২০২০ নিলামে চায়নি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি আমাকে দলে নিক- আজব গল্প শোনালেন RCB তারকা
শুভব্রত মুখার্জি: এই মুহূর্তে ব্যাট হাতে কার্যত স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন মিডল অর্ডার ব্যাটার তথা অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। ঘরোয়া ক্রিকেটের ২২ গজে রীতিমতো আধিপত্য বিস্তার করে খেলছেন বাংলার এই ব্যাটার। বিপক্ষ বোলারদের রাতের ঘুম তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটে। পাশাপাশি তাঁর স্পিনের ছোবলে কুপোকাত হন বিপক্ষ ব্যাটাররা। আর কয়েক দিন বাদেই শুরু হতে চলেছে আইপিএল। আর আইপিএলে তাকে খেলতে দেখা যাবে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের হয়ে। ২০২০ সালের নিলামের মধ্যে দিয়ে তাঁকে দলে নিয়েছিল আরসিবি। প্রথমে অবিক্রিত থাকলেও পরে তাঁকে দলে নেয় ব্যাঙ্গালোর। আর সেই বছরেই নাকি আরসিবি তারকা চাননি কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি তাঁকে দলে নিক! এমন অদ্ভুত দাবিই করেছেন তিনি। পাশাপাশি এর কারণও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমি কিংবদন্তি- রাসেলের হুঙ্কারের মাঝেই তাঁর KKR অধিনায়ক হওয়া নিয়ে গুঞ্জন
এখনও পর্যন্ত একবারও আইপিএলের শিরোপা জিততে পারেনি আরসিবি। ফলে এই মরশুমে তারা মুখিয়ে থাকবে এই ট্রফি জয় করতে। তাদের এই চ্যালেঞ্জ সফল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন অলরাউন্ডার শাহবাজ আহমেদ। ২ এপ্রিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে এ বারের আইপিএল অভিযান শুরু করবেন শাহবাজরা। ২৮ বছরের তারকা বোলিং অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, ২০২০ সালে যে বছর আরসিবি তাঁকে দলে নেয়, সেই বছরে তাঁর কাঁধে চোটের একটা সমস্যা হয়েছিল। আর সেই কারণেই নাকি তিনি চাননি যে কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজি নিলামের মধ্যে দিয়ে তাঁকে দলে নিক।
আরও পড়ুন: পন্তের জার্সি নম্বর নিজেদের টুপি, টি-শার্টে ব্যবহার করার কথা ভাবছেন DC কোচ
আরসিবি পডকাস্টে শাহবাজ আহমেদ বলেছেন, ‘আমি কখনও ভাবিনি যে, নিলামে আরসিবি আমাকে দলে নেবে। আমার কাছে বিষয়টি খুব বিস্ময়ের ছিল। সত্যি বলতে ওই বছরে আমার কাঁধে একটা চোট ছিল। প্রত্যেক ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে আইপিএলে খেলা। ওই সময়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি ভালো পারফরম্যান্স করছিলাম। আমার ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের লোকেরা আমাকে বলেছিল, নিলামে আমার একটা সুযোগ আসতে পারে। তবে তখনও আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে, আরসিবি আমাকে কিনতে পারে। সত্যি বলতে, আমি ভাবছিলাম যে খুব ভালো হয় যদি আমি অবিক্রিত থেকে যাই। কারণ আমি চাইনি, আইপিএল চলাকালীন আমি নতুন করে কোনও সমস্যায় পড়ি। আমি যদি ফিট না থাকি, তা হলে গোটা মরশুমটা আমার নষ্ট হয়ে যেতে পারে। আমার সতীর্থ ইশান পোড়েলকে সে বার প্রথমে পঞ্জাব নেয়। এর পর আমার পালা ছিল। প্রথম পর্যায়ে আমি অবিক্রিত থেকে যাই। আমি খুশি হয়েছিলাম। আমি টিভি বন্ধ করে দিই এর পর। কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলাম। তবে নিলামের শেষ দিকে এসে আমার এক বন্ধু আমাকে ফোন করে জানায়, আমাকে আরসিবি দলে নিয়েছে। সেই সময়ে ভেবেছিলাম, এর পর আমার সঙ্গে কি হতে চলেছে। আমার ফিল্ডিং করতে সমস্যা হচ্ছিল। আর বিরাট (কোহলি) ভাই এটা নিয়ে খুব খুঁতখুঁতে। তবে কোভিড আমার ভাগ্য যেন বদলে দেয়। ওই সময়ে লকডাউনে আমার কাঁধের অপারেশন হয়। যখন দলের প্রথম অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিই, তখন আমি সম্পূর্ণ ফিট হয়ে যোগ দিই।’
For all the latest Sports News Click Here