর্যায়ে খেলছে এবং সাফল্যের সঙ্গেই খেলছে। ওদেরকে এখন সুযোগ দাও না হলে দেরি হয়ে যেতে পারে।’
অর্জুন তেন্ডুলকর সম্বন্ধে বলতে গিয়ে হরভজন সিং বলেন ‘ওঁর স্কিলের আরও উন্নতি করতে হবে। হ্যাঁ এটা ঠিক অনেকের একটু সময় লাগে। এমনকি ৫০ ম্যাচে খেলা একজন ক্রিকেটারও নিশ্চিত নন যে তিনি একজন ‘সলিড’ ক্রিকেটর। প্রতিটি ম্যাচেই কিছু না কিছু শিখবে। ওকে মাঠে খেলতে দেখে ভালো লাগছে। আমরা সবাই ওঁর ওই ৩১ রানের ওভারটা দেখেছি। বড় বড় তারকারাও পিটুনি খেয়েছেন। এটার ভালো দিক হল এটা থেকে অর্জুন শিখতে পারবে। না খেললে তো অর্জুন খেলাটার কঠিন বাস্তবটাই জানতে পারত না। অর্জুন যে কটা ম্যাচে খেলেছে রোহিত সবকটাতেই ওঁকে দিয়ে পুরো ওভার বল করায়নি। এর থেকে বোঝা যায় যে অর্জুনের বোলিংয়ের উপর সম্পূর্ণ আস্থা নেই রোহিতের। কোন কোন জায়গায় ওঁকে কাজ করতে হবে সেটা বুঝে অর্জুনকে অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত।’
For all the latest Sports News Click Here