সৌরভ থেকে রানা, প্রজন্ম বদলালেও অটুট RCB-র বিরুদ্ধে নাইটদের বড় জয়ের পরম্পরা

মোহালিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ধাক্কা খেলেও, ঘরের মাঠে জয় দিয়েই শুরু করল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। বিরাট কোহলিদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৮১ রানে হারালেন নাইটরা। প্রথমে ব্যাট করে কেকেআর করে ৭ উইকেটে ২০৪ রান। জবাবে আরসিবি-র ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৩ রানে।

ব্যাঙ্গালোরকে হারিয়ে নাইটরা বৃহস্পতিবার গড়ে ফেলল নজিরও। নিজেদের সর্বোচ্চ রানে ম্যাচ জয়ের নিরিখে আরসিবি-র বিরুদ্ধ ৮১ রানের জিতটা চতুর্থ স্থানে জায়গা করে নিল। এর আগে ২০০৮ সালে আরসিবি-কে ১৪০ রানে হারিয়েছিল কেকেআর। সর্বোচ্চ রানের জয়ের নজিরের ক্ষেত্রে এটি কেকেআর-এর রেকর্ড। এ ছাড়া ২০২১ সালে রাজস্থান রয়্যালসকে তারা ৮৬ রানে হারিয়েছিল। আর ২০১৭ সালে আরসিবি-কেই ৮২ রানে হারিয়েছিল তারা। মোদ্দা কথা, সেই শুরু থেকেই আরসিবি-র বিরুদ্ধে বড় জয়গুলো পেয়েছে কেকেআর।

আরও পড়ুন: RCB-কে হারিয়ে এক লাফে পয়েন্ট টেবলের তিনে উঠল KKR,বরুণ ঢুকলেন বেগুনি ক্যাপের দৌড়ে

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে শুরুর দিকে কিছুটা হলেও ব্যর্থ হয় কলকাতা নাইট রাইডার্সের ব্যাটিং লাইন আপ! মাত্র ৪৭ রানে ৩ উইকেট তারা হারিয়ে বসে থাকে কেকেআর। বেঙ্কটেশ আইয়ার এ দিন চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। ওপেন করতে নেমে ৭ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। বেঙ্কটেশের পরিবর্তে নেমে মনদীপ সিং প্রথম বলেই শূন্য করে সাজঘরে ফেরেন। কেকেআর-এর অধিনায়ক নীতিশ রানাও চূড়ান্ত হতাশ করেন। তিনি ৫ বলে ১ রান করেন। এ দিন ব্যর্থ হন আন্দ্রে রাসেলও। প্রথম বলেই খালি হাতে তিনিও প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।

তবে নীতিশদের ব্যর্থতা ঢেকে দেন রহমানুল্লা গুরবাজ, রিঙ্কু সিং, শ্রেয়শ আইয়াররা। ৪৪ বলে ৫৭ করেন রহমানুল্লা। ৩৩ বলে ৪৬ করেন রিঙ্কু। সাতে নেমে শার্দুল ঠাকুর ২৯ বলে ঝোড়ো ৬৮ রান করেন। নয়ে নেমে উমেশ যাদব ২ বলে অপরাজিত ৬ রান করেন। সেই সঙ্গে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে দু’শো রানের গণ্ডি টপকায় কেকেআর। ২০৪ রান করে তারা। আরসিবি-র ডেভিড উইলি এবং কর্ণ শর্মা ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। মহম্মদ সিরাজ, ব্রেসওয়েল এবং হার্ষাল প্যাটেল নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

আরও পড়ুন: কী ভাবে করলাম জানি না- RCB বোলারদের ছাতু করার পরেও ঘোর কাটেনি KKR-এর ‘লর্ডে’র

জয়ের জন্য ২০৫ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক ফ্যাফ ডু’প্লেসিকে নিয়ে শুরুটা আগ্রাসী মেজাজেই শুরুটা করেছিলেন বিরাট কোহলি। কিন্তু প্রথম ম্যাচের মতো বড় জুটি তৈরি করতে পারলেন না তাঁরা কেকেআরের বিরুদ্ধে। দু’জনেই দ্রুত সাজঘরে ফিরলেন। সুনীল নারিনের বলে আউট হওয়ার আগে কোহলি ৩টি চারের সাহায্যে ১৮ বলে ২১ রান করেন। বরুণ চক্রবর্তী আউট করেন ডু’প্লেসিকে। আরসিবি অধিনায়ক করলেন ১২ বলে ২৩ রান। মারলেন ২টি করে বাউন্ডারি এবং ওভার বাউন্ডারি।

এ দিন বেঙ্গালুরুকে ভরসা দিতে পারলেন না গ্লেন ম্যাক্সওয়েল (৫), হার্ষাল প্যাটেল (০), শাহবাজ আহমেদ (১), অনুজ রাওয়াতরাও (১)। উইকেটের এক প্রান্ত আগলে রাখার চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না মিলেচ ব্রেসওয়েল। তিনি করলেন ১৮ বলে ১৯ রান। মারলেন ১টি করে চার এবং ছয়। ব্যর্থ হলেন দীনেশ কার্তিকও। ৯ রান করেন তিনি। এর পর বেঙ্গালুরুর লড়াই করার মতো আর সামর্থ্য ছিল না। শেষ বেলায় আকাশ দীপ এবং উইলির মরিয়া চেষ্টা হারের ব্যবধান কিছুটা কমালেও লাভ কিছু হয়নি। আকাশ দীপ ১৭ রান করে আউট হলেন বরুণের বলে। উইলি অপরাজিত থাকলেন ২০ বলে ২০ রান করে।

আসলে নারিন এবং বরুণের স্পিনের জালেই আটকে গিয়ে বড় ব্যবধানে ম্যাচ হেরে বসে থাকে ব্যাঙ্গালোর। যার জেরে তারা পয়েন্ট টেবলেও বড় ধাক্কা খায়। তিন থেকে সোজা নেমে আসে সাতে। আর কেকেআর সাত থেকে উঠে আসে তিনে।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.