স্কুলে বক্সিং করে চোখে কালসিটে, নাকে রক্ত! অমিতাভের চোট নিয়ে কী বলেছিলেন বাবুজি?
অ্যাকশন হিরো হিসেবে অনেকেরই পছন্দের তালিকায় নাম আছে অমিতাভ বচ্চনের। এখনও শোলে, ডন-এর মতো সিনেমায় তরুণ অমিতাভকে মারামারির দৃশ্যে দেখা বেশ উপভোগ্য। তবে জানেন কি, ছোটবেলায় স্কুলে একদিন বক্সিং ম্যাচে বেধরক মার খেয়ে বাড়ি এসেছিলেন। তিনি তখন ক্লাস ৪ কি ৫-এর ছাত্র। কালো চোখ, নাক থেকে ঝরছে রক্ত। সেই অবস্থায় বাড়ি এসেছিলেন খুদে অমিতাভ। সেই ম্যাচের পর বাবাকে মনের কথা জানিয়ে একটি চিঠিও লিখেছিলেন। আর ছেলের থেকে আসা সেই চিঠির উত্তরে ১৯৫৩ সালে সালে কেমব্রিজ থেকে হরিবংশ একটি বই পাঠান। সঙ্গে ছিল একটি বার্তাও। অভিনেতা জানালেন, সম্প্রতি স্ত্রী জয়া বচ্চন বইটি লাইব্রেরি থেকে খুঁজে পেয়েছেন।
অমিতাভ সেকথা নিজের ব্লগে লেখেন- ‘মুগ্ধ হয়ে যাই জয়াজি যখন লাইব্রেরিতে বাবুজির (পিতা হরিবংশ রাই বচ্চন) বইগুলি সংরক্ষণ করেন। আর তার থেকে এমন একটা বই হাতে আসে যা আমাকে একটি ছোট্ট বার্তা-সহ উৎসর্গ করা হয়েছে। এমন একটা বই আমার স্ত্রী দ্বারা আমার হাতে এসেছে। কিছুটা পোকায় খেয়েছে তবে অনেকটাই স্পষ্ট আছে। ১৯৫৩ সালে আমাকে এটা পাঠানো হয়েছিল কেমব্রিজ থেকে, যেখানে বাবুজি থিসিসের অধ্যয়ন করছিলেন… এমন একটি কাজ যা আমি কখনোই ভুলিনি এবং আজ অবধি অনুসরণ করি.. এই আশায় যে একদিন পরের প্রজন্ম বই পড়ায় আগ্রহ দেখাবে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘বিএইচএস, এলাহাবাদে – বয়েজ হাই স্কুল – ১৯৫৩-৫৪ সালে, যখন আমি চতুর্থ কিংবা পঞ্চম তম শ্রেণীতে পড়ি এবং বাবুজি তার পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে ছিলেন, আমি তাকে লিখেছিলাম যে আমি স্কুলে বক্সিং খেলছি। আমার ব্লু হাউজের হয়ে পয়েন্ট বাড়াতে। আর একটা ম্যাচ জেতার পর আরেকটায় হেরে যাই আর কালো চোখ এবং রক্তপড়া নাক নিয়ে বাড়ি ফিরি।’
আমিতাভ জানান এর কিছুদিন পর তিনি একটি পার্সেল পান, কারণ সেই সময় পার্সেল জাহাজে আসত। তাই একটু সময় লাগত। তাতে একটা বই ছিল, আর বইয়ের প্রথম পাতায় বাবার সই, বই কেনার তারিখ, গন্তব্য স্থান আর সঙ্গে একটা কোট- ‘এরকম কঠিন আঘাত মনকে আনন্দ দেয়।’
অমিতাভ জানান তিনি যখন ২০০০ সাল নাগাদ ব্রিটেন গিয়েছিলেন শ্যুটে তখন কেমব্রিজের ক্যাথারিন কলেজে গিয়ে সেখানকার ইনফরমেশন ম্যানুয়ালে গিয়ে বাবুজির নাম খুঁজে পান। স্বভাবতই অমিতাভকে আমন্ত্রণ জানায় সেখানকার ফ্যাকাল্টি মেম্বারসরা। আর সেই আড্ডায় এই গল্পটি শুনিয়েছিলেন অমিতাভ। যাতে হো হো করে হেসেছিল ব্রিটিশরা। বিগ বি লেখেন, ‘ব্রিটিশরা তো একটু গুরুগম্ভীর হয় সবসময়। কিন্তু আমি দেখেছি ওদের লড়াইয়ের গল্প খুব পছন্দের।’
অমিতাভকে এরপর দেখা যাবে প্রোজেক্ট কে-তে, যাতে রয়েছেন দীপিকা পাড়ুকোন এবং প্রভাস। এই ছবির শ্যুটের সময়ই মাসখানেক আগে গুরুতর চোট পেয়ে শয্যাশায়ী ছিলেন। সদ্যই ফিরলেন কাজে। এছাড়া তাঁকে কোর্টরুম ড্রামা সেকশন ৮৪ এবং হলিউড সিনেমা ইন্টার্নের হিন্দি রিমেকেও দেখা যাবে।
For all the latest entertainment News Click Here