স্লেজিংয়ের চেষ্টা করেছিলেন মেহেদি-লিটন, কীভাবে মুখ বন্ধ করেছিলেন, জানালেন অশ্বিন
ব্যাট হাতে শ্রেয়স আইয়ারের সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মীরপুর টেস্টে ভারতকে জয় এনে দিয়েছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ম্যাচের সেরার পুরস্কারও হাতে তুলেছেন তিনি। ব্যাটে-বলে অশ্বিনের লড়াইয়ের ছবি ক্রিকেটপ্রেমীরা স্টেডিয়ামে উপস্থিত থেকে বা টেলিভিশনের পর্দায় দেখেছেন অনেকেই। তবে টেস্টের মাঝে মাঠের বাইরের একটি অজানা ঘটনা সামনে আনলেন অশ্বিন নিজেই।
জয়ের জন্য ১৪৫ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে ভারত ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল। চতুর্থ দিনে ম্য়াচ যে কোনও দিকেই মোড় নিতে পারত। স্বাভাবিকভাবেই আশা-আশঙ্কার দোলাচলতায় ছিল উভয় দলই। এমন অবস্থায় তৃতীয় দিনের শেষে পুলের ধারে মেহেদি হাসান মিরাজ ও লিটন দাসের সঙ্গে রবিচন্দ্রন অশ্বিনের বেশ কিছু কথাবার্তা হয়। কী আলোচনা হয়েছিল তাঁদের মধ্যে, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন সেকথা জানান নিজের মুখেই।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, সেদিন লিটন-মেহেদি সবে মাত্র অশ্বিনকে স্লেজিংয়ের চেষ্টা করছিলেন, ঠিক তখনই ভারতীয় তারকার কৌশলী জবাব মুখ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের দুই ক্রিকেটারের। যদিও বাকি সময়ে কথোপকথন চলে নিছক বন্ধুত্বপূর্ণ। লিটন ও মিরাজকে ‘ভালো ছেলে’ আখ্যা দেন অশ্বিন।
আরও পড়ুন:- শেষ ৫টি ইনিংসে টানা ৪টি শতরান ও ১টি অর্ধশতরান, তবু IPL নিলামে উপেক্ষিত অভিমন্যু
অশ্বিন বলেন, ‘ওরা দু’জন পুলে ক্যাজুয়ালি সাঁতার কাটছিল। আমি ভাবছিলাম ওরা কি আমাকে দেখে টিপ্পনি কাটবে নাকি বাংলায় কথাবার্তা বলবে নিজেদের মধ্যে। তবে ওরা দু’জন সত্যিই ভালো ছেলে। ওরা বলে, স্বাগতম অ্যাশ ভাই। ভেবেছিলাম তুমি আজ নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ব্যাট করতে আসবে। তুমি তো এলে না। তবে কাল তোমাকে ব্যাট করতে আসতে হবে। তোমার উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।’
আরও পড়ুন:- Ranji Trophy: ১১টি ছক্কায় ঝোড়ো ডাবল সেঞ্চুরি মণীশ পান্ডের, ২.৪ কোটি খরচ করে আশ্বস্ত হবে দিল্লি ক্যাপিটালস
অশ্বিন নিজেই জানান, কীভাবে তাঁদের টিপন্নি বেশিদূর এগতে দেননি। তাঁর কথায়, ‘ওরা সবে মাত্র আমাকে স্লেজিংয়ের চেষ্টা করছিল। আমি বলি, বাংলাদেশের ঐতিহাসিক টেস্ট জয়ের জন্য তোমাদের অভিনন্দন। তখন ওদের ভাবখানা ছিল এমন যে, তোমাদের (ভারতের) ব্যাটিং গভীরতা আছে। তাই ম্যাচ জেতা সহজ হবে না। ওরা বলে, তবে একটা কথা জানিয়ে রাখি। মীরপুরের পিচে যে কোনও টার্গেট তাড়া করা সহজ নয়।’
রবিচন্দ্রন আরও যোগ করেন, ‘আমি মেহেদিকে বলি, ভাই ৩৫ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করো। বলের পরিস্থিতি বদলালে যা কিছু ঘটতে পারে। আমি ওকে মনে করিয়ে দিই যে, কীভাবে বলের পরিস্থিতি ও স্লো পিচের গতিপ্রকৃতি ৩৫ ওভারের পরে ব্যাটসম্যানদের সামনের ও পিছনের পায়ে শট খেলার অনুমতি দেয়।’
For all the latest Sports News Click Here