‘সেক্সের চাহিদা নষ্ট হয়ে গিয়েছে’,রটেছিল কুৎসা,অনুর সাথে সম্পর্ক ভাঙে সহবাস সঙ্গী
‘আশিকি’র সুবাদে প্রায় তিন দশক আগে আসমুদ্রহিমাচলের মনে ঝড় তুলেছিলেন অনু আগারওয়াল। তাঁর রূপের জাদুতে মুগ্ধ হয়েছিল গোটা দেশ। আশিকির আকাশছোঁয়া সাফল্যের পর আচমকাই বলিউড থেকে হারিয়ে যান এই সুন্দরী। ৫৬ বছর বয়সী এই প্রাক্তন অভিনেত্রী কেরিয়ারের শুরুতে যেমন বেজায় সাফল্য পেয়েছেন, তেমনই সেই সফলতা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছে। স্টারডমের চক্করেই মনের মানুষের সঙ্গ পাওয়া হয়নি তাঁর।
রুপোলি পর্দার ব্যক্তিত্বদের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মানুষের মনে সবসময়ই থাকে হাজারো প্রশ্ন। নব্বইয়ের দশকে সোশ্যাল মিডিয়ার অস্তিত্ব ছিল না, তবে ম্যাগাজিনের পাতায় ভুরি ভুরি গসিপ লেখা হত নায়ক-নায়িকাদের নিয়ে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনু আগারওয়াল বলেন, ‘সময়ের চেয়ে এগিয়ে ছিলাম আমি। আমি নব্বইয়ের দশকে কানসে (Cannes) গিয়েছি। লোকে প্রশ্ন করত কানস আবার কী? আমার ভাবনাও ছিল সময়ের চেয়ে এগিয়ে, কিন্তু এর দুটো দিক থাকে একটা ভালো আরেকটা খারাপ’।
সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছানোর পর তছনছ হয়েছিল অভিনেত্রীর প্রেম জীবন। তাঁর কথায়, ‘আমি একটা লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলাম। সেই সময় সহবাসকে নীচু চোখে দেখা হত। ওর মা’ও আমাদের সঙ্গে থাকত যদিও, উনি খুব খোলামনের মানুষ ছিলেন। আমাকে মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু তারপর ওনার বান্ধবীরা আমাকে নিয়ে ওঁনার কান ভাঙানো শুরু করলো’। অনু আরও জানান, সংবাদমাধ্যমকে তাঁর সঙ্গে একাধিক নায়কের নাম জুড়ে হাজারো কেচ্ছা লেখা হতে শুরু করে, যা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সর্বনাশ ডেকে এনেছিল। তাঁর আক্ষেপ, ‘সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়া ছিল না, যেখানে আমি নিজের পক্ষ রাখতে পারব। প্রেস-মিডিয়ায় যা লেখা হত লোকে সেটাই সত্যি বলে বিশ্বাস করত।’
অনু আগারওয়াল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর যৌনজীবন নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে মিডিয়ায়, এক সাংবাদিক তো তাঁকে সরাসরি প্রশ্ন করে বলেছিলেন, ‘আপনি কি লেসবিয়ান (সমকামী)?’ পালটা জবাবে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘আমার যৌনতা একান্তভাবেই আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সেটা নিয়ে আমি কথা বলব কিনা তা আমার সিদ্ধান্ত। আপনি এখান থেকে আসতে পারেন’।
১৯৯৯ সালে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার শিকার হন অভিনেত্রী। চিকিত্সরা বলেছিলেন তিন বছরের বেশি বাঁচবেন না অভিনেত্রী। তবে তিনি লড়াই করেছেন, জীবন-যুদ্ধে জয়ী হয়েছেন। আশিকীর পর রাকেশ রোশনের কিং অ্যাঙ্কেল ছবিতে কাজ করেন অনু। ‘রিটার্ন অফ জুয়েল’ ছিল অনুর শেষ বক্স অফিস রিলিজ।
অনু আগারওয়াল আপতত বি-টাউনের কেউ নন। মুম্বইতে যোগাসনের স্কুল খুলেছেন। সেখানে বস্তির বাচ্চাদেরও যোগা শেখান অনু, খুব সাধারণভাবে বাঁচেন। আজও বিয়ে করেনি, একাই কাটাচ্ছেন জীবন।
অনুর কথায়, ‘আমারও ভালোবাসার প্রয়োজন আছে, আর তা পূরণ হয় অন্যরকমভাবে। সেটা যৌনতা নয়, সেক্সের চাহিদা তো তবেই নষ্ট হয়ে গিয়েছে.. আমার কাছে ওটা ভালোবাসা নয়’।
আরও পড়ুন-সিংহাসন হাতছাড়া ‘জগদ্ধাত্রী’র! খেল দেখালো ‘খেলনা বাড়ি’,বেঙ্গল টপার হল কে?
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup
For all the latest entertainment News Click Here