‘সোফায় বসতে গিয়ে মাটিতে মুখ থুবড়ে পড়ল’,KK-র শেষ কয়েকটা ‘পল’! জানালেন ছায়াসঙ্গী
নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালীন কেকে-র কোনও অসুবিধা হয়নি। হোটেলে ফিরে অসুস্থ হন গায়ক, এমনটাই সংবাদমাধ্যমকে জানালেন কেকে-র ম্যানেজার রীতেশ ভাট। কেকে-র প্রয়াণে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। এদিন রীতেশ ভাটকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন পুলিশ। ‘স্যার’-এর মৃত্যু নিয়ে পুলিশকে বয়ান দেওয়ার পর সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলেননি তিনি।
শেষ সফরেও কেকে-র সঙ্গেই ছিলেন তাঁর ছায়াসঙ্গী। সোশ্য়াল মিডিয়া ভাইরাল ভিডিয়োয় নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান তড়িঘড়ি শেষ করে কার্যত সেই দমবন্ধ পরিস্থিতি থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় কেকে-কে। এরপর গাড়িতে উঠে শিল্পী ম্যানেজারকে জানিয়েছিলেন, ‘আমার ঠাণ্ডা লাগছে, এসি বন্ধ কর’। হাতে-পায়ে টান ধরবার কথাও বলেন কেকে।
রীতেশ ভাটের পরবর্তী কথাতে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। নজরুল মঞ্চ থেকে প্রায় মিনিট কুড়ি দূরে অবস্থিত ধর্মতলার ওয়েবয় গ্র্যান্ড হোটেলে পৌঁছানোর পর কী হয়েছিল? রীতেশ ভাটের কথায়, ওয়েরয় গ্র্যান্ডের লবিতে ছবি শিকারিরা তাঁকে ছেঁকে ধরে। আবদার জানায় সেলফির। কেকে জবাবে বলেন শরীরটা ভালো লাগছে না, আগামিকাল ছবি তোলবার প্রমিস করেন। এরপর হোটেল রুমে প্রবেশ করেন তাঁরা।
হোটলে রুমের সোফায় বসে বমি করেন শিল্পী, তারপর মুখ থুবড়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন… সেই সময়ই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন কেকে। রীতেশ জানান, তাঁর ক্ষমকায় কুলোয়নি কেকে-কে টেনে তোলবার। তিনি দ্রুত হোটেলকর্মীদের সাহায্য চান। তাঁরা ছুটে এসে তড়িঘড়ি শিল্পীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন। এরপর একবারপুরের সিএমআরআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে এমার্জেন্সি বিভাগের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
কেকে-র ঠোঁটে ও কপালে চোট মিলেছে। সেই নিয়েও জল্পনার শেষ নেই। যদিও সেই আঘাত গুরুতর নয়, বলেই নাম গোপন রাখার শর্তে ‘হিন্দুস্তান টাইমস’-কে জানিয়েছেন কলকাতা পুলিশের এক আধিকারিক।
মঙ্গলবার বিখ্যাত গায়কের মৃত্যুর পর একটি মহলের তরফে দাবি করা হচ্ছিল, কেকের কপালে এবং ঠোঁটে আঘাত লেগেছে। যদিও বুধবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘কেকের মুখে কিছুটা কেটে যাওয়ার দাগ আছে। যা সম্ভবত কেকে পড়ে যাওয়ার ফলে হয়েছে। তাঁর কপালে এবং ঠোঁটে চোট আছে বলে যে দাবি করা হচ্ছে, সেরকম কিছু হয়নি। রক্তপাতও হয়নি।’
এদিন এসএসকেএম হাসপাতালে অন-ক্যামেরা কেকে-র ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তাঁর মরদেহ মুম্বইয়ে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে কলকাতায় এসেছেন স্ত্রী জ্যোতি এবং ছেলে নকুল। রাজ্য সরকারের তরফে গান স্যালুট জানানো হবে প্রয়াত শিল্পীকে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
For all the latest entertainment News Click Here