স্ত্রীকেও জানিয়েছিলাম, অজিদের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজই হয়তো শেষ হতে চলেছে- অশ্বিন
ভারতীয় দলের স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে ঘিরে এই সময়ে জোর চর্চা রয়েছে। এমনিতেই বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে তাঁকে না খেলানো নিয়ে তীব্র সমালোচনা এখনও চলছে। তার উপর আবার অশ্বিন এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন। স্বভাবতই আলোচনার কেন্দ্র এখন বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট বোলার।
তার সঙ্গেই ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অশ্বিন আবার জানিয়েছেন যে, বাংলাদেশ সফর থেকে ফেরার পর তাঁর হাঁটুতে খুব বেশি রকম সমস্যা হচ্ছিল। যার জেরে তিনি কার্যত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন যে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঘরের মাঠে বর্ডার-গাভাসকর সিরিজের পরেই সরে দাঁড়ানোর। এমন কী স্ত্রী প্রীতি অশ্বিনের সঙ্গেও তিনি বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন।
অশ্বিন দাবি করেছেন, ‘গত বছর বাংলাদেশ সফর থেকে ফিরে আসার পরেই হাঁটুর যন্ত্রণা মারাত্মক বেড়েছিল। যন্ত্রণার তীব্রতা এতটাই ছিল যে, আমি ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়ার কথাও ভেবে ফেলেছিলাম। সেটা একদিন প্রীতিকে জানিয়েও দিয়েছিলাম। স্ত্রীকে বলেছিলাম যে, এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজই হয়তো শেষ সিরিজ হতে চলেছে আমার।’
তবে অজিদের বিরুদ্ধে চার টেস্টের বর্ডার-গাভাসকর সিরিজে অশ্বিন দুর্দান্ত বোলিং করেন। এবং প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ নির্বাচিত হন। অশ্বিন জানান, বাংলাদেশ থেকে ফেরার পর তিনি তাঁর অ্যাকশন পরিবর্তন করে পুরনো অ্যাকশনে ফিরে আসেন, শুরুতে সমস্যা হলে শেষ পর্যন্ত তিনি তাতেই উপকৃত হন।
যদিও অশ্বিন জানতেন, চার-পাঁচ বছর ধরে যে অ্যাকশনে বল করছেন, সেটা পরিবর্তন করা তাঁর পক্ষে ভালো হবে না। তবে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, হাঁটুতে খুব বেশি চাপ দেবেন না।
ভারতের তারকা অফ-স্পিনার দাবি করেছেন, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যখন দ্বিতীয় টেস্ট চলছিল, সেই সময়েই আমি ব্যথা অনুভব করি। হাঁটু ফুলে গিয়েছিল। তখনই ঠিক করে ফেলেছিলাম, ২০১৩-১৪ সালে আমার বোলিং অ্যাকশন যে রকম ছিল, সেরকম বোলিং অ্যাকশনেই ফেরা উচিত।’
হাঁটুর ব্যথার জন্য অশ্বিনকে ইঞ্জেকশনও নিতে হয়। তিনি জানিয়েছেন যে, নাগপুরে তিন-চার দিন অনুশীলন করার পরেই ম্যাচে পরিবর্তিত অ্যাকশনে বোলিং করেছিলেন তিনি। অশ্বিন দাবি করেছেন যে, ‘টেস্টের প্রথম দিন তিন-চার ওভার নিজেকে বোলার বলেই মনে হয়নি।’ তবে ধীরে ধীরে সবকিছু ঠিক হয়ে যায়।
For all the latest Sports News Click Here