হৃদয়ভঙ্গ বাংলাদেশের, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪০ রানে রুখেও ৪ রানে হার জাহানারাদের
হৃদয়ভঙ্গ। প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নেমেই পরপর দু’ম্যাচে জয়ের দুর্দান্ত সুযোগ এসেছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪০ রানে রুখে দিয়েও মাত্র চার রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। তিন বল বাকি থাকলেই অল-আউট হয়ে যান নিগার সুলতানা জ্যোতিরা।
ম্যাচের আপডেট:
শুক্রবার ৫০ ওভারের মহিলা বিশ্বকাপের ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অথচ শুরু ভালো করেছিলেন ক্যারিবিয়ানরা। বিনা উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ২৯ রান। তারপর দু’উইকেটে স্কোর দাঁড়ায় ৪০। তারপর ধস নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংসে। তিন বলে শূন্য রানে দু’উইকেট হারিয়ে ফেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার ফলে ১৫.১ ওভারে ৪৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকেন ক্যারিবিয়ানরা। বাংলাদেশের স্পিনারদের চক্রব্যূহে আটকে ক্রমশ শোচনীয় হতে থাকে অবস্থা। ৭০ রানে পড়ে যায় সাত উইকেট।
সেখান থেকে শেমাইন ক্যাম্পবেলের অপরাজিত ৫৩ রানের সৌজন্যে কিছুটা লড়াইয়ের মতো পুঁজি পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ন’উইকেটে ১৪০ রান তোলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফ্লেচার করেন ১৭ রান। দুটি করে উইকেট নেন নাহিদা আকতার এবং সালমা খাতুন।
সেই রান তাড়া করত নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। প্রথম ওভারেই আউট হয়ে যান বাংলাদেশের শামিনা সুলতানা। তারপর ইনিংস সামলাতে থাকেন শারমিন আখতার এবং ফারজানা হক। যদিও দলগত ৩০ রানের মাথায় আউট হয়ে যান শারমিন। তারপরও ভালোভাবেই এগোচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ২১.২ ওভারে দু’উইকেটে ৬০ রানের পর বিপর্যয়ের মুখে পড়েন সুলতানারা। শূন্য রানে তিন উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ২৩.২ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় পাঁচ উইকেটে ৬০ রান।
সেখান থেকে বাংলাদেশের ইনিংসের হাল ধরেন অধিনায়ক সুলতানা। ৩২.২ ওভারে দুর্দান্ত রিভিউয়ের জন্য ফিরে যান তিনি। এক বল পরেই আউট হয়ে যান ফাহিমা খাতুন। ভাগ্যের সহায়তা নিয়েই প্রয়োজনীয় রানটা কমাতে থাকেন সালমা। কিন্তু ৪৪ তম ওভারের প্রথম বলেই তাঁর সেই সৌভাগ্যের কোটা ফুরিয়ে যায়। ৪০ বলে ২৩ রান করেন তিনি। সেইসময় জয়ের জন্য বাংলাদেশের ৪১ বলে ৩১ রানের প্রয়োজন ছিল। জয়ের জন্য জাহানারা আলমের দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দলের ১২২ রানের মাথায় আউট হয়ে যান অভিজ্ঞ জাহানারা। যিনি এশিয়া কাপে ব্যাট হাতে বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন।
হাতে এক উইকেট নিয়েও হাল ছাড়েননি নাহিদা। ফারিহা তৃষ্ণাকে নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। ফারিহার ব্যাটিংয়ের উপর যে তাঁর ভরসা নেই, তা স্পষ্ট ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বোলারদের থেকে তাঁকে রক্ষা করছিলেন। সেভাবেই জয়ের আশা জিইয়ে রাখছিলেন। তবে সেজন্য রানও কম উঠছিল। ৪৯ তম ওভারে মাত্র দু’রান ওঠে। তাও শেষ বলে এক রান নেন নাহিদা। শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ছিল আট রান। প্রথম বলে দু’রান নেন নাহিদা। সেই বলেই থ্রো ভালো হলে আউট হয়ে যেতেন ফারিহা। পরের বলে আবার এক রান নেন নাহিদা। দু’রান নিতে গেলে আউট হয়ে যেতেন। তাই ‘আত্মঘাতী’ সিদ্ধান্ত নেননি। পরের বলেই বোল্ড হয়ে যান ফারিহা। তার ফলে ৪৯.৩ ওভারে ১৩৬ রানে অল-আউট হয়ে গিয়ে ঐতিহাসিক জয়ের সুযোগ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ।
For all the latest Sports News Click Here