হৃদরোগের পর সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ঐন্দ্রিলা, অবস্থা অতি সঙ্কটজনক
চিকিৎসায় বিশেষ সাড়া দিচ্ছেন না ঐন্দ্রিলা শর্মা! খবর হাসপাতাল সূত্রে। বুধবার সকালে কোমার মধ্যেই একাধিকবার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন অভিনেত্রী। সিপিআরের মাধ্যমে তাঁকে খানিকটা স্থিতিশীল করা গেলেও শারীরিক পরিস্থিতির কোনওরকম উন্নতি হয়নি। হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রয়েছেন তিনি। তাঁর পরিস্থিতি অতি সঙ্কটজনক।
গত ১৫ দিন ধরে হাসপাতালের বিছানায় মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই লড়ছেন ঐন্দ্রিলা। আর দূর থেকেই তাঁর আরোগ্য কামনায় শামিল পরিবার, ইন্ডাস্ট্রির বন্ধুরা এবং তাঁর গুণমুগ্ধ ভক্তরা। ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে গত ১লা নভেম্বর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা, এরপর আজ নতুন ধরে বিপদের কালো মেঘ ঘনিয়ে আসে।
গত সপ্তাহে ঐন্দ্রিলার শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল ছিল, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু চলতি সপ্তাহের গোড়াতেই সবটা বিগড়ে যায়। সোমবার রাতে স্ক্যানের রিপোর্টে দেখা গিয়েছে ব্রেনের যেদিকে সার্জারি হয়েছিল, তার উলটো দিকে ছোট ছোট ব্লাড ক্লট হয়েছে। সেগুলো এতটাই ছোট যে অপারেশন করা সম্ভবপর নয়, ওষুধের মাধ্যমে সেগুলো গলানোর চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু বিশেষ ফল মেলেনি। ঐন্দ্রিলার জন্য প্রার্থনায় একজোট হয়েছে টলিউড।
দীর্ঘ ২ সপ্তাহ ধরে মৃত্যুর সঙ্গে ফাইট জারি রেখেছেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী এবং গোটা পরিবার। প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, এক মুহূর্তের জন্য হাসপাতাল ছাড়েননি সব্যসাচী। গত কয়েকদিনে শোকে পাথর ঐন্দ্রিলার মনের মানুষ। গত সোমবার সব্যসাচী ফেসবুকে লেখেন, ‘কোনওদিন এটা এখানে লিখবো ভাবিনি, আজ লিখলাম। ঐন্দ্রিলার জন্য মন থেকে প্রার্থনা করুন। কোনও চমৎকারের জন্য প্রার্থনা করুন। ও লড়ে চলেছে।’
২৪ বছর বয়সী ঐন্দ্রিলা এর আগে দু-বার ক্যানসারকে জয় করেছেন। একাদশ শ্রেণিতে পড়বার সময় প্রথমবার তাঁর বোনম্যারো ক্যানসার ধরা পড়ে। সুস্থ হয়ে ওঠবার পর গত বছর ফেব্রুয়ারিতে ফের ক্যানসারের কবলে পড়েন তিনি। সেই ধাক্কাও সামলে ওঠে কাজে ফেলেন ঐন্দ্রিলা।
এরপর গত ১লা নভেম্বর বাড়িতেই অসাড় হয়ে যায় ঐন্দ্রিলার শরীর। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসরা জানান, ‘ব্রেন স্ট্রোক’-এর শিকার দু-বারের ক্য়ানসার জয়ী ঐন্দ্রিলা। ওইদিনই তাঁর সার্জারিও করা হয়। তারপর থেকেই কোমায় ঐন্দ্রিলা।
For all the latest entertainment News Click Here