শোবিজ দুনিয়ার অংশ হয়েও নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এতটা খোলামেলা খুব কমজনই হন। প্রেম গোপন রাখা একদম না-পসন্দ তাঁর। প্রেমে পড়া যখন বারণ নয়, তখন গোপন রাখা কেন? এই শর্তেই বাঁচেন অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু। দীর্ঘদিন পর টেলিভিশনের পর্দায় কামব্যাক করেছেন অভিনেতা। সৌজন্যে গুড্ডি। সদ্যই স্টার জলসার পর্দায় শুরু হয়েছে এই ধারাবাহিক। যেখানে আইপিএস অফিসার অনুজের চরিত্রে দেখা যাচ্ছে রণজয়কে। সঙ্গী শ্যামৌপ্তী মুদলি (Shyamoupti Mudly) ও মধুরিমা বসাক (Madhurima Basak)।
এতদিন পর কেন টিভিতে ফেরা? অভিনেতা রণজয় বিষ্ণু এক সাক্ষাত্কারে জানিয়েছেন, করোনার জেরে এখন সিনেমায় কাজের সুযোগ কম। যে কয়েকটি অফার পেয়েছেন, তা ভালো লাগেনি। আর্থিক দিকটাও বিবেচনা করতে হয়। তবে অনুজ হতে রাজি হওয়ার প্রধান কারণ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। এই সিরিয়াল ও চরিত্রের লেখনী পছন্দ হয়েছে রণজয়ের। অকপটেই বললেন, ‘অনুজের চরিত্রের এত স্তর রয়েছে, যে কাজটা খুব ইন্টারেস্টিং বলে মনে হল’।
দিন কয়েক আগেই ‘গুড্ডি’র শ্যুটিংয়ে দার্লিজিং-এ গিয়েছিলেন রণজয়। সেখানেও তাঁর সঙ্গী মনের মানুষ সোহিনী। তাঁরা শুধু বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ড নন, লিভ ইন পার্টনারও বটে। যদিও নিজেদের এই সহবাস সম্পর্কের জন্য নতুন শব্দ খুঁজে নিয়েছেন রণজয়। বললেন, ‘আমরা সেমি-লিভ ইনে আছি। কখনও ও আমার বাড়িতে চলে আসে, কখনও আমি ওর বাড়িতে চলে যাই। কখনও যে যার মতো থাকি। আর আমাদের পরিবারও এ ব্যাপারে খুব উদার মানসিকতার’।
টলিপাড়া জুড়ে এখন তো কেবল বিয়ের সানাই। তাঁরা কবে ছাদনা তলায় বসবার কথা ভাবছেন? রণজয়ের সাফ কথা, ‘বিয়ের প্ল্যানিং তো চলতেই থাকে। তবে শুধু তো আমাদের উপর ব্যাপারটা নির্ভর করে না। এতদিন অতিমারি চলল, এবার যুদ্ধ-যুদ্ধ হাওয়া। তবে খুব সাদামাঠাভাবে বিয়ে করব’।
কিন্তু সাদামাঠা কেন? স্পষ্টবক্তা রণজয় জানালেন, ‘স্টার’ হয়ে দূরের আকাশের নক্ষত্র হতে চাই না, মানুষের মাঝে মাটির কাছাকাছি থাকতে চাই। যে মানুষদের জন্য আমাদের কাজ, তাঁদের সঙ্গে জুড়ে-জুড়ে থাকতে ভালবাসি’।
For all the latest entertainment News Click Here
