স্বাতীলেখার জন্মদিনে ‘বেলাশেষ’-এর স্মৃতি, শিবপ্রসাদের লেখা পড়ে সকলের চোখে জল
সম্পর্কের নতুন সমীকরণ, নতুন গল্প যাঁরা বুঝিয়েছিলেন, বেলাশেষেও বেলাশুরুর মন্ত্র দিয়ে গিয়েছিলেন যাঁরা তাঁরা দুজনেই আজ নেই। তবে থেকে গিয়েছে তাঁদের কাজ। আর এই দুজনের অন্যতম স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর আজ জন্মদিন। এই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর জন্মবার্ষিকীতে বিশেষ শ্রদ্ধা জানালেন বেলাশেষে, বেলাশুরুর পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়।
আজও মনে আছে বেলাশেষের সেই দৃশ্য চলছে যেখানে শান্তিনিকেতনের বাড়িতে মেলা থেকে ফিরে স্বাতীলেখা ব্যাগ গোছাচ্ছেন আর পাশে বসে আছেন সৌমিত্র। দুজনের সংসার, পাওয়া না পাওয়া নিয়ে কত কথা। গোটা হল স্তব্ধ। কারও কারও চোখে জল। কেউ বা পাশের মানুষটির হাত আঁকড়ে ধরেছেন। হবে নাই বা কেন স্বাতীলেখার সংলাপ যেন নতুন করে ভালোবাসার সংজ্ঞা শেখালেন। আজ ঠিক সেই একই লেখা যেন শিবপ্রসাদের স্মৃতিচারণায় ফুটে উঠল। এক ঝটকায় মনে পড়ল অনেক কিছুই।
স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর জন্মদিনে বেলাশেষের শ্যুটিংয়ের বিশেষ সেই দৃশ্যের শুট কীভাবে করেছিলেন জানালেন খোদ পরিচালক। তিনি তাঁর পোস্টে লেখেন, ‘দৃশ্যটা ছিল ‘বেলাশেষে’ সিনেমার অভ্যাসের দৃশ্য। যেখানে স্বাতীলেখা মানে আরতি তার স্বামীকে বলছে যে “অভ্যাসই ভালবাসা”। শুটিং-এর সময় দৃশ্যটা শেষ হয়। সারা ইউনিট কাঁদছে। সৌমিত্রদা স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে রয়েছেন। ইউনিটের সবাই হাততালি দিয়ে ওঠে। আমরা গিয়ে স্বাতিদিকে জড়িয়ে ধরি। কারন ঐ দৃশ্যে সৌমিত্রদার কোনো সংলাপ ছিল না শুধু স্বাতিদিরই সংলাপ ছিল। আমার কাছে এই দৃশ্যটি বেলাশেষে সিনেমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ দৃশ্য। শুভ জন্মদিন স্বাতীলেখা সেনগুপ্ত।’
এর সঙ্গে তিনি দুটো ছবি পোস্ট করেছেন। একটিতে ছলছল চোখে স্বাতীলেখা তাঁকে জড়িয়ে ধরে আছেন। অন্যটিতে অভিনেত্রীকে নন্দিতা রায় জড়িয়ে আছেন।
এক ব্যক্তি এই পোস্টে লেখেন, ‘বেলাশেষে আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে একটি দর্শন হয়ে রইবে।’। আরেকজন লেখেন, ‘ শুধু আপনার চোখে নয়, আমাদের মতো সমস্ত দর্শকদের চোখে অভ্যাসের এই দৃশ্য অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে।’ অন্য আরেক ফেসবুকবাসী লেখেন, ‘এই মানুষ গুলো আমার বড়ো ভালোবাসার। যারা নেই তাদের প্রতি শ্রদ্ধা ও যারা আছেন তারা সুস্থ ও ভালো থাকুন সুন্দর সুন্দর কাজ উপহার দিন আমাদের এই প্রার্থনা করি।’
For all the latest entertainment News Click Here