হৃদয় ভাঙল নেপালের! দুরন্ত খেলেও ৯৯ রানে আউট কুশল, হতাশায় দাঁড়িয়ে ক্রিজে
বলটা স্টাম্পে আছড়ে পড়তেই বেশ কিছুক্ষণ ক্রিজের মধ্যেই কোমরে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেন। চোখমুখ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল যে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছেন। আর সত্যিই ভেঙে পড়ারই তো কথা। কারণ ২০২৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের কোয়ালিফায়ারের প্রথম ম্যাচে দুর্ধর্ষ খেলছিলেন নেপালের কুশল ভুরতেল। ৯৪ বলে ৯৯ রান করে ফেলেছিলেন। কিন্তু শতরানের মাত্র এক রান আগেই আউট হয়ে যান। শতরান না এলেও অবশ্য তাঁর দুরন্ত ইনিংসের প্রশংসা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যে ইনিংসের সৌজন্যে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ ভালো জায়গায় ছিল নেপাল। কিন্তু সেই সুযোগের পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে পারেননি আরিফ শেখ, গুলশন ঝা’রা।
রবিবার বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের গ্রুপ ‘এ’-র ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবোয়ে। কিন্তু হারারেতে প্রথমে বোলিংয়ের যে সিদ্ধান্ত নেন জিম্বাবোয়ের অধিনায়ক ক্রেগ আরভাইন, সেই সিদ্ধান্ত একেবারে মুখ থুবড়ে পড়ে নেপালের ওপেনারদের সামনে। কারণ দুরন্ত শুরু করেন নেপালের দুই ওপেনার কুশল এবং আসিফ শেখ। বিশেষত জিম্বাবোয়ের বোলারদের ছিঁটেফোটা রেয়াত করেননি কুশল।
মাত্র ৬৩ বলে কুশল অর্ধশতরান পূরণ করেন (তখনও পর্যন্ত আটটি বাউন্ডারি মারেন)। তারপর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন নেপালের ডানহাতি ওপেনার। কিন্তু ১০০ রানের দোরগোড়ায় হ্যামিলটন মাসাকাদজার বলে আউট হয়ে যান। একেবারে অফসাইডের লাইনে ইয়র্কার করেন জিম্বাবোয়ের তারকা। ড্রাইভ মারতে যান কুশল। কিন্তু ভেঙে যায় স্টাম্প। হতাশ হয়েই ড্রেসিংরুমের দিকে যেতে থাকেন নেপালের ওপেনার (৯৫ বলে ৯৯ রান করেন, ১৩টি মারেন, দুটি ছক্কা হাঁকান)। তাঁর পিঠ চাপড়ে দেন জিম্বাবোয়ের তারকা শন উইলিয়ামস।
আরও পড়ুন: গরম থেকে বাঁচতে ৬ দিন নেপালে কাটান, খরচ হবে খুব সামান্য! ব্যবস্থা করছে IRCTC
কিন্তু কুশল যে দুরন্ত ইনিংস খেলে যান, সেটার পুরোপুরি সদ্ব্যবহার করতে পারেনি নেপাল। কুশল যখন আউট হন, তখন ৩১.৫ ওভারে নেপালের স্কোর ছিল এক উইকেটে ১৭১ রান, সেখানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৯০ রানের বেশি তুলতে পারেনি ছোট্ট পাহাড়ি দেশ। কুশল আউট হওয়ার কিছুক্ষণ পরেই ড্রেসিংরুমে ফিরে যান আসিফ। কুশল মাল্লা ৪২ বলে ৪১ রান করেন। অধিনায়ক রোহিত পৌদেল ২৯ বলে ৩১ রান করে আউট হয়ে যান। বাকিরা একেবারেই হতাশ করেন।
আরও পড়ুন: এশিয়া কাপের আগেই অগস্টে আয়ারল্যান্ড সফরে জাতীয় দলে ফিরছেন বুমরাহ- রিপোর্ট
অন্যদিকে, জিম্বাবোয়ের হয়ে চারটি উইকেট নেন রিচার্ড এনগারাভা। নয় ওভারে খরচ করেন ৪৩ রান। দুটি উইকেট পান মাসাকাদজা। ১০ ওভারে ৪২ রান দেন তিনি। একটি করে উইকেট নেন ব্লেসিং মুজারাবানি এবং তেন্দাই চাতারা। ১০ ওভার বল করে ৪৮ রান দেন মুজারাবানি। তবে চাতারা অনেকটাই রান খরচ করেন। সাত ওভারে ৫৯ রান দেন।
For all the latest Sports News Click Here