‘সোশ্যাল মিডিয়ার চলন কম ছিল’, দু’টো ৩০০ করেও অবহেলিত হওয়ায় আফসোস ‘আরেক কোহলি’র
নিজের কিংবদন্তি কেরিয়ারে বিরাট কোহলি অনেক ক্রিকেটারের সঙ্গেই সাজঘর ভাগ করেছেন। তিনি কিন্তু অধিনায়ক হিসাবে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ জিতেই লাইমলাইটে প্রথমবার এসেছিলেন। ২০০৭ সালের সেই বিশ্বকাপ থেকে বিরাটের পাশাপাশি কেন উইলিয়ামসন, রবীন্দ্র জাদেজা, স্টিভ স্মিথরাও বর্তমানে বিশ্বক্রিকেট সুপারস্টার।
তবে অনেকেই সেই সময় শুরুটা ভাল করলেও, তেমন আর সুযোগ পাননি। ‘আরেক কোহলি’ বলে পরিচিত তরুবরের গল্পটাও কিছুটা এমনই। তৎকালীন ভারতীয় অনুর্ধ্ব ১৯ দলের ওপেনার ছিলেন তরুবর। আইপিএলেও রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু কোনদিনই আর ভারতীয় দলের আশেপাশেও দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী এই মরশুমেও রঞ্জিতে বিহারের বিরুদ্ধে এক ম্যাচে ১৫১ ও ১০১ রান করার পরের ম্যাচেই নাগাল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফের ১৫১ করেন তিনি।
তরুবরের আক্ষেপ, আগে সোশ্যাল মিডিয়ার তেমন চল না থাকায়, তাঁর কৃতিত্বগুলো অচিরেই ঢাকা পড়ে গিয়েছে। SportsYaari-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি দু’টো তিনশো করেছি, একটা পঞ্জাবের হয়ে এবং একটা মিজোরামের জার্সিতে। তবে সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ার এত চল না থাকায়, ওগুলোকে নিয়ে মাতামাতি করা হয়নি এবং সেই পরিসংখ্যান হারিয়ে গিয়েছে। তবে ক্রিকেটেও অনেক বদল ঘটেছে। আমাদের অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলার সময় আমরা বেশ কিছু ডট বল খেলতাম। বর্তমানে তো নাগাড়ে তিনটি ডট বল খেললেই ম্যানেজমেন্ট ব্যাটারের দক্ষতার ওপর প্রশ্ন তুলতে শুরু করে।’
সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ হলেও, তাঁর অনুর্ধ্ব ১৯ দলের সতীর্থ বিরাট যে নিজেকে অন্য স্তরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন, সেকথাও কিন্তু অস্বীকার করছেন না তরুবর। ‘আমরা সকলেই নিজেদের মতো দৌড়াচ্ছি। বিরাটের সতীর্থ ছিলাম, তাই তুলনা সবসময়ই থাকবে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে কখনও তুলনায় যেতে পছন্দ করি না। বিরাট যেভাবে নিজের খেলাকে পরের স্তরে নিয়ে গিয়েছে, তার জন্য ওর বাহবা প্রাপ্য। আমি চাই ও আরও প্রচুর রান করুক এবং সকলে যে ওর শতরানের জন্য অপেক্ষা করে রয়েছে, তা শীঘ্রই সমাপ্ত হোক।’ মতামত তরুবরের।
For all the latest Sports News Click Here