২২ বলে অর্ধশতরান,IPL-এর থেকেও ধ্বংসাত্মক মেজাজে প্রতিপক্ষকে ছারখার করলেন রুতুরাজ
আইপিএলে যেখানে শেষ করেছিলেন, এমপিএলে কার্যত সেখান থেকেই শুরু করলেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। বরং বলা ভালো যে, এবার আরও ধ্বংসাত্মক মেজাজে ধরা দেন তিনি।
আইপিএল ২০২৩-এর উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত হাফ-সেঞ্চুরি করেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়। দল হারলেও রুতুরাজের ৫০ বলে ৯২ রানের আগ্রাসী ইনিংসটিই চেন্নাইকে ছন্দ পেতে সাহায্য করে। ঠিক একই রকমভাবে মহারাষ্ট্র প্রিমিয়র লিগের উদ্বোধনী ম্যাচে ধ্বংসাত্মক হাফ-সেঞ্চুরি করেন গায়কোয়াড়। এবার অবশ্য তাঁর দল দাপুটে জয় তুলে নেয় টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে।
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়র লিগে চেন্নাইয়ের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯০ রান করার পরে আত্মবিশ্বাসে ফুটছেন রুতুরাজ। বৃহস্পতিবার তাঁর ব্য়াটিংয়ে সেই আত্মবিশ্বাসেরই ছাপ ফুটে ওঠে। কোলাপুর টাস্কার্সের বিরুদ্ধে মাত্র ২২ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পুণেরি বাপ্পার ক্যাপ্টেন। শেষমেশ ৫টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৬৪ রানের ধুমধাড়াক্কা ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন রুতুরাজ। পুণেরি বাপ্পা ৩৫ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে পরাজিত করে কোলাপুরকে।
মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টোডিয়ামে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে কেদার যাদবের নেতৃত্বাধীন কোলাপুর। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করে। অনবদ্য হাফ-সেঞ্চুরি করেন অঙ্কিত বাউনি। তিনি ৫টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ বলে ৭২ রান করে মাঠ ছাড়েন।
কেদার যাদব ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২২ বলে ২৫ রান করে আউট হন। এছাড়া নৌশাদ শেখ ২৪ বলে ২০ রানের যোগদান রাখেন। টপ অর্ডারের প্রথম তিনজন ব্যাটসম্যান ছাড়া বাকিরা কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। পুণেরি বাপ্পার হয়ে ৩টি করে উইকেট নেন সচিন ভোসালে ও পীযূষ সালভি। ১টি উইকেট নেন রোহন দামলে।
পালটা ব্যাট করতে নেমে পুণেরি বাপ্পা ১৪.১ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। রুতুরাজের পাশাপাশি হাফ-সেঞ্চুরি করেন পবন শাহ। তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৮ বলে ৫৭ রান করে মাঠ ছাড়েন। সূরজ শিন্ডে ১৭ রান করে অপরাজিত থাকেন। কোলাপুরের হয়ে ১টি করে উইকেট নেন শ্রেয়স চাবন ও তরনজিৎ সিং। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
For all the latest Sports News Click Here