সূর্য থেকে ফিলিপ্স- আসল সময়েই ফ্লপ,গ্রুপ লিগে ভালো খেলেও নকআউটে ব্যর্থ হলেন যাঁরা
২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে নজর কেড়েছিলেন ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদবরা। আর ভারতের পেসাররা অর্থাৎ ভুবনেশ্বর কুমার, আর্শদীপ সিং, মহম্মদ শামিদের পারফরম্য়ান্স নিয়ে নক আউটে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। তবে সবটা এলোমেলো হয়ে গেলো সেমিফাইনাল ম্যাচে। জ্বলে উঠতে ব্যর্থ হলেন সূর্য, ভুবিরা। আর মুখ থুবড়ে পড়ল ভারত। ১০ উইকেটে লজ্জাজনক ভাবে হেরে খেসারত দিল টিম ইন্ডিয়া।
প্রথমে আসি সূর্যকুমার যাদবের কথায়। সুপার টুয়েলভের ৫ ম্যাচে মোট ২২৫ রান করে ফেলেছিলেন সূর্য। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে তিনি করলেন মাত্র ১৪ রান। ভারতের তখন কেএল রাহুল, রোহিত শর্মারা ফিরে গিয়েছেন, রানরেটের অবস্থাও শোচনীয়, সেই সময়ে চারে নেমে হাল ধরার কথা ছিল সূর্যের, যেটা গ্রুপ লিগের ম্যাচে করেও এসেছিলেন তিনি। কিন্তু সেমিফাইনালে চূড়ান্ত ব্যর্থ হন সূর্যকুমার যাদব।
আরও পড়ুন: রউফকে মারা কোহলির সেই ছক্কা সর্বকালের সেরা, শিলমোহর দিল ICC
বিরাট কোহলি অবশ্য সেমিতেও ৫০ রান করেন। কিন্তু তিনি ৫০ রান করেন ৪০ বলে। তাঁর স্লো ব্যাটিং নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তবে অনেক বিশেজ্ঞর দাবি, ভারত যখন নড়বড় করছিল, তখন সেই পরিস্থিতিতে বিরাটের ধরে খেলা ছাড়া কোনও উপায় ছিল না।
ভারতীয় বোলাররাও এ দিন চূড়ান্ত ব্যর্থ হন। সবচেয়ে বেশি সমালোচিত হন ভারতের তিন পেসার- ভুবি, আর্শ, শামি। তবে তাদের পারফরম্যান্স নিয়ে গ্রুপ লিগে কোনও প্রশ্ন ওঠেনি। কিন্তু তারা নকআউট পর্বে এসে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। বিশেষ করে ভুবি এবং শামি। উইকেট তো ফেলতেই পারেননি। গুচ্ছ রান বিলিয়েছেন তাঁরা। ভারতের বাকিরা কেউ গ্রুপ লিগ পর্বে সে ভাবে ধারাবাহিক ছিলেন না।
নিউজিল্যান্ড আবার সেমিফাইনালে হেরে যায় পাকিস্তানের কাছে। সেই ম্যাচে গ্লেন ফিলিপ্স সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছেন। কিউয়ি মিডল অর্ডার ব্যাটার মোট ২০১ রান করেন বিশ্বকাপে। গড় ৪০.২০ এবং স্ট্রাইকরেট ১৫৮.২৬। তবে এই ২০১ রানের মধ্যে সেমিফাইনালে তাঁর সংগ্রহ মাত্র ৬ রান। ৮ বলে ৬ রান করে আউট হয়েছিলেন ফিলিপ্স। তাঁর ছন্দপতনও নিউজিল্যান্ডের কাছে বড় ধাক্কা ছিল।
আরও পড়ুন: সিরিজ শুরুর আগেই T20 ট্রফি নিয়ে দৌড় দিলেন উইলিয়ামসন, অবাক দর্শক হার্দিক- ভিডিয়ো
বল হাতে টিম সাউদি, লকি ফার্গুসন, মিচেল স্যান্টনাররাও কিছু করতে পারেননি। গ্রুপ লিগ পর্বে তাঁরা বল হাতে যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছিলেন।
পাকিস্তানের কথায় আসলে, তারা গ্রুপ পর্বে তারা যেমন খেলেছেন, তার চেয়ে ভালো খেলেছে নকআউটের সেমিফাইনাল ম্যাচে। সেই ম্যাচে বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান ছন্দে ফেরে। তাদের শতরানের পার্টনারশিপই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেয়। কিন্তু ফাইনালে গিয়ে দুই পাক ওপেনারই ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েন। রিজওয়ান ১৪ বলে ১৫ করে আউট হন। বাবর অত্যন্ত স্লো ব্যাটিং করে ২৮ বলে করেন ৩২ রান। শাদাব খানও ফাইনালে ব্যাট হাতে সে ভাবে কিছু করতে পারেননি।
এ দিকে ইংল্যান্ড চ্যাম্পিয়ন হলেও ফাইনালে নিরাশ করেছেন অ্যালেক্স হেলস। জোস বাটলারও ব্যর্থ হন। এই ওপেনিং জুটি কিন্তু লিগ পর্বে নজর কেড়েছিল। বেন স্টোকস হাফ সেঞ্চুরি করে দলের হাল না ধরলে, সমস্যায় পড়তে হতে ইংল্যান্ডকেও।
For all the latest Sports News Click Here