স্টইনিসকে টাইমড আউট না দেওয়ায় আম্পায়ারের উপর ক্ষুদ্ধ স্ট্রাইকার্স, কী ঘটেছিল?
আম্পায়ারিং নিয়ে ঘোর অসন্তোষ বিগ ব্যাশ লিগে। অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স শিবির মোটেও খুশি নয় মেলবোর্ন স্টার্সের বিরুদ্ধে আম্পায়ারের একটি সিদ্ধান্ত তাঁদের বিপক্ষে যাওয়ায়। নিয়ম মেনে অম্পায়ার নিজের ভূমিকা যথাযথ পালন করলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারত বলে বিশ্বাস স্ট্রাইকার্সের।
আম্পায়ারের কোন সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট স্ট্রাইকার্স?
শনিবার অ্যাডিলেডে লিগের ২৩তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে স্ট্রাইকার্স ও মেলবোর্ন স্টার্স। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মেলবোর্ন। প্রথম ইনিংসের ৯.২ ওভারে বিউ ওয়েবস্টার আউট হওয়ার পরে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন মার্কাস স্টাইনিস। তবে তিনি ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হতে দীর্ঘ সময় নষ্ট করেন। বিগ ব্যাশ লিগের নিয়ম অনুযায়ী একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পরে ৭৫ সেকেন্ডের মধ্যে পরবর্তী ব্যাটসম্যানকে ব্যাটিংয়ের জন্য তৈরি হয়ে যেতে হবে। যেহেতু মার্কাস নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রস্তুত হননি, তাই তাঁর বিরুদ্ধে টাইমড আউটের আবেদন জানান অ্যাডিলেডের ক্রিকেটাররা। তবে আম্পায়ার আউট দেননি স্টইনিসকে।
আরও পড়ুন:- বিপদসীমায় ধাওয়ান, কোপ পড়তে পারে সিনিয়র পেসারের ঘাড়েও, দেখুন বিশ্বকাপের জন্য BCCI-এর ২০ জনের তালিকায় থাকতে পারেন কারা
ম্যাচে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কতটা প্রভাব পড়ে?
শেষমেশ মার্কাস স্টইনিস ৫টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৩৫ বলে ৭৪ রান করে মেলবোর্নকে জয়ের ভিতে বসিয়ে দেন। স্ট্রাইকার্স ম্য়াচ হারে ৮ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে।
অ্যাডিলেড শিবিরের অভিযোগ কী?
অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের দাবি, আম্পায়ারের বদান্যতায় স্টইনিস এমন অনবদ্য ইনিংস খেলার সুযোগ পান। নিয়ম মানা হলে স্টইনিস ব্যাটিং শুরুর আগেই আউট ছিলেন। স্ট্রাইকার্সের তরফে অ্যাডাম হোস বলেন, ‘স্টাইনিস টপ ক্লাস প্লেয়ার। তবে সত্যি বলতে ও টাইমড আউট ছিল। আমি কভারে ফিল্ডিং করছিলাম। মার্কাস আঙুল তুলে আম্পায়ারের কাছ থেকে সময় চেয়ে নেওয়ার আগেই ওকে আউট দেওয়া যেত। আমরা সবাই আবেদন করছিলাম। তবে আম্পায়ার তাতে কান দেননি। নিয়ম থাকলে সেটা মেনে চলা উচিত।
আরও পড়ুন:- New Zealand ODI Squad: সততায় মুগ্ধ হয়ে তারকা পেসারকে স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দিল নিউজিল্যান্ড
স্টইনিস পালটা কী যুক্তি দেন?
মার্কাস স্টইনিস পরে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি যখন ক্রিজে যাই, দেখি ফিল্ডাররা ঘোরাঘুরি করছে। সুতরাং, আমার পক্ষে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল না। চূড়ান্ত ফিল্ডিং পজিশন না দেখে কীভাবেই বা ব্যাটিংয়ের জন্য তৈরি হই! আমার মাথায় ঢুকছে না, ফিল্ডাররা ঘোরাঘুরি করলেও আমাকে ব্য়াটিংয়ের জন্য রেডি হতে হবে কেন! এমন আবেদন করার আগে যুক্তিটা বোঝা উচিত। সাধারণ জ্ঞান থাকলে কেউ এভাবে আবেদন করে না।’
For all the latest Sports News Click Here