২ লাখ টাকার জামিন পেয়েও শান্তি নেই, আর্থিক প্রতারণার মামলায় ফের আদালতে জ্যাকলিন
২০০ কোটির আর্থিক প্রতারণার মামলায় বৃহস্পতিবার ২৪ নভেম্বর ফের আদালতে গেলেন জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ। বৃহস্পতিবার সকাল-সকাল তাঁর দেখা মিলল দিল্লির পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের সামনে। প্রতারক সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে যোগ থাকায় তাঁরও নাম জড়িয়েছে প্রাতরণার কেসে। ২ লাখ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেয়েছিলেন তিনি ১৫ নভেম্বর।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকবছর ধরে তিনি রয়েছেন ইডির নজরে। কনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখরের সঙ্গে তিনি প্রেম-সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন বলেই দাবি ইডির।কালিমালিপ্ত অতীতের কথা জেনেও কেবলমাত্র টাকার লোভে তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হন অভিনেত্রী, দাবি ছিল ইডির। আর এই কারণে আদালতের কাছে ইডির তরফে আবেদনও করা হয়েছিল যাতে জ্যকলিনকে জামিন না দেওয়া হয়। সেইসময় বলা হয়েছিল, দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন জ্যাকলিন যে কোনও সময়। পাশাপাশি এই মামলার তথ্য-প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করছেন। যদিও সেই সম্ভবনা আগেই উড়িয়েছেন অভিনেত্রীর আইনজীবী। তদন্ত আগেই শেষ হয়েছে, ইতিমধ্যেই আদালতে চার্জশিট জমা পড়েছে, নতুন করে তদন্তের প্রয়োজনে জ্যাকলিনকে হেফাজতে নেওয়ার দরকার নেই- অভিনেত্রীর কৌঁসুলির এই দলিল মেনে নিয়েছে আদালত। এর আগে গত ২৬শে সেপ্টেম্বর ৫০ হাজার টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে অন্তর্বতী জামিন পেয়েছিলেন ‘রাম সেতু’ অভিনেত্রী।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ২০০ কোটির আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুকেশ এবং তাঁর স্ত্রী লীনা মারিয়া পল। গ্রেফতারির পর সুকেশের সঙ্গে জ্যাকলিন ফার্নান্ডিজের ঘনিষ্ঠতার কথা প্রকাশ্যে আসে। ফাঁস হয় দুজনের অন্তরঙ্গ একাধিক ছবি। যার মধ্যে একটিতে দেখা গিয়েছিল দুজনেই বিছানায়। আর কিক-অভিনেত্রীর ঘাড়ে গলায় লাভ বাইট।
জেরায় জ্যাকলিন নিজেই স্বীকার করেছিলেন, সুকেশের থেকে কোটি কোটি টাকার উপহার নিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে দামি গাড়ি, হিরের গয়না, ব্র্যান্ডেড ব্যাগ। এমনকী, জ্যাকলিনের মা-বাবা, ভাই-বোনকেও টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন সুকেশ। সবমিলিয়ে ৫-৬ কোটি সুকেশ খরচ করেছিলেন জ্যাকলিনের পিছনে। এদিকে সুকেশের দাবি, যা জেল থেকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, তাঁর আর নায়িকার শুধুই ভালোবাসার সম্পর্ক ছিল। এই মামলার সঙ্গে কোনওভাবে জড়িত নয় তাঁর ‘লেডি লাভ’।
For all the latest entertainment News Click Here