সেরা বোলারকে আক্রমণ করে শুরুতেই RCB-র মেরুদণ্ড ভাঙার পরিকল্পনা ছিল- ওয়ার্নার

হারানোর কিছুই নেই। লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে জিততেই হবে, এমন শর্ত নিয়ে মাঠে নামা দিল্লি ক্যাপিটালসের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা ছাড়া উপায় ছিল না। তবে আরসিবিকে টেক্কা দিতে কীভাবে পরিকল্পনামাফিক লড়াই চালায় ক্যাপিটালস, সেটা বোঝা যায় ক্যাপ্টেন ডেভিড ওয়ার্নারের কথায়।

প্রথমত, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের ধ্বংসাত্মক ব্যাটিং লাইনআপকে কোটলার ব্যাটিং পিচে ১৮১ রানে আটকে রাখার জন্য বোলারদের কৃতিত্ব দেন ওয়ার্নার। যদিও টি-২০ ক্রিকেটে ১৮২ রান তুলে ম্যাচ জেতা নিতান্ত সহজ কাজ নয়। এক্ষেত্রে বড়সড় লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমেও জয় তুলে নেওয়ার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ডেভিড। তিনি লক্ষ্য করেছিলেন যে, পিচে বল স্কিড করছিল। তাই ব্যাটে যথাযথ বল আসার সম্ভাবনা ছিল বিস্তর।

বড় রান তাড়া করতে হলে পাওয়ার প্লে-তে পর্যাপ্ত রান তোলা যে জরুরি, সেটা ভালো মতোই জানত দিল্লি শিবির। তাই পাওয়ার প্লে-তেই কীভাবে আরসিবিকে কোণঠাসা করা যাবে, নির্দিষ্ট একটা ছক কষে ব্যাট করতে নামে ক্যাপিটালস। শেষমেশ তাদের সেই পকিকল্পনা সফলও হয়।

আসলে দিল্লি পাওয়ার প্লে-তে মহম্মদ সিরাজকে আক্রমণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কেননা সিরাজই আরসিবির সেরা বোলার। সেরা বোলার মার খেলে ব্যাঙ্গালোরের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে বলে বিশ্বাস ছিল ওয়ার্নারদের, যেটা যথার্থ হয়ে দেখা দেয়।

সিরাজ চলতি আইপিএলে পাওয়ার প্লে-তে ক্রমাগত উইকেট তুলে আরসিবিকে চালকের আসনে বসিয়ে দেওয়া অভ্যাসে পরিণত করেছেন। তিনি শুরুতেই ব্যাটসম্যানদের এলবিডব্লিউ-এর ফাঁদে জড়াচ্ছেন অথবা বোল্ড করছেন। বিষয়টা নজর এড়ায়নি ওয়ার্নারদের। তাঁরা ব্যাট চালিয়ে সিরাজকে লেনথ বদল করতে বাধ্য করবেন বলে স্থির করেন এবং সেই মতো পাওয়ার প্লে-তে সিরাজের ২ ওভারে ২৮ রান সংগ্রহ করে নেন। পাওয়ার প্লে-তে দিল্লি ১ উইকেটে ৭০ রান তুলে ফেলায় কার্যত অর্ধেক ম্যাচ আরসিবির হাত থেকে বেরিয়ে যায় তখনই।

ম্যাচের শেষে ওয়ার্নার নিজেদের পরিকল্পনা সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম সিরাজকে টার্গেট করব। ও সত্যিই দারুণ বল করছে। ওই ওদের (বোলিংয়ের) মেরুদণ্ড। ও পাওয়ার প্লেতে উইকেট নিচ্ছে। হয় বোল্ড করছে না হয় এলবিডব্লিউ। তাই আমাদের পরিকল্পনা ছিল ওর লেনথ ছোট করা। শেষমেশ আমাদের পরিকল্পনা সার্থক হয়েছে।’

পরিকল্পনা করে প্রতিপক্ষের সেরা বোলারকে আক্রমণ করা যে নিতান্ত সহজ কাজ নয়, সেটা বুঝতে অসুবিধা হয় না। হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে বিস্তর। সুতরাং, এমন সাহসী সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার জন্য দিল্লির ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতেই হয়। পাওয়ার প্লে-তে মার খাওয়ায় সিরাজকে বাকি ম্যাচে আর বলই দেয়নি আরসিবি। দিল্লি ৩ উইকেটে ১৮৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়।

For all the latest Sports News Click Here 

Read original article here

Denial of responsibility! TechAI is an automatic aggregator around the global media. All the content are available free on Internet. We have just arranged it in one platform for educational purpose only. In each content, the hyperlink to the primary source is specified. All trademarks belong to their rightful owners, all materials to their authors. If you are the owner of the content and do not want us to publish your materials on our website, please contact us by email – [email protected]. The content will be deleted within 24 hours.