বাংলাদেশের জনপ্রিয় টেলিভিশন অভিনেত্রী-গায়িকা শবনম ফারিয়া। স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের দু-বছর পর বিচ্ছেদের প্রকৃত কারণ নিয়ে মুখ খুললেন তিনি। বুধবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি এই নির্যাতনের কথা লিখেছেন। তাঁর দাবি, স্বামীর নির্যাতনে তাঁর হাত পর্যন্ত ভেঙে গিয়েছিল।
শবনম দাবি করেন, তিনি বধূনির্যাতনের শিকার ছিলেন। বিয়ের তিনমাস পর থেকে স্বামী হারুনুরের সঙ্গে দম্পত্য সমস্যার সৃষ্টি হয়। তাঁর কথায়, ‘দেবী সিনেমার পুরো প্রোমোশন ভাঙা হাত নিয়ে করেছি, যখন কেউ জানতে চেয়েছি কি হয়েছে, বলেছিলাম সিঁড়ি থেকে পড়ে ব্যাথা পেয়েছি! আমার সাহস ছিল না সবাইকে বলার যে কিভাবে ব্যাথা পেয়েছি!’ আসলে লোকের কথা শোনার ভয়ে, সেই সময় পুরো ব্যাপারটা গোপন করে গিয়েছিলেন তিনি বলে জানান।
অভিনেত্রীর আরও লিখেছেন, ‘আমি খুব সৌভাগ্যবান যে আমার মা আমার সবচেয়ে বড় সাপোর্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে! সাহস দিয়েছে! বুঝিয়েছে মানুষ কি বলে তার চেয়ে নিজের ভালো থাকা আরও অনেক জরুরি! জোর করে বিয়ে টিকিয়ে রাখার চেয়ে বেঁচে থাকা আরও জরুরি’।
পরে অপর একটি পোস্ট করে শবনম জানিয়েছেন, তিনি কারও সম্মান নষ্ট করতে পোস্টটি করেননি। বিয়ে নামক প্রতিষ্ঠানের প্রতি তাঁর আস্থা আছে। তাঁর মা-বোন পাশে ছিল বলে তিনি বেঁচে গিয়েছেন।
২০১৮ সালে হারুনুর রশীদ অপুর সঙ্গে বাগদান পর্ব সারেন শবনম ফারিয়া। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁদের বিয়ে হয়। বিয়ের ঠিক ১ বছর ৯ মাসের মাথায় আইনি মতে বিবাহবিচ্ছেদ হয় তাঁদের। বিচ্ছেদের বিষয়ে স্পষ্ট করে সেই সময় কিছুই জানাননি অভিনেত্রী। প্রাক্তন স্বামীর প্রতি তাঁর কোনও তিক্ততা নেই বলে জানিয়েছিলেন।
For all the latest entertainment News Click Here
