১৪ বছর আগে RCB-র বিরুদ্ধেই লজ্জার নজির গড়েছিল রাজস্থান, ফিরে এল সেই কালো দিনের
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে একেবারে ল্যাজেগোবরে হল রাজস্থান রয়্যালস। ঘরের মাঠেই নিজেদের মুখ পোড়াল পিঙ্ক আর্মি। ১৭২ রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ৫৯ রানেই গুটিয়ে গেল রাজস্থানের ইনিংস। ১১২ রানে জয় বিশাল জয় ছিনিয়ে নিল আরিসিবি। আর ১৪ বছর আগের কেপটাউনের সেই লজ্জার স্মৃতি রবিবার ফিরল জয়পুরে।
এ দিন আরসিবি-র বিরুদ্ধে তারা তাদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর করল। ২০০৯ সালে কেপ টাউনে আরসিবি-র বিরুদ্ধে ৫৮ রান করেছিল রাজস্থান। এটাই তাদের করা সর্বনিম্ন স্কোর। রবিবার জয়পুরে তারা ৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। এটা রাজস্থানের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোর। তৃতীয় এবং চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর তারা করেছে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে। ২০১১ সালে কলকাতায় এবং ২০২১ সালে শারজায় তারা যথাক্রমে ৮১ এবং ৮৫ রান করেছিল।
এ দিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে আরসিবি। আইপিএলের শেষ প্রান্তে চলে এসেও তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার ছবিটা পাল্টায়নি। গোটা প্রতিযোগিতা ধরে বিরাট কোহলি, ফ্যাৎ ডু’প্লেসি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দলের বেশির ভাগ রান তুলেছেন। রবিবার রাজস্থানের বিরুদ্ধে ম্যাচেও অবশ্য কোহলি ফ্লপ হলেন। রান করলেন ম্যাক্সি এবং ফ্যাফ। বিরাট ১৯ বলে ১৮ করে সাজঘরে ফিরলেদলের হাল ধরেন ফ্যাফ এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা ৬৯ রান যোগ করেন। ৪৪ বলে ৫৫ করে আউট হন ফ্যাফ। আর ৩৩ বলে ৫৪ করেন ম্যাক্সি। বাকি শেষ পাতে মিষ্টি দইয়ের মতো ছিল অনুজ রাওয়াতের ইনিংস। তিনি ১১ বলে ২৯ রান করে আরসিবি-র স্কোর নিয়ে যান ৫ উইকেটে ১৭১ রানে। যা নিঃসন্দেহে প্রতিযোগীতামূলক একটি স্কোর। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরের পৌঁছাননি। মহিপাল লোমরোর (২ বলে ১), দীনেশ কার্তিক (২ বলে ০), ব্রেসওয়েলরা (৯ বলে ৯) চূড়ান্ত হতাশ করেন। রাজস্থানের কেএম আসিফ এবং অ্যাডাম জাম্পা ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১টি উইকেট নিয়েছেন সন্দীপ শর্মা। দু’জনই রান করলেন। বাকিরা সবাই ব্যর্থ।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে থরথর করে কাঁপছিল রাজস্থানের ব্যাটিং অর্ডার। একের পর এক উইকেট তারা হারাতে থাকে। পাওয়াপ প্লে-তেও মাত্র ২৮ রানে ৫ উইকেট পড়ে গিয়েছিল। ০-০-৪-১০-৪- এটা আসলে আরআর-এর প্রথম পাঁচ ব্যাটারের রান। ব্যতিক্রম বলতে শিমরন হেতমায়েরের ১৯ বলে ৩৫ রানের ইনিংসটি। আর জো রুট ১০ করেছেন। দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছানো তো দূরের কথা, এর বাইরে ৫ রানও কেউ করতে পারেননি। মাত্র ১০.৩ ওভারে খড়কুটোর মতো ভেসে যায় রাজস্থান। ৫৯ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা।
আরসিবি-র বোলারদের দাপটেই ১১২ রানে হেরে প্লে-অফের লড়াই মারাত্মক জটিল করে ফেলল রাজস্থান। ওয়েন পার্নেল তিন উইকেট নেন। ২টি করে উইকেট নেন ব্রেসওয়েল এবং কর্ণ শর্মা।
রাজস্থানের এখনও সামান্য আশা বেঁচে থাকলেও, সেই পথ বড় দুরুহ। ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে উঠে এল আরসিবি। রাজস্থান একই ম্যাচে একই পয়েন্ট নিয়ে নেমে গেল ছয়ে। আগের ম্যাচে ইডেনে কলকাতাকে হারিয়ে যে রানরেট সংগ্রহ করেছিল রাজস্থান, এ দিন বিশাল ব্যবধানে হেরে তার সবটাই জলে দিল।
For all the latest Sports News Click Here