স্ত্রীর মৃত্যুর পর একা বড় করেন ছেলেকে! পর্দার ডাকাবুকো ভিলেন রাহুলের অজানা লড়াই
এ যাবৎ তিনি পর্দার খলনায়ক। দর্শক তাঁকে চিনেছে ‘ভিলেন’ হিসেবে। কিন্তু পর্দার সঙ্গে তো জীবনের ফারাক বিস্তর! অভিনেতা রাহুল দেবের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। কিন্তু তাঁর সাফল্যের নেপথ্যে কঠিন লড়াইয়ের ইতিহাস জানেন?
২০০৯ সাল। ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন রাহুলের স্ত্রী রিনা দেব। এর পর ছেলে সিদ্ধার্থকে একা বড় করে তোলেন অভিনেতা।
রাহুলের ১৮ বছরের সঙ্গী ছিলেন রিনা। দাম্পত্যের বয়স ছিল ১১। স্ত্রীকে হারানোর পর মানসিক ভাবে ভেঙে পড়লেও ছেলের জন্য নিজেকে সামলে নেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘সন্তানদের বড় করে তোলা মোটেই সহজ বিষয় নয়। এ ক্ষেত্রে মহিলাদের অবদান অনেক বেশি। ওঁরা বাচ্চাদের মন বুঝতে সক্ষম। অনেক ধৈর্যশীল। আমিও সে রকম হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। কিন্তু অনেক সময় মেজাজ হারাতাম।’
তামিল, তেলুগু, মালয়ালম, পঞ্জাবি, হিন্দি— একাধিক ভাষার ছবিতে কাজ করেছেন রাহুল। ‘রংবাজ’, ‘শিকারি’, ‘বিক্ষোভ’-এর মতো বাংলা ছবিতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। এক দিকে পেশাগত জীবন, অন্য দিকে সন্তানের দায়িত্ব। দুইয়ের মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখার চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন রাহুল। তাঁর কথায়, ‘আমি আমার সন্তানের মা এবং বাবা, দুই-ই হয়ে ওঠার চেষ্টা করেছি। স্কুলে শিক্ষকের সঙ্গে যখন অভিভাবকদের বৈঠক হত, তখন বেশির ভাগ পড়ুয়ার মায়েরাই সেখানে আসতেন।’
রাহুলের সংযোজন, ‘পুরো বিষয়টাই খুব বেদনাদায়ক। ছবিতে এগুলি খুব সহজ ভাবে দেখানো হয়। একজন স্ত্রীকে হারিয়ে ফের নতুন করে জীবন শুরু করছে। কিন্তু বাস্তবে বিষয়টা মোটেই এত সহজ নয়।’
স্ত্রীকে হারানোর পর ফের ভালোবাসা খুঁজে পান রাহুল। মডেল-অভিনেত্রী মুগ্ধ গডসের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান তিনি।
For all the latest entertainment News Click Here