‘স্টারডমের পিছনে ছুটে ভুল করেছি, যদি বাবা-মা’র কথা শুনতাম’, আফসোস নাসির-পুত্রের
বাবা, মা- দুজনেই বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব। তবে কেরিয়ার শুরুর এক দশক পরেও বি-টাউনে পায়ের মাটি শক্ত করতে পারেননি ভিভান শাহ। অভিনেতা নাসিরুদ্দিন শাহ ও রত্না পাঠক শাহ’র ছোট ছেলে। ২০১১ সালে ‘সাত খুন মাফ’ ছবিতে এক ক্যামিও চরিত্রে দেখা মিলেছিল ভিভানের। পরবর্তীতে ফারহা খানের ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেন নাসির-পুত্র। কেরিয়ারের শুরুর দিকে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন একের পর এক, আফসোসের সুরে এমনটাই জানিয়েছেন ভিভান।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে ভিভান জানান, ‘কেরিয়ারের একদম শুরুতে আমি ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি কেবল সাফল্য এবং স্টারডমের পিছনে ছুটেছি। আমি এই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেই ভেবেছি আমি এখানে স্টার হতে এসেছি। পরবর্তীতে আমি উপলব্ধি করেছি, না, আমি একজন অভিনেতা এবং সেটাই সবচেয়ে জরুরি বিষয়’।
তাঁর বলিউড জার্নি নিয়ে বাবা-মা’র কী মতামত? মুচকি হেসে ভিভানের জবাব, ‘যদি আমি ওঁনাদের উপদেশ একটু শুনতাম। আমাকে ওঁনারা কোনওদিন আমার মাথায় স্টারডমের পোকা ঢুকিয়ে দেননি।… কিন্তু সমস্যাটা হল যখন ২০১০ সালে আমি কেরিয়ার শুরু করি তখন ইন্ডাস্ট্রি অনেকটা আলাদা ছিল। আমার পরিচিত গণ্ডির মানুষজন, বন্ধুরা আমার মাথায় ভুলভাল সব উপদেশ ঢুকিয়েছিল, যে আমাকে একজন লিডিং হিরো হতে হবে… স্টার হতে হবে। বাবা-মা অনেক বুঝিয়েছিল সেই সব ভুল উপদেশে কান না দিতে, কিন্তু আমি অনঅভিজ্ঞ, বোকা আর অপরিণত ছিলাম- সেই কথা কানে তুলিনি। তাই নিজের অভিনয় দক্ষতায় শান দেওয়ার বদলে, নিজেকে অভিনেতা হিসাবে প্রমাণ করবার বদলে আমি সফল স্টার হওয়ার ফাঁদে পড়েছিলাম… যদি আমি বাবা-মা’র কথা একটু শুনতাম’।
তবে বড় ব্যানারের ছবি করে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করেন ভিভান। অন্তত মানুষজন তাঁর কাজ দেখেছে। গত ৬-৭ বছরে যে কাজ ভিভান করেছেন, তা দর্শকের কাছে পৌঁছায়নি ‘এ স্যুটেবেল বয়’ ছাড়া। সেই হতাশাও রয়েছে নাসির পুত্রের মধ্যে। তবে বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সুবাদে ভালো কাজের সুযোগ পাচ্ছেন তিনি। যা তাঁর অভিনয় দক্ষতায় শান দিতে কাজে আসছে, যোগ করেন ভিভান শাহ।
সম্প্রতি ‘সুতলিয়া’ সিরিজে দেখা গিয়েছে তাঁকে। জি ফাইভের এই ওয়েব সিরিজে প্রশংসিত হয়েছে ভিভানের অভিনয়। তিনি জানান, ‘আমি গর্বিত এই কাজটা করে’।
For all the latest entertainment News Click Here