‘২০১১ সেমিতে জিতলে পাকিস্তান তাজে থাকত, সেটা মেনে নিতে পারত না ভারতীয় দল’
শুভব্রত মুখার্জি: দীর্ঘ ২৮ বছর পরে ২০১১ সালে মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ফাইনালে শ্রীলঙ্কা দলকে হারিয়ে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ পেয়েছিল ভারত। ১৯৮৩ সালে কপিল দেবের নেতৃত্বাধীন ভারত বিশ্বকাপ জেতার পরবর্তীতে ২৮ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে টিম ইন্ডিয়াকে। তারপরেই এসেছে সাফল্য। ফাইনালে যাওয়ার টিকিট ভারত নিশ্চিত করেছিল সেমিফাইনালে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তান দলকে হারিয়ে। ওই ম্যাচে যদি মিসবাহ উল হকরা জিতত তাহলে ফাইনালে টিকিট নিশ্চিত করার পাশাপাশি মুম্বইয়ের ‘আইকনিক’ তাজ হোটেলেও থাকার সুযোগ পেত তারা। উল্লেখ্য যে তাজ হোটেল কেঁপে উঠেছিল পাকিস্তানি আতঙ্কবাদীদের আক্রমণে। সুতরাং সেমিফাইনাল নিয়ে কোন ‘দরাদরি’র জায়গায় ছিল না ভারতীয় দল। এমন আবহে ম্যাচে কোনওভাবেই পাকিস্তানকে জিততে দিয়ে তাজ হোটেলে থাকার সুযোগ করে দেওয়া একেবারেই আদর্শ হত না বলে মনে করেন তৎকালীন ভারতীয় দলের গুরুত্বপূর্ণ কোচিং স্টাফ প্যাডি আপ্টন।
তৎকালীন হেড কোচ গ্যারি কার্স্টেনের সহকারী প্যাডি আপ্টন জানিয়েছেন এই ম্যাচটির আগে যথেষ্ট ‘অতিরিক্ত’ রাজনৈতিক চাপ ছিল। বিষয়টি সকলে জানত ও। ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচ এমনিতেই আলাদা উত্তেজনার রসদ বয়ে আনে। তার উপর আইসিসি ইভেন্টের নক আউট পর্যায়ের ম্যাচ হলে যে আলাদা টেনশন থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে এই বিশ্বকাপ জয়ের ১১ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক আর্টিকেলে তিনি লিখেছেন ‘ ম্যাচের আগে অতিরিক্ত বাহ্যিক একটা রাজনৈতিক চাপ ছিল। কেউ বিষয়টি কোনওদিন জনসমক্ষে না বললেও সকলেই সেটা জানত। এই (সেমিফাইনাল) ম্যাচটা জিতলে পাকিস্তান দল থাকত তাজ হোটেলে যা সেই সময় ছিল আতঙ্কবাদীদের মূল লক্ষ্য। কেউ কিছু না বললেও সকলেই জানত এর একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সেই কারণেই বিষয়টি একেবারেই আদর্শ হত না যদি ম্যাচটিতে পাকিস্তানকে জিততে দেওয়া হত এবং তারা তাজ হোটেলে থাকত। ফলে আলাদা একটা চাপ তৈরি হয়েই ছিল। ম্যাচটিতে ‘দর’ কষাকষির জায়াগাতেই ছিল না ভারতীয় দল।’
For all the latest Sports News Click Here