হেরে ভূত সলমন-আমির! ‘২০০ কোটি কামাবে দ্য কেরালা ফাইলস’: তরণ আদর্শ, ৭ দিনে আয় কত?
‘দ্য় কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সারা দেশে শোরগোল। এই বিতর্কিত ছবিকে ইতিমধ্য়েই নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। যদিও তাতে ছবির বক্স অফিস কালেকশন খুব বেশি প্রভাবিত হচ্ছে না। বরং লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পরিচালক সুদীপ্ত সেনের এই ছবির আয়। দু-হাতে লক্ষ্মীলাভ করছেন নির্মাতারা। বুধবারের পর বৃহস্পতিবারেও দেশজুড়ে এই ছবি দেখতে দর্শকদের ভিড় উপচে পড়ল হলে। দেশজুড়ে মোট ১২.৫০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে আদাহ শর্মা, যোগিতা বিহানি অভিনীত এই ছবি। এর সুবাদে সাত দিনে দেশের বক্স অফিসে ৮১.৩৬ কোটি টাকার ব্যবসা হাঁকালো এই ছবি। ইতিমধ্যেই ‘ব্লকবাস্টার’-এর তকমা সেঁটে গিয়েছে ছবির নামের পাশে।
বৃহস্পতিবার আমির খানের লাল সিং চড্ডার লাইফটাইম কালেকশনকে ছাপিয়ে গেল ‘দ্য কেরালা স্টোরি’। প্রায় ১৫০ কোটির বাজেটে তৈরি আমিরের ছবি দেশের বক্স অফিসে কামাই করেছিল মাত্র ৬৯.৯২ কোটি টাকা! সাত দিনেই সেই অঙ্ক পার করে ফেলেছেন আদা শর্মারা। অন্যদিকে মুক্তির তিন সপ্তাহ পর সলমন খানের ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’ এখনও ১১০ কোটির গণ্ডি পার করে পারেনি ভারতের বক্স অফিসে। বৃহস্পতিবার এই ছবির কালেকশন ছিল মাত্র ২৪ লাখ টাকা! আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সলমনের ছবির আয়কে পার করে দেবে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’।
বক্স অফিস বিশেষজ্ঞ তরণ আদর্শ, এদিন টুইট বার্তায় জানান সপ্তাহের শুরুর দিনগুলোতে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’র যে পরিমাণ টিকিট বিক্রি হয়েছে যা বলিউডের চোখ খুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। তিনি সঙ্গে জানান, ‘প্রথমের (৩৫.৬৫ কোটি) চেয়ে দ্বিতীয় সপ্তাহান্তে আরও বেশি টাকা আয় করবে দ্য কেরালা স্টোরি…. এই ছবি আরামসে দেশের বক্স অফিসে ২০০ কোটি টাকার গণ্ডি পার করে ফেলবে, যার যা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে তাতে ২৫০ কোটির লক্ষ্যও খুব বেশি মুশকিল হবে না’।
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’-এর পর ফের একবার বিতর্কে ভর দিয়েই বক্স অফিসে ছক্কা হাঁকাচ্ছে কোনও ছবি তা অস্বীকার করার জো নেই। দর্শকদের পাশাপাশি সমালোচকদের সঙ্গে কমবেশি ভালো সাড়া পেয়েছে এই ছবি। ছবির ট্রেলারে দাবি করা হয়েছিল কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলাকে গায়েব করা হয়েছে, ছলে-বলে-কৌশলে তাঁদের ইসলাম গ্রহণে বাধ্য করা হয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদী সংগঠন আইসিসের অত্যাচারের শিকার সেইসব মহিলারা। সেই নিয়ে কম বিতর্ক দানা বাঁধেনি।
পরে অবশ্য় নির্মাতারা ৩২ হাজার সংখ্যাটি ছবি থেকে সরিয়ে দেন। ট্রেলারটিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মুছে ফেলা হয়নি। তাতেও বিতর্কের আঁচ কমেনি। ইতিমধ্যেই বাংলায় এই ছবির বিরুদ্ধে জারি নিষেধাজ্ঞার নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন দাখিল করেছেন নির্মাতারা। এই ঘটনায় রীতিমতো সরগম দেশের রাজনৈতিকমহল। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশ, উত্তরপ্রদেশের পর বিজেপি শাসিত অপর রাজ্য হরিয়ানাতেও করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে ধর্মান্তকরণের এই ছবি।
For all the latest entertainment News Click Here