সে কী! সাপ,টিকটিকির মাংস খেয়েছেন ‘সর্বভূক’ ঋষি কৌশক, শোনামাত্রই ভিরমি খেলেন রচনা
বাংলা টেলিভিশনের হার্টথ্রব নায়ক ঋষি কৌশিক। ‘এখানে আকাশ নীল’-এর হাত ধরে শুরু তাঁর জনপ্রিয়তার শিখরে উঠা শুরু। এরপর ধীরে ধীরে ‘ইষ্টি কুটুম’, ‘কুসুম দোলা’, ‘কোড়া পাখি’র মতো হিট সিরিয়ালের নায়ক হিসাবে দর্শক দেখেছে তাঁকে। নিজের ব্যক্তিগত জীবন খুব বেশি প্রকাশ্যে আনেন না ঋষি। প্রায় এক দশক আগে বান্ধবী দেবযানী মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন ছোট পর্দার অরিজিন্যাল ডাঃ উজান চট্টোপাধ্যায়। এমনিতে অভিনেতা আদ্যোপান্ত অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় মানুষ।
নিজের সেই অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় জীবনের টুকরো ঝলক বছর কয়েক আগে দিদি নম্বর ১-এর মঞ্চে পেশ করেছিলেন তিনি। জীবনে ঠিক কী কী শখ রয়েছে ঋষির, তা শুনলে আপনার চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য। অভিনেতার কথায়, ‘হার্টফেলও হতে পারে’।
বাইক চালাতে ভালোবাসেন ঋষি। তাঁর বাড়ির গ্যারেজ জুড়ে এতো বাইক রয়েছে যে দিদির কাছে স্ত্রীর অভিযোগ, ‘আমি তো বলি এবার বাইকগুলো ঘরে এনে রাখো, আমি গ্যারেজে থাকছি’। অভিনেতা শুধু পশু প্রেমিক নন, বন্যপ্রাণী ভালোবাসেন। সেই প্রেম এতটাই যে ঘুরতে গিয়ে অচিরেই বিষাক্ত সাপ ধরে ফেলেন নিমেষে। পশু প্রেমিক ঋষির ছোটবেলায় শখ ছিল সাকার্সের রিং মাস্টার হওয়ার। সেই ইচ্ছাপূরণ হয়নি, তবে তিনি চান বাড়িতে একটা আফ্রিকার বল পাইথন পুষতে। যদিও স্ত্রী আগেভাগেই জানিয়ে রেখেছেন, ‘হয় বাড়িতে পাইথন থাকবে না হয় আমি’।
ঋষি ভীষণরকম খাদ্যরসিক মানুষ। আর তাঁর খাওয়া-দাওয়া বেশ অদ্ভূত রকমের। ঋষি কৌশক ও দেবযানী দু’জনেই বিভিন্ন দেশে ঘুরতে ভালোবাসেন, আর সেখানে গিয়ে নানা ধরনের অদ্ভূত খাবারের স্বাদ নিতে ভালোবাসেন। যার মধ্যে রয়েছে লিজার্ড স্যুপ, গ্রাসহপার, সাপ- এই শুনে তো রচনার কার্যত ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। কানে হাত দিয়েই প্রশ্ন করেন, ‘তা এই সব খাও কোথায়?’ অভিনেতা জবাব দেন, ‘কেন ব্যাংকক, পাটায়া–তে পাওয়া যায়’। টিকটিকি কোথায় খেয়েছো? জানতে চান রচনা। ঋষি কৌশিক জানান, ‘গতবার হংকং-এ গিয়ে খেয়েছিলাম। ওরা বলেছিল টিকটিকিটা খাবেন না, হজম করা খুব শক্ত, শুধু স্যুপটা খাবেন। কিন্তু আমরা তো খেয়ে নিয়েছি। এটা তো আর দীঘা-পুরী নয় যে রোজ এসে খেতে পারব’।
এই মুহূর্তে কালার্স বাংলার ‘সোনা রোদের গান’ সিরিয়ালে দেখা যাচ্ছে ঋষি কৌশিককে। এই ধারাবাহিকে পায়েল দে’র সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন অভিনেতা।
For all the latest entertainment News Click Here