সেহওয়াগকে নির্বাচক করার জন্য কি পে প্যাকেজ বৃদ্ধি করবে BCCI?
বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) বর্তমানে শিব সুন্দর দাসকে অন্তর্বর্তী প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিযুক্ত করে রেখেছে। একটি স্টিং অপারেশনে বিতর্কিত সব মন্তব্য করে চাকরি হারান চেতন শর্মা। টিম ইন্ডিয়ার খেলোয়াড়দের সঙ্গে সম্পর্কিত গোপনীয় তথ্য এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেই বিপাকে পড়ে যান তিনি। যার পরে তাঁকে প্রধান নির্বাচকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় নির্বাচকের চাকরির জন্য আবেদন করার সময় বড় নামগুলি দূরে সরিয়েই রাখা হয়েছে। পিটিআই-এর দাবি, যারা দায়িত্ব গ্রহণ করছেন, তাঁদের যোগ্যতা মান যদি কম হয়, তবে এর অর্থ হল বিসিসিআই নির্বাচক বাছাইয়ের বিষয়টি নিয়ে সে অর্থে গুরুত্ব দিচ্ছে না।
সিনিয়র সিলেকশন প্যানেলের চেয়ারম্যান বার্ষিক ১ কোটি আয় করেন এবং অন্য চার সদস্যকে বার্ষিক ৯০ লাখ করে দেওয়া হয়। শেষ বার নির্বাচকদের প্যানেলে নেতৃত্বে ছিলেন স্বনামধন্য প্রাক্তন ক্রিকেটার দিলীপ বেঙ্গসরকার (২০০৬-২০০৮) এবং কৃষ্ণমাচারী শ্রীকান্ত (২০০৮-২০১২)। এ ছাড়াও মহিন্দর অমরনাথও একটা সময়ে নির্বাচক প্যানেলের অংশ ছিলেন। এবং সন্দীপ পাতিলও পরে কমিটির প্রধান হয়েছিলেন।
তুলনামূলক ভাবে কম বেতন (প্রাক্তন ক্রিকেটাররা সম্প্রচার এবং বিজ্ঞাপনের প্রতিশ্রুতি, পাশাপাশি অ্যাকাডেমি থেকে যা উপার্জন করে তার তুলনায়) দেওয়ার অর্থ হল, প্রধান নির্বাচকের ভূমিকা খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়। এবং পিটিআই রিপোর্ট করেছে যে, এর ফলে বীরেন্দ্র সেহওয়াগের মতো বড় নামগুলিকে নির্বাচক হওয়ার দৌড় থেকে সরিয়ে রাখছে।
এখনও পর্যন্ত উত্তরাঞ্চল থেকে নির্বাচক পদের জন্য একমাত্র যোগ্য বড় নাম বীরেন্দ্র সেহওয়াগ। বিসিসিআই একটি উপযুক্ত বেতন প্যাকেজ নিয়ে যদি তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে, তা হলেই তিনি এই নিয়ে ভাববেন। কিন্তু নির্বাচকদের জন্য বিসিসিআই-এর বেতনের প্যাকেজ অত্যন্ত কম।
বিসিসিআইয়ের একজন আধিকারিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে পিটিআইকে বলেছেন, ‘CoA-এর সময়, বীরুকে (সেহওয়াগ) প্রধান কোচের চাকরির জন্য আবেদন করতে বলা হয়েছিল এবং তার পরে এই প্রস্তাব অনিল কুম্বলের কাছে গিয়েছিল। তবে নির্বাচক হিসেবে এটি অসম্ভব যে, বীরু নিজেই আবেদন করবেন এবং বেতন প্যাকেজ এমন কিছু নয়, যেটা এই পদমর্যাদায় আর্থিক ভাবে কার্যকর। কিন্তু আমরা যদি মান বা প্রোফাইলের কথা বলি, তবে শুধুমাত্র বীরুই উত্তরাঞ্চল থেকে নির্বাচক পদের জন্য যোগ্য।’
উত্তরাঞ্চলে আরও বড় নামী খেলোয়াড় আছেন, যারা সাম্প্রতিক অতীতে অবসর নিয়েছেন, যেমন- যুবরাজ সিং, গৌতম গম্ভীর, এবং হরভজন সিং রয়েছেন। কিন্তু এই ত্রয়ী এখনও পাঁচ বছরের অবসর সময়ের মানদণ্ড পূরণ করেননি। বিসিসিআই-এর নিয়মে খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পাঁচ বছর হলে, তবেই এই পদের জন্য যোগ্য হবে কোনও প্রার্থী।
সূত্রটি যোগ করেছেন, ‘এটা এমন নয় যে, বিসিসিআই নির্বাচকদের একজন চেয়ারম্যানকে কমপক্ষে ৪-৫ কোটি টাকা দিতে পারে না। এটি আসলে এই স্বার্থের দ্বন্দ্বের অনেকগুলি সমাধান করতে পারে, যা বিশিষ্ট খেলোয়াড়দের নির্বাচক কমিটিতে আসার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করতে বাধ্য করতে পারে।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে, নির্বাচকদের চেয়ারম্যান যদি হাইপ্রোফাইল না হয়, সে ক্ষেত্রে দল বাছাইয়ের সময়ে বিরাট কোহলি, রবি শাস্ত্রী বা রাহুল দ্রাবিড়দের সঙ্গে সরাসরি লড়াই করে দল বাছাটা কঠিন হয়ে যায়।
সূত্রটি দাবি করেছেন, ‘যখন দিলীপ ভাই চেয়ারম্যান ছিলেন, তখন তাঁকে এস বদ্রিনাথ এবং বিরাট কোহলির মধ্যে এক জনকে পছন্দ করতে হয়েছিল। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় কয়েকটি ইন্ডিয়া এ ম্যাচ দেখেছিলেন এবং তিনি জানতেন, কাকে সমর্থন করতে হবে। বাকিটা ইতিহাস। তিনি গ্রেগ চ্যাপেলের মুখোমুখিও দাঁড়াতে পারতেন।’
For all the latest Sports News Click Here