৩০ বছরে প্রথমবার! ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়াকে ODI সিরিজে হারাল শ্রীলঙ্কা, নবজাগরণ?
শেষ হল তিন দশকের প্রতীক্ষা। ঘরের মাঠে ৩০ বছরে প্রথমবার অস্ট্রেলিয়াকে একদিনের সিরিজে হারাল শ্রীলঙ্কা। মঙ্গলবার রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে অজিদের চার রানে হারিয়ে পাঁচ ম্যাচের একদিনের সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন দাসুন শানাকারা।
মঙ্গলবার টসে জিতে কলম্বোয় প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। শুরুটা দারুণ হয় অজিদের। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে যান শ্রীলঙ্কার ওপেনার নিরোশান ডিকওয়েল্লা। সেই ধাক্কা সামলানোর আগেই ৯.৫ ওভারে তিন উইকেট পড়ে যায় শ্রীলঙ্কার। তখন স্কোরবোর্ডে শ্রীলঙ্কার রান ছিল মাত্র ৩৫।
আরও পড়ুন: নিজের পাঁচ বছরের ছেলের বলেই আউট পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক! ভাইরাল হল ভিডিয়ো
সেখান থেকে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের হাল ধরেন ধনঞ্জয় ডি সিলভা এবং চরিথ আসালঙ্কা। ধনঞ্জয় ৬০ রান করে আউট গেলেও আসালঙ্কা শ্রীলঙ্কাকে এগিয়ে যেতে থাকেন। একদিকে যখন তাঁর অপর প্রান্তের ব্যাটাররা পরপর আউট হয়ে যাচ্ছেন, সেই অবস্থায় দাঁড়িয়ে শতরান করেন। শেষপর্যন্ত ১০৬ বলে ১১০ রান করে আউট হন। আসালঙ্কা আউট হওয়ার পর মাত্র আটটি বল করতে হয় অস্ট্রেলিয়াকে। ৪৯ ওভারে ২৫৮ রানে অল-আউট হয়ে যায় দ্বীপরাষ্ট্র। অজিদের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন প্যাট কামিন্স, মিচেল মার্শ এবং ম্যাথু কুনেমান।
সেই রান তাড়া করতে নেমে শূন্য রানে আউট হয়ে যান ফিঞ্চ। তবে অস্ট্রেলিয়াকে টানতে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং মার্শ। ১১.৪ ওভারে ৬৬ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। ওয়ার্নার একদিকে টিকে থাকলেও আউট হয়ে যান মার্নাস ল্যাবুশেন, অ্যালেক্স ক্যারি, ট্র্যাভিস হেড এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। বিশেষত ল্যাবুশেন, ক্যারি এবং এবং ভালো শুরু আউট হয়ে যান।
হেড যখন আউট হন, তখন অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ছিল ৩৫.৫ ওভারে পাঁচ উইকেট ১৮৯ রান। যা ৩৭.১ ওভারে দাঁড়ায় সাত উইকেটে ১৯২ রান। ৯৯ রানে আউট হয়ে যান ওয়ার্নার। তারপর চেষ্টা করেছিলেন ক্যামেরুন গ্রিন, কামিন্সরা। গ্রিন অবশ্য বেশি ক্রিজে থাকেননি। শেষ দু’ওভারে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার দরকার ছিল ২৫ রান। সেই পরিস্থিতিতে দুর্দান্ত ৪৯ তম ওভার করেন চামিকা করুণারত্নে। মাত্র ছ’রান দিয়ে কামিন্সকে আউট করেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) তারকা।
আরও পড়ুন: বল করার আগে ডান্স করছেন বোলার! নিশ্চিত ক্রিকেটে কখনও এমন ডেলিভারি দেখেননি
সেই দুর্দান্ত ওভারের সৌজন্যে ছ’বলে ১৯ রান বাকি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। ক্রিজে ছিলেন জস হেজেলউড এবং কুনেমান। প্রথম বলে কোনও রান না দিলেও পরের চার বলে তিন বাউন্ডারি খান অধিনায়ক শানাকা। মোট ১৪ রান দেন। তার ফলে শেষ বলে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ রান দরকার ছিল। সেই বলে কুনেমানকে আউট করে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে নবজাগরণের সূচনা করেন শানাকা।
যে ঐতিহাসিক ম্যাচে শ্রীলঙ্কা যে সাত বোলারকে ব্যবহার করেছিল, তাঁদের মধ্যে ছয় বোলারই উইকেট পান। দুটি করে উইকেট নেন ধনঞ্জয় এবং জেফ্রে ভ্যানডারসে। একমাত্র আসালঙ্কা কোনও উইকেট পাননি। তবে দুর্দান্ত শতরানের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
For all the latest Sports News Click Here