সৃজিতের নির্দেশে ‘মির্জাপুর’ ছেড়ে বাঘের মুখোমুখি, পরিচালকে মুগ্ধ ‘শেরদিল’ পঙ্কজ
শুরু হয়েছে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘শেরদিল’ ছবির শ্যুটিং।র শ্যুটিং। কিছুদিন আগেই ছবির লোকেশন থেকে ক্ল্যাপস্টিকের ছবি শেয়ার করেছেন পরিচালক। ঘন জঙ্গলের পরিবেশে মধ্যে থেকে শুরু হয়েছে শ্যুটি।উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের জঙ্গলে শুরু করলেন ‘শেরদিল’এর শ্যুটিং।
২০১৭ সালে নথিভুক্ত হয়েছিল ‘শেরদিল’। ২০১৯ সালে ঘোষণা করা হয় এই ছবির। ‘বেগমজান’, ‘সাবাশ মিঠু’র পর এটা সৃজিতের তৃতীয় হিন্দি ছবি। ‘শেরদিল’ ছবিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। ডুয়ার্সের জঙ্গলে বাঘের খপ্পড়ে পড়ার গল্প উঠে আসবে ছবির চিত্রনাট্যের মাধ্যমে। মানুষ ও প্রকৃতির দ্বন্দ্বের কথাই বলবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালকের আসন্ন ছবি। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ছবি মানেই বাণিজ্যিক মশলা ছাড়াও তাতে এমন কিছু উপাদান থাকবে তা দর্শকদের ভাবাবে। জানিয়েছেন, পঙ্কজ ত্রিপাঠি।
‘মির্জাপুর’ ওয়েব সিরিজ খ্যাত এই অভিনেতা সৃজিতের সঙ্গে প্রথমবার কাজ করার প্রসঙ্গে আরও বলেছেন, ‘সৃজিতের সঙ্গে পরিচয় আমার অনেক দিনের। ওঁর পরিচালিত একাধিক ছবিই আমার দেখা। সৃজিত কেমন কাজ করে তা ওঁর ছবিই দেখলেই বোঝা যায়।আলাদা করে নতুনভাবে বলার কোনও প্রয়োজন নেই আমার। তবে এই ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য শুনে রীতিমতো লাফিয়ে উঠেছিলাম আমি। আমার মনে হয় এই ছবির গল্পটাই নিজেই একটি চরিত্র। দারুণভাবে এই ছবির গল্প লিখেছেন সৃজিত। ছবিতে প্রতিটি চরিত্রকে এত সুন্দরভাবে পেশ করা হয়েছে, যা দেখে আমি মুগ্ধ।ওঁর প্রতি আমার অটুট বিশ্বাস রয়েছে। এটাই সম্ভবত সৃজিতের ইউএসপি’।
সৃজিতও জানিয়েছেন বহু বছর ধরেই পঙ্কজের সঙ্গে তাঁর কাজ করার স্বপ্ন ছিল। পরিচালকের মতে, এইমুহূর্তে দেশের অন্যতম শক্তিশালী অভিনেতা পঙ্কজ। সবসময়ই নতুন কিছু করতে চান। আর তেমনই জনপ্রিয়। তাই ওঁ কোনও ছবিতে থাকলে তা অর্ধেক যুদ্ধজয়ের সামিল’।
প্রসঙ্গত, সত্য ঘটনা অবলম্বনেই ছবির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন সৃজিত। ৬০২ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত নেপাল সীমান্ত সংলগ্ন পিলিভিট ব্যাঘ্র প্রকল্প। ৫০টিরও বেশি বাঘ রয়েছে সেখানে। জঙ্গলের বাইরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে কয়েকটি ছোট্ট ছোট্ট গ্রাম। সরকারি নির্দেশ রয়েছে সেইসব গ্রামের কারও বাঘের আক্রমণে মৃত্যু হলে, তাঁর পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা দেওয়া হবে। সেই খবর শুনে গ্রামের হতদরিদ্র কিছু পরিবার তাঁদের কোনও সদস্যকে জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়! অনেকসময় কোনও মানুষ নিজেই জঙ্গলে প্রবেশ করে বাঘের খাদ্য হওয়ার আশায়। দু’টি ব্যাপারের লক্ষ্য এক। সে মারা যাওয়ার পর তাঁর পরিবার অন্তত যেন সেই ১০ লক্ষ টাকা পেয়ে একটু সুখের মুখ দেখতে পারে! এরপর পরিবারের সদস্যরাই তাঁদের সদস্যের মৃতদেহটি জঙ্গল থেকে বের করে এনে জঙ্গলের বাইরে রেখে দেয়, টাকা পাওয়ার আশায়।
পেটের দায়ে মানুষ কতটা নিষ্ঠুর হতে পারে, মানুষ ও প্রকৃতির দ্বন্দ্ব এসব আবর্তিত হয়ে এগোবে ছবির গল্প। ডুয়ার্সের জঙ্গলে হচ্ছে ছবির শ্যুটিং। গরুমারা ন্যাশনাল পার্ক, লাটাগুড়ির বিভিন্ন অঞ্চল জুড়ে হবে এই ছবির শ্যুটিং।
For all the latest entertainment News Click Here