স্টিমাচের আমলেই কি বদলাচ্ছে ভারতীয় ফুটবলের চিত্র?

শুভব্রত মুখার্জি: ভুবনেশ্বরে সবেমাত্র শেষ হয়েছে হিরো কন্টিনেন্টাল কাপের আসর। ফাইনালে লেবাননকে ২-০ ফলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সুনীল ছেত্রীরা। গোটা টুর্নামেন্টে আপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। ইশান পন্ডিতার মতন তরুণ পজিটিভ স্ট্রাইকার চোটের কারণে খেলতে না পারলেও তার খুব একটা প্রভাব পড়েনি দলের পারফরম্যান্সে। ক্রোয়েশিয়ার বিশ্বকাপার কোচ ইগর স্টিমাচের আমলে ভারতীয় দল শেষ কয়েক মাসে বেশ কিছু আন্তর্জাতিক খেতাব জিততে সমর্থ হয়েছে। আর এখানেই অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন স্টিমাচের হাত ধরেই বদলাতে শুরু করেছে ভারতীয় ফুটবলের চিত্রটা। অনন্তপক্ষে স্টিমাচের কোচ হিসেবে পরিসংখ্যান সেই কথাই বলছে।

২০২৩ সালের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে নামার আগে পর্যন্ত ৩৭টি ম্যাচে ভারতীয় সিনিয়র ফুটবল দলের কোচের ভূমিকায় রয়েছেন স্টিমাচ। যার মধ্যে ১৩ টিতে জিতেছে ভারতীয় দল। যদিও হারতে হয়েছে ১২ টি ম্যাচে। পাশাপাশি ড্র হয়েছে আরো ১২ টি ম্যাচ। স্টিমাচের প্রশিক্ষণে ভারত প্রতি ম্যাচে গড়ে ফিফার থেকে ১.৪২ পয়েন্ট করে অর্জন করেছে। যা তাদেরকে ক্রমতালিকায় এগিয়ে যেতেও সাহায্য করেছে। সবথেকে বড় কথা হল স্টিমাচের আমলে তিন তিনটি আন্তর্জাতিক ট্রফি ইতিমধ্যেই জিতে নিয়েছেন সুনীল ছেত্রীরা। যার মধ্যে রয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ, হিরো ত্রিদেশীয় কাপ এবং হালফিলের হিরো ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপ। পরিসংখ্যানের দিকে তাকালে কিছুটা হলেও দলের খেলার উন্নতির ছবিটা ভেসে ওঠে। সে কথা অস্বীকার করার জায়গা নেই।

এমন আবহেই বেঙ্গালুরুতে আবার শুরু হয়েছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। ঘরের মাঠে এবারের আসর হওয়ার ফলে ভারতের উপর প্রত্যাশার চাপ তো থাকবেই টুর্নামেন্ট জয়ের। আর তা বিলক্ষণ জানেন স্বয়ং স্টিমাচও। তবে স্টিমাচের সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হতে চলেছে কয়েক বছরের মধ্যে একজন ভালো পজিটিভ স্ট্রাইকারকে খুঁজে বের করা। কারণ সুনীল ছেত্রীর বয়স হয়েছে। তিনি অবসর নিলে তাঁর জায়গাটা পূরণ করাটা মোটেও সহজ কাজ হবে না।

উল্লেখ্য ২০১৯ সালের ১৫ মে স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন ভারতীয় সিনিয়র দলের দায়িত্ব ছাড়ার পরে সেই জায়গায় দায়িত্ব নেন স্টিমাচ। কিংস কাপে কুরাকাওয়ের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে ভারতীয় দলের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন স্টিমাচ। যদিও সেই ম্যাচে ৩-১ ফলে হারতে হয়েছিল ভারতকে। স্টিমাচের ভারতের প্রশিক্ষক কেরিয়ারের সবথেকে বড় হাইলাইটস ২০২২ সালের বিশ্বকাপ কোয়ালিফায়ারের ম্যাচে ২০১৯ সালের এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন তথা ২০২২ ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক কাতারের বিরুদ্ধে ০-০ ড্র করা। পাশাপাশি ২০২৩ সালের এফসি এশিয়ান কাপেও তাঁর প্রশিক্ষণেই কোয়ালিফাই করেছে ভারতীয় দল। ভারত তাদের ফুটবল ইতিহাসে এই প্রথমবার পরপর দুবার এশিয়ান কাপের মূলপর্বের যোগ্যতা অর্জন করল।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.