১৯-এ ১৬, কেভিন ডুরান্টের সৌজন্যে বাস্কেটবলে অব্যাহত যুক্তরাষ্ট্রের দাপট
বছরের শুরুটা হয়েছিল হতাশা দিয়ে। দুটি প্রদর্শনী ম্যাচে পরাজয়ের পাশপাশি অলিম্পিক্সের শুরুতেই ফ্রান্সের কাছে হারতে হয়েছিল আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বাস্কেটবল দলকে। তবে যেখানে জয়ের প্রয়োজন সেখানে ঠিক নিজেদের জাত চেনালেন কেভিন ডুরান্টরা। স্বর্ণপদকের ম্যাচে ফ্রান্সকে ৮৭-৮২ স্কোরলাইনে হারিয়ে অলিম্পিক্স বাস্কেটবলে নাগাড়ে চতুর্থ স্বর্ণপদক জিতল যুক্তরাষ্ট্র।
অলিম্পিক্সে বরাবরই আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র সেরাদের মধ্যে থাকে। এবারের টোকিও অলিম্পিক্সেও তার অন্য়থা হয়নি। পদক তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলে মোট পদকের বিচারে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে কোন দেশের অ্যাথলিটরা অধিক পদক জেতেননি। বাস্কেটবলে ফ্রান্সকে হারিয়ে এবারের অলিম্পিক্সে নিজেদের ৩৩ নম্বর স্বর্ণপদক জিতল আমেরিকা।
অলিম্পিক্স বাস্কেটবল এবং যুক্তরাষ্ট্র যেন সমার্থক। কোন দেশ এত দীর্ঘ সময় ধরে এক খেলায় এমন দাপট হয়তোই দেখিয়েছে বা দেখাবে। আজ অবধি কখনও অলিম্পিক্সের মঞ্চ থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়নি আমেরিকাকে। অবিশ্বাস্য মনে হলেও নিজেদের ১৯ নম্বর অলিম্পিক্সে এটি তাদের ১৬ নম্বর স্বর্ণপদক।
ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দলকে জয়ের এনে দেন ডুরান্ট। সঙ্গেই গড়েন একাধিক নজির। কারমেলো অ্যান্থনির পরে দ্বিতীয় বাস্কেটবল খেলোয়াড় হিসাবে তিন নম্বর সোনা জিতলেন ডুরান্ট। অলিম্পিক্সের মঞ্চে ডুরান্ট বরাবরই নিজের সেরাটা দেন। তাঁর থেকে অন্য কোন যুক্তরাষ্ট্র খেলোয়াড় বেশি পয়েন্ট স্কোর করেননি। এমনকী প্রতি ম্যাচে পয়েন্টের বিচারেও তিনিই সেরা।
(টোকিও অলিম্পিক্স ২০২০-র যাবতীয় খবর, আপডেটের জন্য চোখ রাখুন হিন্দুস্তান টাইমস বাংলায়)
জয়টা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্র কোচ গ্রেগ পোপোভিচের কাছেও। প্রায় পাঁচ দশক আগে ১৯৭২ সালের অলিম্পিক্স দলে নিজের জায়গা করতে ব্যর্থ হন পোপোভিচ। খেলোয়াড়হিসাবে না হলেও কোচ হিসাবে পদক জিতে অধরা স্বপ্ন সত্যি হল তাঁর। তবে এই জয়ের বিন্দুমাত্র কৃতিত্ব না নিয়ে, তিনি দলের খেলোয়াড়দেরই ধন্যবাদ জানান। অলিম্পিক্সে কোন খেলায় এমন আধিপত্য হয়তোই কেউ দেখাতে পারবে।
For all the latest Sports News Click Here