‘২০১১-র বিশ্বকাপে যুবি বমি করলে ঠাট্টা করতাম..’, ভুল স্বীকার ভাজ্জির
টিম ইন্ডিয়ার বিশ্বজয়ের ১২ বছর পূর্ণ হল গত ২রা এপ্রিল। সেই ম্যাচে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হন যুবরাজ সিং। তার অসাধারণ ফর্মের কথা প্রত্যেক ভারতবাসীর মনে গেঁথে আছে। দেশবাসীর সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বের মন জয় করে নিয়েছিলেন যুবরাজ। তবে সেই অসাধারণ ফর্মের পিছনে লুকিয়ে ছিল মারাত্মক রোগ ক্যানসার। কিন্তু তিনি তা কাউকেই বুঝেতে দেননি তিনি। রক্ত বমি হয়েছে ব্যাটিংয়ের সময়। তবুও ম্যাচে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁর ছোটবেলার বন্ধু ও ভারতীয় দলের সতীর্থ হরভজন সিং ১২ বছর পর যুবরাজের ক্যানসার নিয়ে মুখ খুললেন। জানালেন, কীভাবে টুর্নামেন্ট চলাকালীন যুবির অসুস্থতাজনিত কাশি নিয়ে তাঁরা হাসিঠাট্টা করতেন! আসলে কেউই যে জানতেন না তাঁদের সতীর্থের শরীরে বাসা বেঁধেছে ক্যানসর।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন তারকা অফস্পিনার বলেন, ‘প্রতিটা ম্যাচের আগেই যুবরাজ খুব উৎকণ্ঠায় ভুগত। এমনকী ও ব্যাটিং করতে করতেও কাশত। কখনও কখনও বমিও হয়ে যেত। আমরা তখন মজা করে বলতাম, এইতো বয়স এতো কাশছিস কেন। কিন্তু আমরা বুঝতেই পারতাম না সে কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমন অসুস্থতা নিয়েই পুরো বিশ্বকাপ খেলেছিল ও।’
২০১১ বিশ্বকাপ জয়ের পর আচমকাই শোনা যায় যুবরাজ সিংয়ের ক্যানসার ধরা পড়েছে। যা শুনে প্রত্যেকেই অবাক। কিন্তু ক্যানসর জয় করে ফের ২২ গজে ফিরেও আসেন যুবি। মারণ রোগকে শরীরের সঙ্গে নিয়েও তিনি খেলে গিয়েছে। শুধু তাই নয়, ২০১১ বিশ্বকাপে টুর্নামেন্টের সেরাও হন তিনি। বিশ্বকাপ জয়ের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি। যুবির জন্য গর্বিত ভাজ্জি। তিনি বলেন, ‘প্রথমে আমরা ওর অসুস্থতার কথা বুঝতে পারিনি। ওকে নিয়ে মজা করতাম। এমন এক চ্যাম্পিয়নকে কুর্নিশ জানাই।’
হরভজন সিং মনে করেন, যুবরাজ ভারতীয় দলে না থাকলে বিশ্বকাপ জিততে পারত না ভারত। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় যুবরাজ সিং না থাকলে ভারত ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জিতত না। যুবরাজের মতো ক্রিকেটার ভারতীয় দলে দ্বিতীয় ছিল না। তাই বিশ্বকাপ জয়ের জন্য যুবির হাত অনেকটাই রয়েছে।’
যুবরাজ ভারতের হয়ে দু’বার বিশ্বকাপ জিতেছেন সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রাক্তন তারকা স্পিনার হরভজন। উল্লেখ্য ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালে একদিনের বিশ্বকাপ দলে ছিলেন যুবরাজ সিং। এ বিষয়ে ভাজ্জি বলেন, ‘একবার নয়, দু’বার ও আমাদের বিশ্বকাপ জিততে সাহায্য করেছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১ ওভারে ছ’টি ওভার বাউন্ডারি আমরা কেউ ভুলতে পারিনি।’
For all the latest Sports News Click Here