হাসপাতালে চর্মরোগ চিকিৎসার প্রচারে অস্কারজয়ী তারকার ছবি! নিন্দার ঝড় নেটদুনিয়ায়
তিনি অস্কারজয়ী অভিনেতা। পেয়েছেন গোল্ডেন গ্লোব-এর মতো কুলীন পুরস্কারও। ঝুলিতে রয়েছে ‘ইনভিকটিয়াস’, ‘দ্য শস্যাঙ্ক রিডেমশন’-এর মতো ক্লাসিক ছবি। তিনি মর্গ্যান ফ্রিম্যান। বিশ্বজুড়ে এই হলিউডি অভিনেতার খ্যাতি থাকলেও কেরলের এক হাসপাতালের অন্দরে তাঁর নাম পৌঁছয়নি। সে পৌঁছতে নাইই পারে, তাতে অসুবিধের কিছু নেই। কিন্তু মর্গ্যান ফ্রিম্যানের নাম ও চেহারার সঙ্গে পরিচিতি নেই বলে সেই হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের বাইরে সুলভে চিকিৎসার প্রচারের স্বার্থে যে এই অস্কারজয়ী কৃষ্ণাঙ্গ অভিনেতার মুখের ছবি ব্যবহার করা হবে, একথা হয়তো সুদূর কল্পনাতেও কোনও মর্গ্যান-ভক্ত ভাবেননি কখনও।
অথচ তাইই হয়েছে। আর হাসপাতালের বাইরে সেই বিজ্ঞাপনের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিন্দায় সরব হয়েছে নেটদুনিয়া। বেগতিক দেখে নিজের অজ্ঞতা স্বীকার করে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে।
ওই বিজ্ঞাপনে মর্গ্যান ফ্রিম্যানের মুখের ছবি সেঁটে নিচে গোটা গোটা হরফে লেখা হয়েছিল যে মাত্র একটি সিটিংয়েই মুখের কালো দাগ, ছোপ ও নানান সমস্যার সমাধান দূর করা সম্ভব। আর সেই চিকিৎসা পাওয়া যাবে হাসপাতালের ওই চর্মরোগ বিভাগে। পরে নিন্দার ঝড় উঠলে ওই বারাকারা কোঅপারেটিভ হাসপাতালের মার্কেটিং প্রধান টি সুনীল ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে ওই অঞ্চলের এক স্থানীয় মানুষ এই বোর্ডটি তৈরি করেছেন। অজ্ঞতার জেরে সে এবং তাঁরা বুঝতে পারেননি ছবির এই ব্যক্তিটি কে। তাঁদের হাসপাতালের চর্মরোগ বিভাগের সামনেই গত চার দিন ধরেরাখা হয়েছিল বোর্ডটি। শেষে এক ব্যক্তি তাঁদের কাছে নালিশ জানান যে কেন ‘নেলসন মেন্ডেলা’-র ছবি চর্মরোগ চিকিৎসার বিজ্ঞাপনের বোর্ডে জায়গা করে নিয়েছে। ব্যাপারটি বোঝার পর প্রায় পরমুহূর্তেই বোর্ডটি তাঁরা সরিয়ে নিয়েছেন বলে দাবি করেছেন তিনি। জানিয়ে রাখা ভালো ২০০৯ সালে ‘ইনসিডিয়াস’ ছবিতে নেলসন মেন্ডেলের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মর্গ্যান ফ্রিম্যান।
এরপর অবশ্য ফেসবুকের কাছে দুঃখপ্রকাশ করে ক্ষমা চেয়েছেন ওই হাসপাতালের মার্কেটিং প্রধান। হলিউডি অভিনেতার গুনগান গেয়ে নিজেদের অজ্ঞতার কথা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনি।
For all the latest entertainment News Click Here