হরভজনের সঙ্গে লড়াই থেকে নেশাগ্রস্ত জীবন, সাইমন্ডসের বিতর্কিত ক্রিকেট কেরিয়ার

অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস শনিবার রাতে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছেন। এই দুর্ঘটনার পর সাইমন্ডসকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসকরা তাকে বাঁচানোর সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ঘটনার সময় তিনি এতটাই আহত হন যে চিকিৎসকরা তাকে বাঁচাতে পারেননি। সাইমন্ডস ৪৬ বছর বয়সেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

অ্যান্ড্রু সাইমন্ডস অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬টি টেস্ট, ১৯৮টি ওয়ানডে এবং ১৪টি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। তবে তার ক্রিকেট জীবন বেশ বিতর্কের মধ্যেই ছিল। ২০০৮ সালে হরভজন সিংয়ের সাথে মাঙ্কি গেটের ঘটনার পর এই খেলোয়াড় পুরোপুরি ভেঙে পড়েন। এই বিতর্কের পর সাইমন্ডস নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। এরপর অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটও তার চুক্তি বাতিল করে। অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সাইমন্ডসের ক্যারিয়ারের শেষের জন্য মাঙ্কি গেট কাণ্ডকে দায়ী করেছেন।

ভারতীয় দল ২০০৭-০৮ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে গেলে এই বিতর্ক হয়েছিল। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট সিডনিতে খেলা হয়েছিল। ম্যাচ চলাকালীন হরভজন সিং এবং অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসের মধ্যে একটি বাক যুদ্ধ হয়। যার পরে রিকি পন্টিং ম্যাচ কর্মকর্তাদের কাছে সাইমন্ডসকে নিয়ে হরভজন সিংয়ের বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ করেন। পন্টিং বলেছিলেন যে হরভজন সিং নাকি অ্যান্ড্রু সাইমন্ডসকে বানর বলেছিলেন।

এই ঘটনা শোনার পর হরভজন সিংকে কিছু ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরে টিম ইন্ডিয়া তার অফ স্পিনারের পাশে দাঁড়িয়েছিল। সে সময় ভারত সফর বাতিলের হুমকিও দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত হরভজন সিংয়ের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় এবং তাকে ম্যাচ ফি জরিমানা করা হয়।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২০০৯ সালে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন এই অলরাউন্ডার। একই বছর, মদ্যপান এবং অন্যান্য বিষয়ে নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য সাইমন্ডসকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে দেশে পাঠানো হয়েছিল। এই ঘটনার পর ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া তার চুক্তি বাতিল করে এবং খেলোয়াড় আর কখনও অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেনি।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.