হতাশায় বাউন্ডারি লাইনে আছড়ালেন ব্যাট, কোহলি মানতে পারেননি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত
চোখে-মুখে বিস্ময়ের ছাপ স্পষ্ট। বিশ্বাস করতে পারছেন না এভাবে আউট হয়ে সাজঘরে ফিরতে হবে তাঁকে। ক্রিজ ছেড়ে সাজঘরে ফেরার সময় দৃশ্যতই হতাশ দেখায় বিরাট কোহলিকে। এতটাই হতাশ ছিলেন য, বাউন্ডারি লাইনের বিজ্ঞাপন বোর্ডে ব্যাট দিয়ে আঘাত করতেও দেখা যায় ভারত অধিনায়ককে।
সব দেখে-শুনে বিসিসিআইও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমর্থকদের মতামত চেয়ে বসে যে, তাঁরাই বিচার করুন, কোহলি আউট ছিলেন নাকি আউট ছিলেন না।
তৃতীয় আম্পায়ার বারবার টেলিভিশন রিপ্লে দেখে কোহলিকে আউট ঘোষণা করলেও বিশেষজ্ঞদের বেশিরভাগের মত, বল আগে কোহলির ব্যাটের কানায় লেগেছিল। তাই তিনি এলবিডব্লিউ ছিলেন না। এক্ষেত্রে আম্পায়ারের ভুল সিদ্ধান্তের শিকার হয়েছেন ভারত অধিনায়ক, এমন ধারণাই প্রতিষ্ঠিত হতে দেখা যায়।
কোহলি নিজেও বোধহয় মেনে নিতে পারেননি আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত। তাই মাঠ ছাড়ার সময় এভাবে হতাশা প্রকাশ করে বসেন। তার আগেই অবশ্য মাঠে আম্পায়ারের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গিয়েছে কোহলিকে।
শুক্রবার মুম্বইয়ে ভারতের প্রথম ইনিংসের ৩০তম ওভারের শেষ বলে কোহলির বিরুদ্ধে এলবিডব্লুিউ-র জোরালো আবেদন জানান আজাজ প্যাটেল। আউট দেন অনফিল্ড আম্পায়ার অনিল চৌধুরী। সঙ্গে সঙ্গে ডিআরএস নেন বিরাট। ব্যাটে বল লেগেছে কিনা, তা খালি চোখে বোঝা যায়নি।
ফ্রন্টফুটে ডিফেন্স করার সময় বিরাটের ব্যাট এবং প্যাডের প্রায় মাঝখানে ছিল বল। আল্ট্রাএজ গ্রাফের নড়াচড়া ধরা পড়ে। তবে বল প্রথম ব্যাটে লেগেছে নাকি বল প্যাডে লেগেছে, তা বুঝতে পারেননি বলে দাবি করেন তৃতীয় আম্পায়ার বীরেন্দর শর্মা। যদিও ব্যাটের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বলের সিম কিছুটা ঘুরতে দেখা যায়। তা থেকে মনে হচ্ছিল যে ব্যাটে লেগেছে বল। যদিও তৃতীয় আম্পায়ার দাবি করেন, কোনও ‘অকাট্য’ প্রমাণ নেই। তাই অনফিল্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই বহাল রাখেন তিনি। সংশয় থাকা সত্ত্বেও কোহলিকে আউট হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়।
ওয়াংখেড়ের প্রথম ইনিংসে খাতা খুলতে না পারায় ভারত অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে সবথেক বেশিবার শূন্য রানে আউট হওয়ার লজ্জাজনক রেকর্ড গড়ে বসেন কোহলি।
For all the latest Sports News Click Here