‘স্বামীর অন্য বউকে হিংসে হয়?’ ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশকে নিয়ে অকপট হেমা

চার সন্তানের বাবা ধর্মেন্দ্রর প্রেমে পড়েছিলেন হেমা মালিনী। জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে পরিবারের অমতে বিবাহিত ধর্মেন্দ্রর হাত ধরেছিলেন ‘ড্রিম গার্ল’। ভবিষ্যত অনিশ্চিত জেনেও মনের ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। অভিনয় কেরিয়ার শুরুর আগেই পরিবারের পছন্দ করা মেয়ে প্রকাশ কৌরকে বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। প্রকাশের সঙ্গে ধর্মেন্দ্রর বিয়ে হয় ১৯৫৪ সালে। সেইসময় অভিনেতার বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর। হেমা-র সঙ্গে সম্পর্কে জড়ালেও কোনওদিন প্রথম স্ত্রীকে ডিভোর্স দেননি অভিনেতা।

ধর্মেন্দ্রর প্রথম পক্ষের স্ত্রী প্রকাশ কৌরকে নিয়ে কথা বলতে খুব বেশি স্বচ্ছন্দ নন হেমা। তবে একবার সিমি গেরেওয়ালের শো ‘রঁদেভু উইথ সিমি গেরেওয়াল’-এ হাজির হয়ে মনের কথা প্রকাশ্যে এনেছিলেন শোলের বসন্তী। সেই ভিডিয়ো এখন ভাইরাল সোশ্য়াল মিডিয়ায়। হেমা জানান, ধর্মেন্দ্র-র ‘অন্য পরিবার’-এর সঙ্গে কোনওদিন কোনও প্রতিযোগিতায় যাননি তিনি। প্রকাশ কৌর ও ধর্মেন্দ্রর চার সন্তান- সানি দেওল, ববি দেওল এবং দুই মেয়ে বিজেতা ও অজিতা। অন্য়দিকে হেমা ও ধর্মেন্দ্রর দুই কন্য়া- এষা দেওল এবং অহনা দেওল।

হেমা বলেন, ‘ভালোবাসা মানে নিঃস্বার্থভাবে কেবল দিয়ে যাওয়া, তুমি কখনও পরিবর্তে কিছু দাবি করতে পারো না। আর তুমি সেই মানুষটাকে সত্যি ভালোবাসলে পরিবর্তে অনেকটা ভালোবাসা পাবে। ছোটখাটো বিষয়ের জন্য় মানুষটার উপর অত্য়াচার করা উচিত নয়। তাই আমি কখনও ওঁনাকে জ্বালাতন করিনি, টর্চার করিনি। আমি শুধু চেয়েছি ভালোবাসা, তাই আমাদের সম্পর্কের বন্ধন আজও এত মজবুত। আমাদের মাঝে কেউ আসতে পারেনি। আমি ওঁনার সমস্য়াগুলো বুঝেছিলাম। ওঁনার মতো করে সবকিছু মানিয়ে নিয়েছি। সেই কারণেই বোধহয় উনি আমাকে এতটা ভালোবাসেন’।

সিমি পালটা প্রশ্ন করেন, কখনও হিংসে হয়নি (প্রকাশ কৌরকে)? হেমার স্পষ্ট জবাব ছিল, ‘একদম নয়।’ ভালোবাসায় হিসাব-নিকেশ হয় না। কে কতটা দিল, কতটা পেল, সবকিছুর উর্ধ্বে প্রেম- এমনটাই বিশ্বাস হেমা মালিনীর।

হেমা-ধর্মেন্দ্রর প্রেম কাহিনির দিকে ফিরে তাকালে, ১৯৭০ সালে ‘তুম হাসিন মেয় জাওয়ান’ ছবির সেটে তাঁদের প্রথম আলাপ। ধীরে ধীরে রুপোলি পর্দার প্রেম গড়ায় বাস্তবে। বিবাহিত পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক মেনে নেয়নি হেমার পরিবার। অন্যদিকে জিতেন্দ্র এবং সঞ্জীব কুমারও ভালোবাসতেন হেমাকে। একটা সময় জিতেন্দ্রর সঙ্গে বিয়েও পাকা হয়ে গিয়েছিল হেমার। রাম কমল মুখোপাধ্যায়ের লেখা হেমার বায়োপিক, বিয়ন্ড দ্য ড্রিম গার্লে অভিনেত্রী নিজে জানিয়েছেন, জিতেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর বিয়ের দিন মদ খেয়ে ধর্মেন্দ্র তাঁর মাদ্রাস (চেন্নাই)-এর বাড়ির দরজায় পৌঁছান। এবং ধর্মেন্দ্রর কথাতেই শেষ মুহূর্তে পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে জিতেন্দ্রকে বিয়ের সিদ্ধান্ত বদল করেন হেমা। অবশেষে ১৯৮০ সালে সাত পাকে বাঁধা পড়েন হেমা-ধর্মেন্দ্র।

For all the latest entertainment News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.