সেমির ভাবনা ঢুকে পড়েছে বাংলা শিবিরে, মধ্যপ্রদেশই প্রতিপক্ষ ধরে নিয়েছেন মনোজরা
এই মরশুমে রঞ্জি ট্রফিতে দুরন্ত ছন্দে রয়েছে বাংলা। কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ঘরের মাঠে সুবিধে পেয়েছে বাংলা। সেই সঙ্গে বোলারদের দাপটে ঝাড়খণ্ড একেবারে কোণঠাঁসা। শেষ চারে ওঠার এখন কার্যত সময়ের অপেক্ষা। ইডেন গার্ডেন্সে মনোজ তিওয়ারিদের জয় কার্যত সময়ের অপেক্ষা। বাংলার শিবিরে এখন থেকেই সেমিফাইনালের পরিকল্পনা ঢুকে পড়েছে।
বাংলার অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি এবিপি লাইভকে বলেও দিয়েছেন, ‘অবশ্যই মানসিক প্রস্তুতি নিচ্ছি। অ্যাওয়ে ম্যাচের জন্য আমরা তৈরি।’ মনোজ তিওয়ারিরা একেবারে নিশ্চিত, সেমিতে তারা মধ্যপ্রদেশের মুখোমুখি হতে চলেছে। আর শেষ চারে মধ্যপ্রদেশ যদি বাংলার প্রতিপক্ষ হয়, তবে তাদের খেলতে হবে অ্যাওয়ে ম্যাচ।
আরও পড়ুন: ব্যাট করছেন, নাকি তরোয়াল চালাচ্ছেন হনুমা! এক হাতে রিভার্স সুইপে চার- ভিডিয়ো
অন্ধ্রপ্রদেশ জিতলে হোম ম্যাচ পেত বাংলা। সে ক্ষেত্রে ইডেনেই হতো সেমিফাইনাল। রঞ্জি ট্রফির এ বারের ফর্ম্যাট অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বে যে দল বেশি পয়েন্ট পেয়েছে, তাদের মাঠেই হবে নক আউট ম্যাচ। অন্ধ্রপ্রদেশের চেয়ে বাংলার পয়েন্ট বেশি ছিল। এ দিকে মধ্যপ্রদেশের পয়েন্ট আবার গ্রুপ পর্বে বেশি। আর তারাই জয়ের ব্যাপারে ফেভারিট।
রঞ্জি ট্রফির কোয়ার্টার ফাইনালে মধ্যপ্রদেশ আবার খেলছে অন্ধ্রপ্রদেশের বিরুদ্ধে। এই ম্যাচে যে দল বিজয়ী হবে, সেমিতে তাদের বিরুদ্ধে খেলতে হবে বাংলাকে। যদি তারা সেমিতে ওঠে। দ্বিতীয় ইনিংসে হনুমা বিহারীর অবিশ্বাস্য লড়াইয়ের পরেও ৯৩ রানে গুটিয়ে গিয়েছে অন্ধ্রের ইনিংস। ম্যাচ জয়ের জন্য মধ্যপ্রদেশের চাই আর ১৮৭ রান। হাতে রয়েছে ১০ উইকেট। নিঃসন্দেহে জয়ের জায়গায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ। আর সেটাই ধরে নিয়েছে বাংলা। ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় দিনের খেলার শেষে মনোজ বলছেন, ‘ওই ম্যাচের দিকে আমাদের নজর রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেই হয়তো খেলতে হবে।’
আরও পড়ুন: যখন তুই অনূর্ধ্ব-১৯ দলে, তখন থেকে টেস্ট খেলছি- কোহলিকে ধমকে দিয়েছিলেন বিশ্বকাপে, দাবি পাক পেসারের
মধ্যপ্রদেশ বরাবরই বাংলার শক্ত গাঁট। কিন্তু তা নিয়ে ভাবতে নারাজ মনোজ। ওপেনিং জুটি নিয়েও সমস্যা রয়েছে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম ইনিংসে রান না পেলেও কাজি জুনেইদ সইফিকেই সেমিফাইনালে ওপেনার হিসাবে খেলানোর ইঙ্গিত দিলেন মনোজ। মনোজ বলেন, ‘আমি কিংবা লক্ষ্মীদা (কোচ লক্ষ্মীরতন শুক্ল) চাই সকলকে অন্তত ৪-৫ ইনিংস সুযোগ দিতে। খুব বেশি পরিবর্তনের পক্ষপাতী নই আমরা। সেই কারণে কাজিকে দিয়েই সেমিফাইনালে ইনিংস ওপেন করানোর সম্ভাবনা বেশি। তার আগে এই ম্যাচে দ্বিতীয় ইনিংসেও ও সুযোগ পাবে রান করার।’
বাংলাকে জিততে গেলে চতুর্থ দিন ঝাড়খণ্ডের বাকি তিন উইকেট দ্রুত ফেলতে হবে। তারপর আবার রান তাড়া করতে হবে। যদিও খুব বড় রানের লক্ষ্য সম্ভবত তাড়া করতে হবে না মনোজদের। তৃতীয় দিনের শেষে মাত্র ৭ রানের লিড নিতে পেরেছে ঝাড়খণ্ড।
For all the latest Sports News Click Here